বিচারের পর জনগণ আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দিলে বিএনপির কিছু বলা নেই বলে এমন মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। যিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসবেন, তিনি অপরাধী না হলে কেন রাজনীতি করতে পারবেন না? এমন প্রশ্ন রাখেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘এটি হচ্ছে আমার বক্তব্য। যদি দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা যায়, অপরাধীদের বিচার হয়, তারপর জনগণ যদি তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয়, তাহলে আমাদের বলার কিছু নেই।’
গতকাল শুক্রবার সকালে উত্তরার দক্ষিণখানে ফায়দাবাদ মধ্যপাড়া হাজী শুকুর আলী মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে দুস্থদের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যারা আসবে, তারা যদি ছাত্র হত্যার মতো অপরাধ না করে, অর্থ লোপাট ও টাকা পাচার না করে তাহলে সেই আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না?’
তিনি আরও প্রশ্ন রাখেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কি না, এমন প্রশ্ন উঠছে, অথচ এই প্রশ্ন ওঠছে না, যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের বিচার হবে কি না? কারা এই কাজ করেছে? কার নির্দেশে এসব ঘটেছে? রক্তপাত ঘটানোর জন্য আওয়ামী লীগের কোন নেতারা নির্দেশ দিয়েছেন?’ যারা অপরাধের সাথে জড়িত, তাদের বিচার হতেই হবে, আর কোনও ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন না হয়, সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান রিজভী।
বিএনপির সিনিয়র এই যুগ্ম মহাসচিব শেখ হাসিনার বিষোদাগার করে বলেন, ‘শেখ মুজিব ও তার কন্যা শেখ হাসিনা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। দুইবার ক্ষমতায় এসে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। একবার তার বাবা সব দল বন্ধ করে দিয়ে বাকশাল করলেন। আর তার মেয়ে নতুন কায়দায় নতুনভাবে আরও ভয়াবহভাবে বাকশাল তৈরি করে। বিরোধী দল এর কথা বলা, মানুষের কথা বলা বন্ধ করে দেয়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বললেই তাদের জায়গা হয় কারাগারে। এই ছিল শেখ হাসিনার আমল।’ সেই রাজত্ব যাতে ফিরে না আসে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান রিজভী।
রিজভী আরও বলেন, ‘যদি একতরফা বিএনপিকে অভিযুক্ত করে আদালতের বাইরে নিজেরা মিডিয়া আদালত তৈরি করে বিএনপিকে অপরাধের কাঠগড়ায় দাড় করানো হয়, তাহলে এটা মিডিয়া ট্রায়াল। এটা অন্যায়, এটা সঠিক নয়।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক কফিল উদ্দিন, এসএম জাহাঙ্গীরসহ কেন্দ্রিয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
বিচারের পর জনগণ আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার সুযোগ দিলে বিএনপির কিছু বলা নেই বলে এমন মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। যিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসবেন, তিনি অপরাধী না হলে কেন রাজনীতি করতে পারবেন না? এমন প্রশ্ন রাখেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘এটি হচ্ছে আমার বক্তব্য। যদি দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা যায়, অপরাধীদের বিচার হয়, তারপর জনগণ যদি তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয়, তাহলে আমাদের বলার কিছু নেই।’
গতকাল শুক্রবার সকালে উত্তরার দক্ষিণখানে ফায়দাবাদ মধ্যপাড়া হাজী শুকুর আলী মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে দুস্থদের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যারা আসবে, তারা যদি ছাত্র হত্যার মতো অপরাধ না করে, অর্থ লোপাট ও টাকা পাচার না করে তাহলে সেই আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না?’
তিনি আরও প্রশ্ন রাখেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কি না, এমন প্রশ্ন উঠছে, অথচ এই প্রশ্ন ওঠছে না, যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের বিচার হবে কি না? কারা এই কাজ করেছে? কার নির্দেশে এসব ঘটেছে? রক্তপাত ঘটানোর জন্য আওয়ামী লীগের কোন নেতারা নির্দেশ দিয়েছেন?’ যারা অপরাধের সাথে জড়িত, তাদের বিচার হতেই হবে, আর কোনও ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন না হয়, সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান রিজভী।
বিএনপির সিনিয়র এই যুগ্ম মহাসচিব শেখ হাসিনার বিষোদাগার করে বলেন, ‘শেখ মুজিব ও তার কন্যা শেখ হাসিনা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। দুইবার ক্ষমতায় এসে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। একবার তার বাবা সব দল বন্ধ করে দিয়ে বাকশাল করলেন। আর তার মেয়ে নতুন কায়দায় নতুনভাবে আরও ভয়াবহভাবে বাকশাল তৈরি করে। বিরোধী দল এর কথা বলা, মানুষের কথা বলা বন্ধ করে দেয়, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বললেই তাদের জায়গা হয় কারাগারে। এই ছিল শেখ হাসিনার আমল।’ সেই রাজত্ব যাতে ফিরে না আসে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান রিজভী।
রিজভী আরও বলেন, ‘যদি একতরফা বিএনপিকে অভিযুক্ত করে আদালতের বাইরে নিজেরা মিডিয়া আদালত তৈরি করে বিএনপিকে অপরাধের কাঠগড়ায় দাড় করানো হয়, তাহলে এটা মিডিয়া ট্রায়াল। এটা অন্যায়, এটা সঠিক নয়।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক কফিল উদ্দিন, এসএম জাহাঙ্গীরসহ কেন্দ্রিয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।