সংস্কার কমিশনগুলোর দেওয়া সুপারিশের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটির নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল জানিয়েছেন, তারা ১৬৬টি সুপারিশের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশের সঙ্গে একমত।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে কমিশন সদস্য বদিউল আলম মজুমদারের কাছে নিজেদের মতামত হস্তান্তর করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিনিধি দল। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আবুল হাসান রুবেল।
তিনি বলেন, “১৬৬টি সুপারিশের প্রত্যেকটির বিষয়ে আমরা মতামত জানিয়েছি। এরমধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ প্রস্তাবের ব্যাপারে আমাদের ঐকমত্য আছে। ১০ শতাংশের বিষয়ে কোথাও আংশিক ঐক্যমত, কোথাও বিরোধিতা, আবার কিছু ক্ষেত্রে নতুন প্রস্তাবও আছে।”
সংবিধান সংস্কারের প্রক্রিয়া নিয়ে দলটির প্রস্তাব হলো, একটি ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ গঠন করে এই কাজ সম্পন্ন করা।
রুবেল বলেন, “জনগণের বহু দিনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে আমরা সংবিধান সংস্কার পরিষদ নির্বাচন চাই। জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে এটি করা যেতে পারে।”
তিনি ব্যাখ্যা করেন, “আমরা বলছি না, নতুন গণপরিষদ দরকার বা জাতীয় সংসদে সংশোধনের মাধ্যমেই এটি হতে হবে। বর্তমান সংবিধানের কাঠামো পুরোপুরি বদলে ফেলার প্রয়োজন নেই, তবে ক্ষমতা কাঠামোয় পরিবর্তন দরকার। এটি জনগণের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে হওয়া উচিত।”
এ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে কারা সরকার গঠন করবে বা কারা সংবিধান সংশোধন করবে—এই জটিলতাও পোহাতে হবে না। সব দল মিলে ঐকমত্যে আসা সম্ভব।”
গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মনিরউদ্দীন পাপ্পু, দীপক রায়, জুলহাসনাইন বাবু ও বাচ্চু ভূঁইয়া।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করে ঐকমত্য কমিশন। প্রথম ধাপে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশন—সংবিধান, জনপ্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত সুপারিশের বিষয়ে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের মতামত চেয়েছে তারা।
এ পর্যন্ত বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিসহ ২২টি রাজনৈতিক দল মতামত দিয়েছে। ২০ মার্চ থেকে এসব দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ঈদের পর বাকি দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হবে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত সংস্কারে ১১টি কমিশন গঠন করে। প্রথম ধাপে গঠিত ছয়টি কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ৮ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় ধাপে গঠিত পাঁচটি কমিশনের মধ্যে ‘স্থানীয় সরকার সংস্কার’ কমিশনের প্রাথমিক সুপারিশ জমা পড়ে ২২ ফেব্রুয়ারি এবং ‘গণমাধ্যম সংস্কার’ কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়ে ২২ মার্চ। এখনো স্বাস্থ্য, শ্রম ও নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা বাকি রয়েছে।
মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
সংস্কার কমিশনগুলোর দেওয়া সুপারিশের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত দিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। দলটির নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল জানিয়েছেন, তারা ১৬৬টি সুপারিশের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশের সঙ্গে একমত।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে কমিশন সদস্য বদিউল আলম মজুমদারের কাছে নিজেদের মতামত হস্তান্তর করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিনিধি দল। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আবুল হাসান রুবেল।
তিনি বলেন, “১৬৬টি সুপারিশের প্রত্যেকটির বিষয়ে আমরা মতামত জানিয়েছি। এরমধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ প্রস্তাবের ব্যাপারে আমাদের ঐকমত্য আছে। ১০ শতাংশের বিষয়ে কোথাও আংশিক ঐক্যমত, কোথাও বিরোধিতা, আবার কিছু ক্ষেত্রে নতুন প্রস্তাবও আছে।”
সংবিধান সংস্কারের প্রক্রিয়া নিয়ে দলটির প্রস্তাব হলো, একটি ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ গঠন করে এই কাজ সম্পন্ন করা।
রুবেল বলেন, “জনগণের বহু দিনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে আমরা সংবিধান সংস্কার পরিষদ নির্বাচন চাই। জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে এটি করা যেতে পারে।”
তিনি ব্যাখ্যা করেন, “আমরা বলছি না, নতুন গণপরিষদ দরকার বা জাতীয় সংসদে সংশোধনের মাধ্যমেই এটি হতে হবে। বর্তমান সংবিধানের কাঠামো পুরোপুরি বদলে ফেলার প্রয়োজন নেই, তবে ক্ষমতা কাঠামোয় পরিবর্তন দরকার। এটি জনগণের অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে হওয়া উচিত।”
এ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে কারা সরকার গঠন করবে বা কারা সংবিধান সংশোধন করবে—এই জটিলতাও পোহাতে হবে না। সব দল মিলে ঐকমত্যে আসা সম্ভব।”
গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মনিরউদ্দীন পাপ্পু, দীপক রায়, জুলহাসনাইন বাবু ও বাচ্চু ভূঁইয়া।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করে ঐকমত্য কমিশন। প্রথম ধাপে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশন—সংবিধান, জনপ্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত সুপারিশের বিষয়ে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের মতামত চেয়েছে তারা।
এ পর্যন্ত বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিসহ ২২টি রাজনৈতিক দল মতামত দিয়েছে। ২০ মার্চ থেকে এসব দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ লেবার পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ঈদের পর বাকি দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হবে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত সংস্কারে ১১টি কমিশন গঠন করে। প্রথম ধাপে গঠিত ছয়টি কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ৮ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় ধাপে গঠিত পাঁচটি কমিশনের মধ্যে ‘স্থানীয় সরকার সংস্কার’ কমিশনের প্রাথমিক সুপারিশ জমা পড়ে ২২ ফেব্রুয়ারি এবং ‘গণমাধ্যম সংস্কার’ কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়ে ২২ মার্চ। এখনো স্বাস্থ্য, শ্রম ও নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা বাকি রয়েছে।