ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজধানীতে র্যালি করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ কর্মসূচি।
র্যালি-পূর্ব সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, অন্য যেকোনো সভার তুলনায় এই মিছিল ছিল অস্বাভাবিক বড়। বিএনপির সঙ্গে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরাও অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না।’ মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেন, ফিলিস্তিনে যা ঘটছে, তা বিশ্ব মুসলমানদের নিঃশেষ করার ষড়যন্ত্র। মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ হলে ইহুদিরা এ ধরনের সহিংসতা চালাতে পারত না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিশ্বের কিছু পরাশক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনে বহু আগেই ফিলিস্তিনে গণহত্যা শুরু হয়েছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, মুসলিম বিশ্বের নেতারা কার্যকর কোনো ভূমিকা নিচ্ছেন না। গাজায় গণহত্যা বন্ধে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন হলেও কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে পরোক্ষ স্বীকৃতি এবং আড়িপাতার যন্ত্র কেনার অভিযোগও আনেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপি স্বাধীনতা দিবসে ইয়াসির আরাফাতকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আজ গাজা যেন অবরুদ্ধ খাঁচা। শিশু ও নারীদের ওপর বর্বরতা চলছে।’ যারা কর্মসূচির ভেতরে থেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবে, তারা ইসরায়েলের পক্ষে কাজ করছে বলেই বিবেচনা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ফিলিস্তিনে যুগের পর যুগ ধরে নৃশংসতা চলছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ। অথচ দেশের বুদ্ধিজীবীদের কাছ থেকে কার্যকর কোনো অবস্থান দেখা যাচ্ছে না। জাতিসংঘ এক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়।’
র্যালি-পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু এবং সঞ্চালনায় ছিলেন দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বিকেল চারটায় কর্মসূচি শুরু হলেও আড়াইটা থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। ফিলিস্তিনের পতাকা, কালো ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো এলাকা।
র্যালিটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে শান্তিনগর, মৌচাক, মগবাজার হয়ে বাংলামোটরে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা। বিকেল পৌনে পাঁচটায় র্যালি শুরু হলে সারা পথজুড়েই ছিল ব্যাপক জনসমাগম ও প্রতিবাদী স্লোগান। অংশগ্রহণকারীরা ‘ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করো, দুনিয়ার মুসলিম এক হও লড়াই করো’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন, জাতিসংঘ জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিএনপির নেতারা জানান, এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে বার্তা দেওয়া হয়েছে—বাংলাদেশের জনগণ ফিলিস্তিনের পাশে আছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজধানীতে র্যালি করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ কর্মসূচি।
র্যালি-পূর্ব সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, অন্য যেকোনো সভার তুলনায় এই মিছিল ছিল অস্বাভাবিক বড়। বিএনপির সঙ্গে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরাও অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না।’ মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেন, ফিলিস্তিনে যা ঘটছে, তা বিশ্ব মুসলমানদের নিঃশেষ করার ষড়যন্ত্র। মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ হলে ইহুদিরা এ ধরনের সহিংসতা চালাতে পারত না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিশ্বের কিছু পরাশক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনে বহু আগেই ফিলিস্তিনে গণহত্যা শুরু হয়েছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, মুসলিম বিশ্বের নেতারা কার্যকর কোনো ভূমিকা নিচ্ছেন না। গাজায় গণহত্যা বন্ধে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন হলেও কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে পরোক্ষ স্বীকৃতি এবং আড়িপাতার যন্ত্র কেনার অভিযোগও আনেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিএনপি স্বাধীনতা দিবসে ইয়াসির আরাফাতকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আজ গাজা যেন অবরুদ্ধ খাঁচা। শিশু ও নারীদের ওপর বর্বরতা চলছে।’ যারা কর্মসূচির ভেতরে থেকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবে, তারা ইসরায়েলের পক্ষে কাজ করছে বলেই বিবেচনা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ফিলিস্তিনে যুগের পর যুগ ধরে নৃশংসতা চলছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধ। অথচ দেশের বুদ্ধিজীবীদের কাছ থেকে কার্যকর কোনো অবস্থান দেখা যাচ্ছে না। জাতিসংঘ এক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয়।’
র্যালি-পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু এবং সঞ্চালনায় ছিলেন দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বিকেল চারটায় কর্মসূচি শুরু হলেও আড়াইটা থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। ফিলিস্তিনের পতাকা, কালো ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো এলাকা।
র্যালিটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে শান্তিনগর, মৌচাক, মগবাজার হয়ে বাংলামোটরে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা। বিকেল পৌনে পাঁচটায় র্যালি শুরু হলে সারা পথজুড়েই ছিল ব্যাপক জনসমাগম ও প্রতিবাদী স্লোগান। অংশগ্রহণকারীরা ‘ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করো, দুনিয়ার মুসলিম এক হও লড়াই করো’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন, জাতিসংঘ জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিএনপির নেতারা জানান, এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে বার্তা দেওয়া হয়েছে—বাংলাদেশের জনগণ ফিলিস্তিনের পাশে আছে।