দীর্ঘদিনের সঙ্গীর অসুস্থতা, চিকিৎসা, অস্ত্রোপচার আর সেই সময় নিজের কারাবন্দি জীবনের স্মৃতি—সব মিলিয়ে এক আবেগঘন ফেসবুক পোস্টে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নিজের ও স্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ফেসবুক পেজে স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
পোস্টে তিনি জানান, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে স্ত্রীর এক গুরুতর রোগ ধরা পড়ে। সেই সময়টাকে স্মরণ করে মির্জা ফখরুল লেখেন, “তখন আমার পৃথিবীটা এক মুহূর্তে থেমে গিয়েছিল। তিনি আমাদের পরিবারের মূল স্তম্ভ।”
অস্ত্রোপচারের ঠিক আগের রাতে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে উল্লেখ করেন তিনি। “রাত তিনটায় আমাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় আওয়ামী পুলিশ। আমি ছিলাম কারাগারে, যখন আমার স্ত্রীর অস্ত্রোপচার হচ্ছিল।”
তিনি বলেন, তার কন্যারা, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফোনে খোঁজখবর রাখছিলেন।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, “আমার স্ত্রী অসীম ধৈর্য ও হাসিমুখে চিকিৎসা সহ্য করেছেন। আজ সিঙ্গাপুরে তাঁর চিকিৎসক জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালো দেখা যাচ্ছে। তবে ছয় মাস পর আমাদের আবার যেতে হবে।”
ফখরুল এ সময় সবার দোয়া ও শুভকামনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে তাকে ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাসা থেকে তুলে নেয় ডিবি। ৭ ডিসেম্বর পল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় পরদিন গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের আদেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। ৩২ দিন কারাভোগের পর ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পান তারা।
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
দীর্ঘদিনের সঙ্গীর অসুস্থতা, চিকিৎসা, অস্ত্রোপচার আর সেই সময় নিজের কারাবন্দি জীবনের স্মৃতি—সব মিলিয়ে এক আবেগঘন ফেসবুক পোস্টে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নিজের ও স্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বর্তমানে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ফেসবুক পেজে স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
পোস্টে তিনি জানান, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে স্ত্রীর এক গুরুতর রোগ ধরা পড়ে। সেই সময়টাকে স্মরণ করে মির্জা ফখরুল লেখেন, “তখন আমার পৃথিবীটা এক মুহূর্তে থেমে গিয়েছিল। তিনি আমাদের পরিবারের মূল স্তম্ভ।”
অস্ত্রোপচারের ঠিক আগের রাতে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে উল্লেখ করেন তিনি। “রাত তিনটায় আমাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় আওয়ামী পুলিশ। আমি ছিলাম কারাগারে, যখন আমার স্ত্রীর অস্ত্রোপচার হচ্ছিল।”
তিনি বলেন, তার কন্যারা, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফোনে খোঁজখবর রাখছিলেন।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, “আমার স্ত্রী অসীম ধৈর্য ও হাসিমুখে চিকিৎসা সহ্য করেছেন। আজ সিঙ্গাপুরে তাঁর চিকিৎসক জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালো দেখা যাচ্ছে। তবে ছয় মাস পর আমাদের আবার যেতে হবে।”
ফখরুল এ সময় সবার দোয়া ও শুভকামনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে তাকে ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাসা থেকে তুলে নেয় ডিবি। ৭ ডিসেম্বর পল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় পরদিন গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের আদেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। ৩২ দিন কারাভোগের পর ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পান তারা।