সরকারের উপদেষ্টাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, “কিছু উপদেষ্টার কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে এখন পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার খায়েশ জন্মেছে। কিন্তু জনগণ এমন কোনো কথা বলেনি। জনগণ চায় জবাবদিহিমূলক সরকার, যেখানে তারা ভোট দিতে পারবে, এবং সেই ভোটেই সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।”
আজ শুক্রবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং কলেজ মাঠে যুবদল আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা এবং সঞ্চালনা করেন জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান খান। উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাসুদ খান, উপজেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মোশারফ হোসেন, মহিলা দলের উপজেলা সভাপতি রোকেয়া বেগমসহ স্থানীয় নেতারা।
আসাদুজ্জামান বলেন, “সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন এবং তাঁদের মধ্যে থেকেই সরকার গঠন হবে। গত ১৫ বছর ধরে তা হয়নি। ফলে ২০২৪ সালের আগস্টে গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। এই পরিবর্তনের জন্য অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা হয়েছে, রক্ত ঝরেছে। সেটাই আমাদের রাজনৈতিক চেতনার ভিত্তি।”
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, “তাঁর শ্রম ও আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা আমরা সম্মান করি। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবেন— আমরা সেই নির্বাচনের অপেক্ষায় আছি।”
তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে মনে করিয়ে দিতে চাই— এটি একটি সীমিত দায়িত্বের সরকার। আপনাদের কাজ বড় বড় স্থাপনা নির্মাণ নয়, বরং একটি সুন্দর, গণতান্ত্রিক, অংশগ্রহণমূলক ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা তৈরি করে যাওয়া।”
দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রিপন বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের দলে টানা চলবে না। বিএনপিতে কোটি কোটি মানুষ আছেন, যারা দলকে ভালোবাসেন। আওয়ামী লীগপন্থী ব্যক্তিদের দলে ভেড়ালে, তাঁদের বয়কট করুন। এমন ব্যক্তিদের দলে স্থান নেই— এটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনা।”
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
সরকারের উপদেষ্টাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, “কিছু উপদেষ্টার কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে এখন পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার খায়েশ জন্মেছে। কিন্তু জনগণ এমন কোনো কথা বলেনি। জনগণ চায় জবাবদিহিমূলক সরকার, যেখানে তারা ভোট দিতে পারবে, এবং সেই ভোটেই সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।”
আজ শুক্রবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং কলেজ মাঠে যুবদল আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা এবং সঞ্চালনা করেন জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান খান। উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাসুদ খান, উপজেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মোশারফ হোসেন, মহিলা দলের উপজেলা সভাপতি রোকেয়া বেগমসহ স্থানীয় নেতারা।
আসাদুজ্জামান বলেন, “সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন এবং তাঁদের মধ্যে থেকেই সরকার গঠন হবে। গত ১৫ বছর ধরে তা হয়নি। ফলে ২০২৪ সালের আগস্টে গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। এই পরিবর্তনের জন্য অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা হয়েছে, রক্ত ঝরেছে। সেটাই আমাদের রাজনৈতিক চেতনার ভিত্তি।”
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, “তাঁর শ্রম ও আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা আমরা সম্মান করি। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবেন— আমরা সেই নির্বাচনের অপেক্ষায় আছি।”
তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে মনে করিয়ে দিতে চাই— এটি একটি সীমিত দায়িত্বের সরকার। আপনাদের কাজ বড় বড় স্থাপনা নির্মাণ নয়, বরং একটি সুন্দর, গণতান্ত্রিক, অংশগ্রহণমূলক ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা তৈরি করে যাওয়া।”
দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রিপন বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের দলে টানা চলবে না। বিএনপিতে কোটি কোটি মানুষ আছেন, যারা দলকে ভালোবাসেন। আওয়ামী লীগপন্থী ব্যক্তিদের দলে ভেড়ালে, তাঁদের বয়কট করুন। এমন ব্যক্তিদের দলে স্থান নেই— এটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনা।”