প্রতিনিধিত্বমূলক একটি নির্বাচনের প্রত্যাশায় বিএনপি পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, নির্বাচন ঘোষণা হলেই প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করলেই মনোনয়ন বোর্ড গঠন ও প্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করবে বিএনপি। বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে অতীতেও ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেছে বিএনপি, আগামীতেও ভোটের মাধ্যমেই রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আজ শনিবার বিকেল চারটায় দিনাজপুর সদর উপজেলার বাঁশেরহাট সালমাবাদ এলাকার একটি বেসরকারি রিসোর্টে জেলা বিএনপির আয়োজিত দলীয় সভা শুরুর আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শামসুজ্জামান দুদু। সভায় দলের বিভিন্ন ইউনিট ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, খুনি, লুটেরা, সংবিধান তছনছকারী, স্বাধীনতা বিপন্নকারী এক দানবীয় সরকারকে বিদায় করা হয়েছে সাত-আট মাস আগে। গত ১৫–১৬ বছর ধরে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আন্দোলন করেছে, এতে অনেকে শহীদ হয়েছেন, অনেক নেতা গুম ও খুন হয়েছেন। বিএনপির নেত্রী ছয় বছর জেলে ছিলেন, তারেক রহমান ১৫-১৬ বছর নির্বাসনে আছেন। অনেক নেতা-কর্মী ফাঁসির মুখোমুখি হয়েছেন, কেউ ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। ৬০ লাখ নেতা-কর্মী আসামি হয়েছেন, দিনের পর দিন জেল খেটেছেন। তবে আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি, যত দিন মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে না দেওয়া যাবে, তত দিন রাজপথে থেকেই তা আদায় করতে হবে।
সংসদ নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস কথা দিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে বা তার পরে দু-এক মাসের মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি সেটি বিশ্বাস করতে চায় এবং সরকারের কাছে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রত্যাশা করে। তিনি বলেন, সংকট কেটে যাবে তখনই, যখন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।
দেড় বছরের মধ্যে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রত্যয় ব্যক্ত করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং ৩১ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি রোল মডেল রাষ্ট্রে পরিণত করাই বিএনপির লক্ষ্য। কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের জন্য একটি নিশ্চিত জীবন নিশ্চিত করতেই এ আন্দোলন চলছে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব (দুলু)। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়া, সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, এ জেড এম রেজওয়ানুল হক, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসভাপতি এ কে এম কামরুজ্জামান এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ আহম্মেদ।
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
প্রতিনিধিত্বমূলক একটি নির্বাচনের প্রত্যাশায় বিএনপি পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, নির্বাচন ঘোষণা হলেই প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করলেই মনোনয়ন বোর্ড গঠন ও প্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করবে বিএনপি। বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে অতীতেও ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেছে বিএনপি, আগামীতেও ভোটের মাধ্যমেই রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আজ শনিবার বিকেল চারটায় দিনাজপুর সদর উপজেলার বাঁশেরহাট সালমাবাদ এলাকার একটি বেসরকারি রিসোর্টে জেলা বিএনপির আয়োজিত দলীয় সভা শুরুর আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শামসুজ্জামান দুদু। সভায় দলের বিভিন্ন ইউনিট ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, খুনি, লুটেরা, সংবিধান তছনছকারী, স্বাধীনতা বিপন্নকারী এক দানবীয় সরকারকে বিদায় করা হয়েছে সাত-আট মাস আগে। গত ১৫–১৬ বছর ধরে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আন্দোলন করেছে, এতে অনেকে শহীদ হয়েছেন, অনেক নেতা গুম ও খুন হয়েছেন। বিএনপির নেত্রী ছয় বছর জেলে ছিলেন, তারেক রহমান ১৫-১৬ বছর নির্বাসনে আছেন। অনেক নেতা-কর্মী ফাঁসির মুখোমুখি হয়েছেন, কেউ ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। ৬০ লাখ নেতা-কর্মী আসামি হয়েছেন, দিনের পর দিন জেল খেটেছেন। তবে আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি, যত দিন মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে না দেওয়া যাবে, তত দিন রাজপথে থেকেই তা আদায় করতে হবে।
সংসদ নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস কথা দিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে বা তার পরে দু-এক মাসের মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি সেটি বিশ্বাস করতে চায় এবং সরকারের কাছে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রত্যাশা করে। তিনি বলেন, সংকট কেটে যাবে তখনই, যখন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।
দেড় বছরের মধ্যে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রত্যয় ব্যক্ত করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং ৩১ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি রোল মডেল রাষ্ট্রে পরিণত করাই বিএনপির লক্ষ্য। কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের জন্য একটি নিশ্চিত জীবন নিশ্চিত করতেই এ আন্দোলন চলছে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব (দুলু)। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়া, সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, এ জেড এম রেজওয়ানুল হক, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসভাপতি এ কে এম কামরুজ্জামান এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুরাদ আহম্মেদ।