যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। জাতীয় নির্বাচন ও রাষ্ট্রসংস্কার প্রশ্নে দুই দলের ভিন্নমুখী অবস্থানের প্রেক্ষাপটে এই সাক্ষাৎ রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসভবনে গত রোববার এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় বলে দুই দল থেকেই একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সাক্ষাতের সময় তারেক রহমান নিজেও উপস্থিত ছিলেন বলে জামায়াতের নেতারা জানিয়েছেন।
জামায়াত আমির দেশে ফেরেন সোমবার। ফেরার পর তিনি একাধিক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাতের বিষয়টি স্বীকার করেন। এর আগে তিনি ব্রাসেলস সফর করেন, যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তরে একাধিক বৈঠকে অংশ নেন। সফরসঙ্গী ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও আমিরের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান।
এদিকে খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে বলেন, “জিয়া দম্পতির বড় ছেলে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় গিয়ে তারা দেখা করেন। দীর্ঘ এ সাক্ষাতপর্বে তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন।”
তিনি আরও লিখেন, “বেগম জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতার সাক্ষাতে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি। দুই ডাক্তারের এই সাক্ষাৎ রাজনীতির রসায়নে নতুন কোনো ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, না কি নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েই থাকবে, তা বুঝতে হলে আমাদেরকে চোখ রাখতে হবে সামনের দিকে।”
মারুফ কামাল খান তার পোস্টের শেষাংশে উল্লেখ করেন, “বেগম জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বিলেত যাবার আগে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও সস্ত্রীক তার বাসায় গিয়ে দেখা করেছিলেন। সে সাক্ষাতকার নিয়েও বিশদ কিছু জানা যায়নি।”
প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নেওয়া হয়। লন্ডন ক্লিনিকে ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি এখন ছেলের বাসায় রয়েছেন এবং সেখানেই দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। জাতীয় নির্বাচন ও রাষ্ট্রসংস্কার প্রশ্নে দুই দলের ভিন্নমুখী অবস্থানের প্রেক্ষাপটে এই সাক্ষাৎ রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসভবনে গত রোববার এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় বলে দুই দল থেকেই একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সাক্ষাতের সময় তারেক রহমান নিজেও উপস্থিত ছিলেন বলে জামায়াতের নেতারা জানিয়েছেন।
জামায়াত আমির দেশে ফেরেন সোমবার। ফেরার পর তিনি একাধিক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাতের বিষয়টি স্বীকার করেন। এর আগে তিনি ব্রাসেলস সফর করেন, যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তরে একাধিক বৈঠকে অংশ নেন। সফরসঙ্গী ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও আমিরের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মাহমুদুল হাসান।
এদিকে খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে বলেন, “জিয়া দম্পতির বড় ছেলে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় গিয়ে তারা দেখা করেন। দীর্ঘ এ সাক্ষাতপর্বে তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন।”
তিনি আরও লিখেন, “বেগম জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতার সাক্ষাতে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি। দুই ডাক্তারের এই সাক্ষাৎ রাজনীতির রসায়নে নতুন কোনো ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, না কি নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েই থাকবে, তা বুঝতে হলে আমাদেরকে চোখ রাখতে হবে সামনের দিকে।”
মারুফ কামাল খান তার পোস্টের শেষাংশে উল্লেখ করেন, “বেগম জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বিলেত যাবার আগে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও সস্ত্রীক তার বাসায় গিয়ে দেখা করেছিলেন। সে সাক্ষাতকার নিয়েও বিশদ কিছু জানা যায়নি।”
প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নেওয়া হয়। লন্ডন ক্লিনিকে ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি এখন ছেলের বাসায় রয়েছেন এবং সেখানেই দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।