২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী রমজানের আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। বর্ষা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই এ দাবি জানিয়েছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।
বুধবার দুপুরে মার্কিন ডেপুটি হেড অব মিশনের বাসভবনে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিকের সঙ্গে বৈঠক করেন জামায়াত আমির। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, বৈঠকে তারা নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেছেন।
সম্প্রতি লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আসা জামায়াত আমির বলেন, “তারা (মার্কিন প্রতিনিধি দল) শুধু এটাই জানতে চেয়েছে, কখন আমরা এই নির্বাচন অনুষ্ঠানটা দেখতে চাচ্ছি। আমরা বলেছি যে, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি এই বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে ইলেকশন দেবেন। আমরা তার কমিটমেন্টে তিনি ঠিক আছেন কিনা দেখতে চাই।”
এ বিষয়ে জামায়াত কী মত তুলে ধরেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের ভিউ হচ্ছে, এটা রমজানের আগেই শেষ হয়ে যাক। ওই জুন পর্যন্ত অপেক্ষা, কখন বর্ষা, ঝড়ঝাপটা বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবে, তখন আবার ইলেকশনটা না হওয়ার আশঙ্কা দেখা যাবে। তাই আমরা চাচ্ছি, ওই আশঙ্কার আগেই, রমজানের আগেই এইটা হয়ে যায়, সেটা আমাদের মতামত।”
একজন সাংবাদিক জানতে চান, জামায়াত তাহলে আগামী রোজার আগেই নির্বাচন চাইছে কি না। জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, “হ্যাঁ। শুধু আগামী না। আগামী অনেক রোজাই আসবে। আগামী প্রথম রমজানে আগেই।”
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিলে নির্বাচন প্রশ্নে দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের মতভিন্নতা দেখা দেয়।
বিএনপি প্রথম থেকেই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন এবং নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে সংস্কার কাজ এগিয়ে নেওয়ার পক্ষে বলে আসছে। সেখানে জামায়াত গুরুত্ব দিয়ে আসছিল সংস্কার ও আওয়ামী লীগের বিচারে।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলে রেখেছেন, কতটা সংস্কার করা হবে তার ওপর ভিত্তি করে এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, নির্বাচন কোনোভাবেই ডিসেম্বরের পরে নেওয়া যাবে না।
সেই জায়গায় জামায়াত আমিরের নতুন বক্তব্য নির্বাচন প্রশ্নে তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে আসার বার্তা দিল, কারণ আগামী রোজা শুরু হবে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে, আর তার আগেই নির্বাচন চাইছে দলটি।
শফিকুর রহমান বলেন, তারা চান আগামী নির্বাচন হোক সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে, সেটা তারা মার্কিন প্রতিনিধি দলকেও বলেছেন। “আমরা ইতোমধ্যে বলেছি, আপনারা জানেন। কেন চাই সেটাও আমরা বলেছি, আপনারা জানেন। নতুন করে আর বলার কিছু নাই।”
পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিচার দেখতে চাওয়ার প্রত্যাশার কথাও বলেন জামায়াতের আমির।
জাতীয় নির্বাচন ও রাষ্ট্রসংস্কার প্রশ্নে ‘বিপরীতমুখী’ অবস্থানের মধ্যেই রোববার যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন শফিকুর রহমান; এটিই তাদের প্রথম সাক্ষাৎ।
লন্ডনে গত রোববার খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় এ সাক্ষাৎ হয় বলে দুই দলের একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন।
জামায়াতের আমির দেশে ফেরেন সোমবার। তিনিও একাধিক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, লন্ডনে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছে। সাক্ষাতের সময় তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন বলে জামায়াতের একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান তার ফেইসবুক পেইজে খালেদা জিয়া ও জামায়াত আমিরের সাক্ষাতের বিষয়ে এক পোস্টে বলেন, “জিয়া দম্পতির বড় ছেলে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় গিয়ে তারা দেখা করেন। দীর্ঘ এ সাক্ষাতপর্বে তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন।”
পোস্টে আরও বলা হয়, “বেগম জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতার সাক্ষাতে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি। দুই ডাক্তারের এই সাক্ষাৎ রাজনীতির রসায়নে নতুন কোনো ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, না কি নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েই থাকবে, তা বুঝতে হলে আমাদেরকে চোখ রাখতে হবে সামনের দিকে।”
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী রমজানের আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। বর্ষা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই এ দাবি জানিয়েছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান।
বুধবার দুপুরে মার্কিন ডেপুটি হেড অব মিশনের বাসভবনে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিকের সঙ্গে বৈঠক করেন জামায়াত আমির। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, বৈঠকে তারা নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেছেন।
সম্প্রতি লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আসা জামায়াত আমির বলেন, “তারা (মার্কিন প্রতিনিধি দল) শুধু এটাই জানতে চেয়েছে, কখন আমরা এই নির্বাচন অনুষ্ঠানটা দেখতে চাচ্ছি। আমরা বলেছি যে, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি এই বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে ইলেকশন দেবেন। আমরা তার কমিটমেন্টে তিনি ঠিক আছেন কিনা দেখতে চাই।”
এ বিষয়ে জামায়াত কী মত তুলে ধরেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের ভিউ হচ্ছে, এটা রমজানের আগেই শেষ হয়ে যাক। ওই জুন পর্যন্ত অপেক্ষা, কখন বর্ষা, ঝড়ঝাপটা বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবে, তখন আবার ইলেকশনটা না হওয়ার আশঙ্কা দেখা যাবে। তাই আমরা চাচ্ছি, ওই আশঙ্কার আগেই, রমজানের আগেই এইটা হয়ে যায়, সেটা আমাদের মতামত।”
একজন সাংবাদিক জানতে চান, জামায়াত তাহলে আগামী রোজার আগেই নির্বাচন চাইছে কি না। জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, “হ্যাঁ। শুধু আগামী না। আগামী অনেক রোজাই আসবে। আগামী প্রথম রমজানে আগেই।”
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিলে নির্বাচন প্রশ্নে দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের মতভিন্নতা দেখা দেয়।
বিএনপি প্রথম থেকেই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন এবং নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে সংস্কার কাজ এগিয়ে নেওয়ার পক্ষে বলে আসছে। সেখানে জামায়াত গুরুত্ব দিয়ে আসছিল সংস্কার ও আওয়ামী লীগের বিচারে।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলে রেখেছেন, কতটা সংস্কার করা হবে তার ওপর ভিত্তি করে এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, নির্বাচন কোনোভাবেই ডিসেম্বরের পরে নেওয়া যাবে না।
সেই জায়গায় জামায়াত আমিরের নতুন বক্তব্য নির্বাচন প্রশ্নে তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে আসার বার্তা দিল, কারণ আগামী রোজা শুরু হবে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে, আর তার আগেই নির্বাচন চাইছে দলটি।
শফিকুর রহমান বলেন, তারা চান আগামী নির্বাচন হোক সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে, সেটা তারা মার্কিন প্রতিনিধি দলকেও বলেছেন। “আমরা ইতোমধ্যে বলেছি, আপনারা জানেন। কেন চাই সেটাও আমরা বলেছি, আপনারা জানেন। নতুন করে আর বলার কিছু নাই।”
পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিচার দেখতে চাওয়ার প্রত্যাশার কথাও বলেন জামায়াতের আমির।
জাতীয় নির্বাচন ও রাষ্ট্রসংস্কার প্রশ্নে ‘বিপরীতমুখী’ অবস্থানের মধ্যেই রোববার যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন শফিকুর রহমান; এটিই তাদের প্রথম সাক্ষাৎ।
লন্ডনে গত রোববার খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় এ সাক্ষাৎ হয় বলে দুই দলের একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন।
জামায়াতের আমির দেশে ফেরেন সোমবার। তিনিও একাধিক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, লন্ডনে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছে। সাক্ষাতের সময় তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন বলে জামায়াতের একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান তার ফেইসবুক পেইজে খালেদা জিয়া ও জামায়াত আমিরের সাক্ষাতের বিষয়ে এক পোস্টে বলেন, “জিয়া দম্পতির বড় ছেলে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় গিয়ে তারা দেখা করেন। দীর্ঘ এ সাক্ষাতপর্বে তারেক রহমানও উপস্থিত ছিলেন।”
পোস্টে আরও বলা হয়, “বেগম জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতার সাক্ষাতে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি। দুই ডাক্তারের এই সাক্ষাৎ রাজনীতির রসায়নে নতুন কোনো ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, না কি নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েই থাকবে, তা বুঝতে হলে আমাদেরকে চোখ রাখতে হবে সামনের দিকে।”