ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গুছিয়ে জুলাই মাসে মুদ্রিত কর্মপরিকল্পনা জনসম্মুখে প্রকাশের উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আইন সংস্কার, সীমানা নির্ধারণ, নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট নানা কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসির খসড়া রোডম্যাপ (কর্মপরিকল্পনা) বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের যে ধারণা দেওয়া হয়েছে, তা সামনে রেখেই কমিশনের সব প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, “আনুষ্ঠানিকভাবে রোডম্যাপ না বলে আমরা বিষয়টিকে কর্মপরিকল্পনা হিসেবে দেখছি। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমরা নিজস্ব একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।”
নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রাথমিক পর্যায়ে আসনের প্রশাসনিক বিন্যাস, ভোটার তালিকার তথ্য সংগ্রহ ও হালনাগাদ কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি। নিবন্ধনের কাজও একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে। আইন সংশোধন সম্পন্ন হলে বাকি কাজগুলোও দ্রুত শেষ করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, “আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রি-ওয়ার্ক হিসেবে আমরা মোটামুটি সব কাজ সেরে ফেলবো। আশা করি, জুন-জুলাইয়ের মধ্যে মুদ্রিত কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করতে পারবো।”
নতুন ও পুরনো রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনার কথাও জানান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, “নতুন দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করে আমরা অগাস্ট-সেপ্টেম্বর নাগাদ, সম্ভব হলে তারও আগে, সংলাপে বসতে চাই।”
এই পর্যন্ত তিনটি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তারা সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। আপাতত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদনের সময় নির্ধারিত রয়েছে, তবে সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি আরও জানান, “নিবন্ধনের কাজ শেষ না হলে নতুন দলগুলো অংশ নিতে পারবে না, তাই আমরা চাই কাজটি দ্রুত শেষ করতে।”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “রমজানে আমরা যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখেছি, তা অতীতের তুলনায় উন্নত। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, তারা পারফরম্যান্স আরও উন্নত করার চেষ্টা করছেন। এই ধারাবাহিকতা থাকলে নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকবে না।”
আগামী ছয় থেকে আট মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গুছিয়ে জুলাই মাসে মুদ্রিত কর্মপরিকল্পনা জনসম্মুখে প্রকাশের উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আইন সংস্কার, সীমানা নির্ধারণ, নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট নানা কাজ এগিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসির খসড়া রোডম্যাপ (কর্মপরিকল্পনা) বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের যে ধারণা দেওয়া হয়েছে, তা সামনে রেখেই কমিশনের সব প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, “আনুষ্ঠানিকভাবে রোডম্যাপ না বলে আমরা বিষয়টিকে কর্মপরিকল্পনা হিসেবে দেখছি। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমরা নিজস্ব একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।”
নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রাথমিক পর্যায়ে আসনের প্রশাসনিক বিন্যাস, ভোটার তালিকার তথ্য সংগ্রহ ও হালনাগাদ কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি। নিবন্ধনের কাজও একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে। আইন সংশোধন সম্পন্ন হলে বাকি কাজগুলোও দ্রুত শেষ করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, “আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রি-ওয়ার্ক হিসেবে আমরা মোটামুটি সব কাজ সেরে ফেলবো। আশা করি, জুন-জুলাইয়ের মধ্যে মুদ্রিত কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করতে পারবো।”
নতুন ও পুরনো রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে সংলাপ আয়োজনের পরিকল্পনার কথাও জানান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, “নতুন দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করে আমরা অগাস্ট-সেপ্টেম্বর নাগাদ, সম্ভব হলে তারও আগে, সংলাপে বসতে চাই।”
এই পর্যন্ত তিনটি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে জানিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, তারা সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। আপাতত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদনের সময় নির্ধারিত রয়েছে, তবে সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি আরও জানান, “নিবন্ধনের কাজ শেষ না হলে নতুন দলগুলো অংশ নিতে পারবে না, তাই আমরা চাই কাজটি দ্রুত শেষ করতে।”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “রমজানে আমরা যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখেছি, তা অতীতের তুলনায় উন্নত। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারাও জানিয়েছেন, তারা পারফরম্যান্স আরও উন্নত করার চেষ্টা করছেন। এই ধারাবাহিকতা থাকলে নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকবে না।”
আগামী ছয় থেকে আট মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।