প্রধান বিচারপতি নিয়োগে আপিল বিভাগের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতির পরিবর্তে অন্তত দুই-তিনজন বিচারপতিকে বিকল্প হিসেবে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের মধ্যাহ্ন বিরতিতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন।
তিনি জানান, কমিশনের প্রস্তাব ছিল সিনিয়র মোস্ট বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি করার। তবে বিএনপি মনে করে, বিকল্প অপশন থাকা উচিত। কারণ অতীতে বিচার বিভাগে কিছু অসংহতির উদাহরণ রয়েছে। ভবিষ্যতে বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিকল্প বিচারপতিদের মধ্যে থেকে একজনকে মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ রাখা দরকার।
হাইকোর্ট বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, অষ্টম সংশোধনী বাতিল করে আদালতের রায়ে স্থায়ী বেঞ্চকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বিএনপির প্রস্তাব, সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনে বাধ্যবাধকতা তৈরির জন্য সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হোক।
বিচারপতি নিয়োগে ‘জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কমিশন’ গঠনের প্রস্তাবেও নীতিগতভাবে একমত বিএনপি। তবে এটি নিয়ে সংসদে আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করে দলটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপককে বিচারক নিয়োগের বিষয়েও নীতিগত সম্মতি জানিয়েছে বিএনপি।
বিভিন্ন কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাবেও বিএনপি দ্বিমত পোষণ করেছে। তারা মনে করে, আইনের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হওয়াই যুক্তিসংগত। গণভোট বিষয়ে বিএনপি বলেছে, এটি সব বিষয়ে হওয়া উচিত নয়। বিশেষ কিছু অনুচ্ছেদে গণভোট রাখা যায়, তবে সেটি ভবিষ্যৎ সংসদের সিদ্ধান্ত।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনার পক্ষেও মত দিয়েছে বিএনপি। তারা জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতির কিছু ক্ষমতা নির্ধারণ করে নতুন অনুচ্ছেদ যুক্ত করার প্রস্তাব দেবে। তবে প্রধানমন্ত্রী যাতে তিনটি পদে (প্রধানমন্ত্রী, দলীয় প্রধান, সংসদ নেতা) না থাকেন—এই প্রস্তাবে দলটি একমত নয়।
ন্যাশনাল কনস্টিটিউশন কাউন্সিল, সংসদের দুই কক্ষ, সংসদ সদস্যের বয়স ২১ বছর করা, সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনসহ কয়েকটি প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে বিএনপি। অন্যদিকে, ন্যায়পাল নিয়োগ, অভিসংশন প্রক্রিয়া, স্থানীয় সরকারে দলীয় প্রতীক না রাখা, জেলা পর্যায়ে অ্যাটর্নি সার্ভিস চালু করা ইত্যাদি বিষয়ে তারা একমত পোষণ করেছে।
সালাহউদ্দিন জানান, অধিকাংশ প্রস্তাবে বিএনপি একমত। তবে কিছু বিষয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন। স্থানীয় সরকারে সংসদ সদস্যদের না রাখার প্রস্তাবেও তারা নীতিগতভাবে একমত হলেও, সেটি সংসদে আলোচনার দাবি রাখে।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে আপিল বিভাগের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতির পরিবর্তে অন্তত দুই-তিনজন বিচারপতিকে বিকল্প হিসেবে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের মধ্যাহ্ন বিরতিতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন।
তিনি জানান, কমিশনের প্রস্তাব ছিল সিনিয়র মোস্ট বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি করার। তবে বিএনপি মনে করে, বিকল্প অপশন থাকা উচিত। কারণ অতীতে বিচার বিভাগে কিছু অসংহতির উদাহরণ রয়েছে। ভবিষ্যতে বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিকল্প বিচারপতিদের মধ্যে থেকে একজনকে মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ রাখা দরকার।
হাইকোর্ট বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, অষ্টম সংশোধনী বাতিল করে আদালতের রায়ে স্থায়ী বেঞ্চকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বিএনপির প্রস্তাব, সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনে বাধ্যবাধকতা তৈরির জন্য সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হোক।
বিচারপতি নিয়োগে ‘জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কমিশন’ গঠনের প্রস্তাবেও নীতিগতভাবে একমত বিএনপি। তবে এটি নিয়ে সংসদে আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করে দলটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপককে বিচারক নিয়োগের বিষয়েও নীতিগত সম্মতি জানিয়েছে বিএনপি।
বিভিন্ন কমিশনকে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাবেও বিএনপি দ্বিমত পোষণ করেছে। তারা মনে করে, আইনের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হওয়াই যুক্তিসংগত। গণভোট বিষয়ে বিএনপি বলেছে, এটি সব বিষয়ে হওয়া উচিত নয়। বিশেষ কিছু অনুচ্ছেদে গণভোট রাখা যায়, তবে সেটি ভবিষ্যৎ সংসদের সিদ্ধান্ত।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনার পক্ষেও মত দিয়েছে বিএনপি। তারা জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতির কিছু ক্ষমতা নির্ধারণ করে নতুন অনুচ্ছেদ যুক্ত করার প্রস্তাব দেবে। তবে প্রধানমন্ত্রী যাতে তিনটি পদে (প্রধানমন্ত্রী, দলীয় প্রধান, সংসদ নেতা) না থাকেন—এই প্রস্তাবে দলটি একমত নয়।
ন্যাশনাল কনস্টিটিউশন কাউন্সিল, সংসদের দুই কক্ষ, সংসদ সদস্যের বয়স ২১ বছর করা, সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনসহ কয়েকটি প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে বিএনপি। অন্যদিকে, ন্যায়পাল নিয়োগ, অভিসংশন প্রক্রিয়া, স্থানীয় সরকারে দলীয় প্রতীক না রাখা, জেলা পর্যায়ে অ্যাটর্নি সার্ভিস চালু করা ইত্যাদি বিষয়ে তারা একমত পোষণ করেছে।
সালাহউদ্দিন জানান, অধিকাংশ প্রস্তাবে বিএনপি একমত। তবে কিছু বিষয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন। স্থানীয় সরকারে সংসদ সদস্যদের না রাখার প্রস্তাবেও তারা নীতিগতভাবে একমত হলেও, সেটি সংসদে আলোচনার দাবি রাখে।