যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্য ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির নামে থাকা দেশে-বিদেশের সম্পদ জব্দ এবং বিনিয়োগ অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পর এই আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
আদেশ অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা ৩৬২ দশমিক ৪৩ একর জমি, সাতটি ফ্ল্যাট ও জমিসহ কয়েকটি বাড়ি জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানিতে কাজী নাবিলের ভাই কাজী আনিস আহমেদের বিনিয়োগও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি একই আদালত কাজী নাবিল, তার বাবা প্রয়াত কাজী শাহেদ আহমেদ, মা আমিনা আহমেদ ও দুই ভাই কাজী আনিস আহমেদ ও কাজী ইনাম আহমেদের নামে থাকা ৮৩টি ব্যাংক হিসাব এবং আরও ৪০টি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার জব্দ করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে:
কাজী নাবিলের নামে: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৩৪.৬৩ একর, বোদায় ২৫.৫৫ একর, সদর উপজেলায় ১০.৮ একর জমি; খুলনায় ২৪৬ একর জমি, রূপসায় ২৬.৫১ একর জমি; ঢাকার ধানমন্ডিতে ১১ শতক জমিসহ ছয়তলা ভবনের এক-তৃতীয়াংশ, মোহাম্মদপুরে দুইটি প্লট এবং গুলশানে একটি ফ্ল্যাট।
প্রয়াত কাজী শাহেদের নামে: ধানমন্ডিতে ১৬.৫০ শতাংশ জমিসহ ছয়তলা ভবন, যশোরে জমিসহ দুইতলা বাড়ি, কাজীপাড়ায় ১৫.৯৮ একর জমি এবং কক্সবাজারের টেকনাফে ২.২৪ একর জমি।
আমিনা আহমেদের নামে: ধানমন্ডির তিনটি ফ্ল্যাট ও সেন্ট মার্টিনে ১.৪৪ একর জমি।
কাজী আনিসের নামে: ধানমন্ডিতে ১১ শতক জমিসহ ছয়তলা বাড়ির এক-তৃতীয়াংশ এবং গুলশানের একটি ফ্ল্যাট।
কাজী ইনামের নামে: ধানমন্ডিতে ১১ শতক জমিতে ছয়তলা ভবনের এক-তৃতীয়াংশ এবং ধানমন্ডি ও গুলশানে দুটি ফ্ল্যাট।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ‘এজেন্টটা এলএলসি’ কোম্পানিতে কাজী আনিস আহমেদের বিনিয়োগকৃত ৬১ লাখ ৩৯ হাজার ৩১ ডলার মূল্যের শেয়ারও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। দুদকের মতে, এ বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।
গত ১৩ মার্চ কাজী নাবিল ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৩৬ কোম্পানির ৪ কোটি ২৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৮টি শেয়ারও অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছিল আদালত, যার অভিহিত মূল্য ৬০ কোটি ৪৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্য ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির নামে থাকা দেশে-বিদেশের সম্পদ জব্দ এবং বিনিয়োগ অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পর এই আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
আদেশ অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা ৩৬২ দশমিক ৪৩ একর জমি, সাতটি ফ্ল্যাট ও জমিসহ কয়েকটি বাড়ি জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানিতে কাজী নাবিলের ভাই কাজী আনিস আহমেদের বিনিয়োগও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি একই আদালত কাজী নাবিল, তার বাবা প্রয়াত কাজী শাহেদ আহমেদ, মা আমিনা আহমেদ ও দুই ভাই কাজী আনিস আহমেদ ও কাজী ইনাম আহমেদের নামে থাকা ৮৩টি ব্যাংক হিসাব এবং আরও ৪০টি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার জব্দ করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে:
কাজী নাবিলের নামে: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৩৪.৬৩ একর, বোদায় ২৫.৫৫ একর, সদর উপজেলায় ১০.৮ একর জমি; খুলনায় ২৪৬ একর জমি, রূপসায় ২৬.৫১ একর জমি; ঢাকার ধানমন্ডিতে ১১ শতক জমিসহ ছয়তলা ভবনের এক-তৃতীয়াংশ, মোহাম্মদপুরে দুইটি প্লট এবং গুলশানে একটি ফ্ল্যাট।
প্রয়াত কাজী শাহেদের নামে: ধানমন্ডিতে ১৬.৫০ শতাংশ জমিসহ ছয়তলা ভবন, যশোরে জমিসহ দুইতলা বাড়ি, কাজীপাড়ায় ১৫.৯৮ একর জমি এবং কক্সবাজারের টেকনাফে ২.২৪ একর জমি।
আমিনা আহমেদের নামে: ধানমন্ডির তিনটি ফ্ল্যাট ও সেন্ট মার্টিনে ১.৪৪ একর জমি।
কাজী আনিসের নামে: ধানমন্ডিতে ১১ শতক জমিসহ ছয়তলা বাড়ির এক-তৃতীয়াংশ এবং গুলশানের একটি ফ্ল্যাট।
কাজী ইনামের নামে: ধানমন্ডিতে ১১ শতক জমিতে ছয়তলা ভবনের এক-তৃতীয়াংশ এবং ধানমন্ডি ও গুলশানে দুটি ফ্ল্যাট।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ‘এজেন্টটা এলএলসি’ কোম্পানিতে কাজী আনিস আহমেদের বিনিয়োগকৃত ৬১ লাখ ৩৯ হাজার ৩১ ডলার মূল্যের শেয়ারও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। দুদকের মতে, এ বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।
গত ১৩ মার্চ কাজী নাবিল ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৩৬ কোম্পানির ৪ কোটি ২৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৮টি শেয়ারও অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছিল আদালত, যার অভিহিত মূল্য ৬০ কোটি ৪৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।