মিয়ানমারের জন্য তথাকথিত মানবিক করিডর দেওয়ার খবরে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
সিপিবির নেতারা বলেন, এ ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের বিদ্যমান সংবিধান লঙ্ঘন করে এই ভয়ংকর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বকে সংকটে ফেলবে। এই করিডর দেওয়া হলে বাংলাদেশের সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়বে। এমনিতেই মিয়ানমারের নাসাকা বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের বিজিবির নিয়মিত সংঘর্ষ চলছে। এই করিডর দেওয়া হলে মিয়ানমার জান্তা বাংলাদেশের নিরাপত্তাকেও নানা অজুহাতে বিপন্ন করে তুলবে।
সিপিবি নেতারা আরও বলেন, হঠাৎ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর এই উৎসাহ সন্দেহজনক। এটি সাম্রাজ্যবাদের ভূরাজনৈতিক চক্রান্ত থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। কারণ, জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা দেশগুলো মানবিক করিডরের জন্য বাংলাদেশের বিকল্প হিসেবে মিয়ানমারের সিতওয়ে বন্দর ছাড়াও বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার উপকূলের অনেক জায়গাই ব্যবহার করতে পারে। সুতরাং বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কথা বিবেচনায় না রেখে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যদি এ ধরনের দেশবিরোধী কোনো পদক্ষেপ নেয়, বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনতা তাকে প্রতিহত করবে।
বিবৃতিতে সিপিবির নেতারা বলেন, দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে এবং ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় আধিপত্যবাদী শক্তিকে যেকোনো সুবিধা দেওয়ার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ সচেতনভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ জন্য গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল সংগঠন ও ব্যক্তিদের এক হতে হবে। তাঁরা বলেন, এটা চব্বিশের জুলাইয়ে শত শহীদের স্বৈরাচারবিরোধী গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশাকে ভন্ডুল করে দেবে। তাই এই ষড়যন্ত্রকে দেশের গণতন্ত্রের লড়াকু জনগণ নিয়ে প্রতিহত করা হবে।
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
মিয়ানমারের জন্য তথাকথিত মানবিক করিডর দেওয়ার খবরে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
সিপিবির নেতারা বলেন, এ ধরনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের বিদ্যমান সংবিধান লঙ্ঘন করে এই ভয়ংকর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বকে সংকটে ফেলবে। এই করিডর দেওয়া হলে বাংলাদেশের সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে পড়বে। এমনিতেই মিয়ানমারের নাসাকা বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের বিজিবির নিয়মিত সংঘর্ষ চলছে। এই করিডর দেওয়া হলে মিয়ানমার জান্তা বাংলাদেশের নিরাপত্তাকেও নানা অজুহাতে বিপন্ন করে তুলবে।
সিপিবি নেতারা আরও বলেন, হঠাৎ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর এই উৎসাহ সন্দেহজনক। এটি সাম্রাজ্যবাদের ভূরাজনৈতিক চক্রান্ত থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। কারণ, জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা দেশগুলো মানবিক করিডরের জন্য বাংলাদেশের বিকল্প হিসেবে মিয়ানমারের সিতওয়ে বন্দর ছাড়াও বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার উপকূলের অনেক জায়গাই ব্যবহার করতে পারে। সুতরাং বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কথা বিবেচনায় না রেখে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যদি এ ধরনের দেশবিরোধী কোনো পদক্ষেপ নেয়, বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনতা তাকে প্রতিহত করবে।
বিবৃতিতে সিপিবির নেতারা বলেন, দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে এবং ভূরাজনৈতিক বিবেচনায় আধিপত্যবাদী শক্তিকে যেকোনো সুবিধা দেওয়ার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ সচেতনভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ জন্য গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল সংগঠন ও ব্যক্তিদের এক হতে হবে। তাঁরা বলেন, এটা চব্বিশের জুলাইয়ে শত শহীদের স্বৈরাচারবিরোধী গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশাকে ভন্ডুল করে দেবে। তাই এই ষড়যন্ত্রকে দেশের গণতন্ত্রের লড়াকু জনগণ নিয়ে প্রতিহত করা হবে।