আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক—তা যারা চায় না, তারা ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শনিবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে এক গণজমায়েতে তিনি বলেন, "বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। একটি ফ্যাসিবাদী শক্তি, আরেকটি বাংলাদেশি শক্তি। যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় না তারা ফ্যাসিবাদী শক্তি, আর যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়, তারা বাংলাদেশি শক্তি।”
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করাসহ তিন দফা দাবিতে বিকাল ৩টার পর শাহবাগ মোড়ে এই গণজমায়েত কর্মসূচি শুরু হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির পাশাপাশি ইসলামী ছাত্রশিবির, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ) ও জুলাই অভ্যুত্থানে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা না পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমাকে যদি কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কোনো শক্তি আমার কণ্ঠরোধ করতে চায়, তবুও আপনারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না। ২০১৩ সালের শাহবাগের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ শুরু হয়েছে। আর এই শাহবাগ থেকে ফ্যাসিবাদের পতন হবে। আমাদের মত, পথ আলাদা হতে পারে; তবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে আমাদের মত, পথ এক। নমরুদের যেভাবে পতন হয়, ফেরাউনের যেভাবে পতন হয়, হাসিনারও পতন হয়।”
শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচি চলার মধ্যে শুক্রবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে গণজমায়েতের কর্মসূচি ঘোষণা করেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
কর্মসূচির শুরুতে জনসমাগম কিছুটা কম থাকলেও বিকাল ৪টার পর জনসমাগম বাড়ে।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
অবরোধ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, করতে হবে করতে হবে’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ’, ‘দফা এক দাবি এক, লীগ নট কাম ব্যাক’, ‘এক দুই তিন চার, চুপ্পু তুই গদি ছাড়’, ‘আওয়ামী লীগের নিবন্ধন, বাতিল কর করতে হবে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের খবর নিয়ে আলোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে সরকারপ্রধানের বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বাধীন একদল বিক্ষোভকারী।
তাতে সংহতি প্রকাশ করেন জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর তারা মিন্টো রোডের প্রবেশ মুখে মঞ্চ বানিয়ে সমাবেশ করেন। সেখানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সেখান থেকে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা দেন। তখন থেকেই শাহবাগ হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবির পাশাপাশি জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলটির বিচারের জন্য আইনে প্রয়োজনীয় বিধান সংযোজনের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। জুলাই অভ্যুত্থানের সময় দমন-পীড়নকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের বিচার চান তারা।
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক—তা যারা চায় না, তারা ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শনিবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে এক গণজমায়েতে তিনি বলেন, "বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। একটি ফ্যাসিবাদী শক্তি, আরেকটি বাংলাদেশি শক্তি। যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় না তারা ফ্যাসিবাদী শক্তি, আর যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়, তারা বাংলাদেশি শক্তি।”
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করাসহ তিন দফা দাবিতে বিকাল ৩টার পর শাহবাগ মোড়ে এই গণজমায়েত কর্মসূচি শুরু হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির পাশাপাশি ইসলামী ছাত্রশিবির, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ) ও জুলাই অভ্যুত্থানে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা না পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমাকে যদি কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কোনো শক্তি আমার কণ্ঠরোধ করতে চায়, তবুও আপনারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না। ২০১৩ সালের শাহবাগের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ শুরু হয়েছে। আর এই শাহবাগ থেকে ফ্যাসিবাদের পতন হবে। আমাদের মত, পথ আলাদা হতে পারে; তবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে আমাদের মত, পথ এক। নমরুদের যেভাবে পতন হয়, ফেরাউনের যেভাবে পতন হয়, হাসিনারও পতন হয়।”
শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচি চলার মধ্যে শুক্রবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে গণজমায়েতের কর্মসূচি ঘোষণা করেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
কর্মসূচির শুরুতে জনসমাগম কিছুটা কম থাকলেও বিকাল ৪টার পর জনসমাগম বাড়ে।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
অবরোধ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, করতে হবে করতে হবে’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ’, ‘দফা এক দাবি এক, লীগ নট কাম ব্যাক’, ‘এক দুই তিন চার, চুপ্পু তুই গদি ছাড়’, ‘আওয়ামী লীগের নিবন্ধন, বাতিল কর করতে হবে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের খবর নিয়ে আলোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে সরকারপ্রধানের বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বাধীন একদল বিক্ষোভকারী।
তাতে সংহতি প্রকাশ করেন জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর তারা মিন্টো রোডের প্রবেশ মুখে মঞ্চ বানিয়ে সমাবেশ করেন। সেখানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সেখান থেকে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা দেন। তখন থেকেই শাহবাগ হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবির পাশাপাশি জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলটির বিচারের জন্য আইনে প্রয়োজনীয় বিধান সংযোজনের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। জুলাই অভ্যুত্থানের সময় দমন-পীড়নকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের বিচার চান তারা।