আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা স্পষ্ট করার তাগিদ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
রোববার ঢাকার মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আমরা যত প্রশ্ন উত্থাপন করছি, যত ধরনের আলোচনা করছি, এই আলোচনার সঙ্গে নির্বাচন পিছানো-আগানো এগুলোর সম্পর্ক নেই। নির্বাচনের সাপেক্ষে আমরা যেন এই দাবিগুলোকে না দেখি।
“আমাদের দলের জায়গা থেকে আমরা বলেছি, প্রধান উপদেষ্টা যে সময় দিয়েছেন আমরা সেটাকে সমর্থন করছি। তবে নির্বাচনে যাওয়ার আগে মৌলিক সংস্কারের যে রূপরেখা, সেটি আমাদের সামনে স্পষ্ট করতে হবে।”
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত ছয়টি কমিশনের মধ্যে পাঁচটির গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছাতে অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ চলছে। এসব সংস্কারের মধ্যে সংবিধান সংস্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এ বিষয়ে নাগরিক জোটের সাত প্রস্তাব নিয়ে আয়োজন করা হয় এই আলোচনা সভা।
সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরেছে এনসিপি। পাশাপাশি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিও জানিয়েছে দলটি।
অভ্যুত্থান-পরবর্তী ছাত্রনেতাদের দল এনসিপি, জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দলের দাবির প্রেক্ষিতে শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।
আলোচনা সভায় এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রমে আমরা একটা অংশ এগিয়ে গিয়েছি। বিচারের রোডম্যাপ যদি আমাদের সামনে সুস্পষ্ট হয় যে এটা কতদিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে, সেটা জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করবে। আর একই সাথে সংস্কারে ঐকমত্যে আসলে নির্বাচনের জন্য আর কারো কোনো আপত্তি থাকার কথা না।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনের পথে এগোবে। “রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজেরা আলোচনা করে, সমঝোতা করে এগোতে পারে, এটা বাংলাদেশের জন্য বড় উদাহরণ হবে।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা ও সমঝোতা করতে পারবে না কেন? “যদি কোনো ধরনের সিভিল সোসাইটি ছাড়া আমরা সমঝোতায় আসতে পারি, এটা বাংলাদেশের জন্য বড় উদাহরণ হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার সংকটও দূর হবে। ২৪-এর সৃষ্টি হওয়া ঐক্যের জায়গা ধরে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারব।”
সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের জন্য গণপরিষদের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টি শুরু থেকেই গণপরিষদকে সমর্থন করে আসছে। নতুন সংবিধান যেহেতু আমাদের একটি দলীয় এজেন্ডা, আমরা মনে করি, বাংলাদেশের একটি নতুন রিপাবলিক একটি নতুন সংবিধানের মাধ্যমে তৈরি করা উচিত।
“তবে এই অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য আমরা একটি মধ্যপন্থার প্রস্তাব দিয়েছি যে, নির্বাচিত সংসদ একইসাথে আইনসভা ও গণপরিষদ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।”
তিনি বলেন, “বিভিন্ন সময় সংবিধানের যেসব সংশোধনী হয়েছে, সেগুলো টেকসই হয়নি। তা বারবার আদালতে গিয়েছে এবং আদালত তা বাতিল করেছে। সত্যিকারের মৌলিক পরিবর্তন চাইলে গণপরিষদের মাধ্যমেই যেতে হবে।”
সংবিধান এক ব্যক্তির ইচ্ছায় পরিবর্তিত হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “একটা গণঅভ্যুত্থানের পরও এত মানুষ রক্ত দিয়েছে, কিন্তু সংবিধানকে মৌলিকভাবে পরিবর্তনের জন্য আমরা একমত হতে পারছি না—এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক।”
তিনি স্বীকার করেন, সংবিধান পরিবর্তন বা একটি ভালো সংবিধান প্রণয়ন সব সমস্যার সমাধান নয়। “সংবিধানকে যদি আপনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ একটি চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করেন, তাহলে সে চুক্তির সঙ্গে জনগণের আস্থার সম্পর্ক থাকতে হয়। কিন্তু একটি নতুন সংবিধান তৈরি করার মাধ্যমে সে আস্থার জায়গাটা স্থাপন করা যাবে।”
তিনি বলেন, “বাহাত্তর এবং বাহাত্তর-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দলের মূলনীতিকেই সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে প্রণয়ন করা হয়েছে। এখনো আবারও একটি দলীয় মূলনীতি ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব রয়েছে। যদি মূলনীতি থাকতেই হয়, তবে যেন সেটা কোনো দলীয় মূলনীতি না হয়। এমন মূলনীতি হতে হবে, যেটিকে রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক নিজের মনে করতে পারবে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রকৃত ভিশন, মূল্যবোধ ও চরিত্র সেই মূলনীতির মধ্য দিয়ে স্থাপিত হবে।”
একই অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ সংবিধান ও জনগণের সম্পর্ককে সূতা ও ঘুড়ির সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, “সূতাও ঘুড়ি উড়ায় না, ঘুড়িও সূতা উড়ায় না। সূতা যদি ঘুড়িকে অস্বীকার করে তাহলে ঘুড়ির অস্তিত্ব থাকে না, ঘুড়ি যদি সূতাকে অস্বীকার করে তাহলে ঘুড়ির ওড়ার ক্ষমতা থাকে না।”
নাগরিক কোয়ালিশনের এই আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আলোকচিত্রী ও সহ-আহ্বায়ক শহিদুল আলম।
নাগরিক জোটের সাত দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান এবং তা বাস্তবায়নের রূপরেখা ব্যাখ্যা করেন অর্থনীতিবিদ ও লেখক জিয়া হাসান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন, ঐক্যমত কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, জামায়াতের ঢাকা মহানগর আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, এনডিএম সভাপতি ববি হাজ্জাজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা এবং গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
রোববার, ১১ মে ২০২৫
আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা স্পষ্ট করার তাগিদ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
রোববার ঢাকার মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “আমরা যত প্রশ্ন উত্থাপন করছি, যত ধরনের আলোচনা করছি, এই আলোচনার সঙ্গে নির্বাচন পিছানো-আগানো এগুলোর সম্পর্ক নেই। নির্বাচনের সাপেক্ষে আমরা যেন এই দাবিগুলোকে না দেখি।
“আমাদের দলের জায়গা থেকে আমরা বলেছি, প্রধান উপদেষ্টা যে সময় দিয়েছেন আমরা সেটাকে সমর্থন করছি। তবে নির্বাচনে যাওয়ার আগে মৌলিক সংস্কারের যে রূপরেখা, সেটি আমাদের সামনে স্পষ্ট করতে হবে।”
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত ছয়টি কমিশনের মধ্যে পাঁচটির গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছাতে অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ চলছে। এসব সংস্কারের মধ্যে সংবিধান সংস্কার একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এ বিষয়ে নাগরিক জোটের সাত প্রস্তাব নিয়ে আয়োজন করা হয় এই আলোচনা সভা।
সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরেছে এনসিপি। পাশাপাশি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিও জানিয়েছে দলটি।
অভ্যুত্থান-পরবর্তী ছাত্রনেতাদের দল এনসিপি, জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ধর্মভিত্তিক দলের দাবির প্রেক্ষিতে শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।
আলোচনা সভায় এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের মাধ্যমে বিচার কার্যক্রমে আমরা একটা অংশ এগিয়ে গিয়েছি। বিচারের রোডম্যাপ যদি আমাদের সামনে সুস্পষ্ট হয় যে এটা কতদিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে, সেটা জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করবে। আর একই সাথে সংস্কারে ঐকমত্যে আসলে নির্বাচনের জন্য আর কারো কোনো আপত্তি থাকার কথা না।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনের পথে এগোবে। “রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজেরা আলোচনা করে, সমঝোতা করে এগোতে পারে, এটা বাংলাদেশের জন্য বড় উদাহরণ হবে।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা ও সমঝোতা করতে পারবে না কেন? “যদি কোনো ধরনের সিভিল সোসাইটি ছাড়া আমরা সমঝোতায় আসতে পারি, এটা বাংলাদেশের জন্য বড় উদাহরণ হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার সংকটও দূর হবে। ২৪-এর সৃষ্টি হওয়া ঐক্যের জায়গা ধরে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারব।”
সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের জন্য গণপরিষদের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টি শুরু থেকেই গণপরিষদকে সমর্থন করে আসছে। নতুন সংবিধান যেহেতু আমাদের একটি দলীয় এজেন্ডা, আমরা মনে করি, বাংলাদেশের একটি নতুন রিপাবলিক একটি নতুন সংবিধানের মাধ্যমে তৈরি করা উচিত।
“তবে এই অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য আমরা একটি মধ্যপন্থার প্রস্তাব দিয়েছি যে, নির্বাচিত সংসদ একইসাথে আইনসভা ও গণপরিষদ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।”
তিনি বলেন, “বিভিন্ন সময় সংবিধানের যেসব সংশোধনী হয়েছে, সেগুলো টেকসই হয়নি। তা বারবার আদালতে গিয়েছে এবং আদালত তা বাতিল করেছে। সত্যিকারের মৌলিক পরিবর্তন চাইলে গণপরিষদের মাধ্যমেই যেতে হবে।”
সংবিধান এক ব্যক্তির ইচ্ছায় পরিবর্তিত হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “একটা গণঅভ্যুত্থানের পরও এত মানুষ রক্ত দিয়েছে, কিন্তু সংবিধানকে মৌলিকভাবে পরিবর্তনের জন্য আমরা একমত হতে পারছি না—এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক।”
তিনি স্বীকার করেন, সংবিধান পরিবর্তন বা একটি ভালো সংবিধান প্রণয়ন সব সমস্যার সমাধান নয়। “সংবিধানকে যদি আপনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ একটি চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করেন, তাহলে সে চুক্তির সঙ্গে জনগণের আস্থার সম্পর্ক থাকতে হয়। কিন্তু একটি নতুন সংবিধান তৈরি করার মাধ্যমে সে আস্থার জায়গাটা স্থাপন করা যাবে।”
তিনি বলেন, “বাহাত্তর এবং বাহাত্তর-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দলের মূলনীতিকেই সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে প্রণয়ন করা হয়েছে। এখনো আবারও একটি দলীয় মূলনীতি ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব রয়েছে। যদি মূলনীতি থাকতেই হয়, তবে যেন সেটা কোনো দলীয় মূলনীতি না হয়। এমন মূলনীতি হতে হবে, যেটিকে রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক নিজের মনে করতে পারবে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রকৃত ভিশন, মূল্যবোধ ও চরিত্র সেই মূলনীতির মধ্য দিয়ে স্থাপিত হবে।”
একই অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ সংবিধান ও জনগণের সম্পর্ককে সূতা ও ঘুড়ির সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, “সূতাও ঘুড়ি উড়ায় না, ঘুড়িও সূতা উড়ায় না। সূতা যদি ঘুড়িকে অস্বীকার করে তাহলে ঘুড়ির অস্তিত্ব থাকে না, ঘুড়ি যদি সূতাকে অস্বীকার করে তাহলে ঘুড়ির ওড়ার ক্ষমতা থাকে না।”
নাগরিক কোয়ালিশনের এই আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আলোকচিত্রী ও সহ-আহ্বায়ক শহিদুল আলম।
নাগরিক জোটের সাত দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ শাহান এবং তা বাস্তবায়নের রূপরেখা ব্যাখ্যা করেন অর্থনীতিবিদ ও লেখক জিয়া হাসান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন, ঐক্যমত কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, জামায়াতের ঢাকা মহানগর আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, এনডিএম সভাপতি ববি হাজ্জাজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা এবং গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।