আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে শাহবাগে চলমান আন্দোলনে বিএনপির অংশ না নেওয়ার বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, “আমরা শাহবাগে কেন যাব? আমাদের দাবি তো বহু আগেই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছি। বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তা প্রকাশ করেছি। আমাদের শাহবাগে গিয়ে আর কিছু বলার প্রয়োজন নেই।”
রোববার সকালে রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানান।
তিনি জানান, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে বিচার করার জন্য কয়েক মাস আগেই বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে লিখিত প্রস্তাব দিয়েছিল। সালাহউদ্দিন বলেন, “তখন যদি বিষয়টি আমলে নেওয়া হতো, তাহলে সরকারকে এই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না।”
বিশ্বের নানা দেশে যেসব ফ্যাসিবাদী দল গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত, তাদের বিচার করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে—এ ধরনের নজির তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, “আওয়ামী লীগও ফ্যাসিবাদী দল। তারা একটি মাফিয়া শক্তিতে পরিণত হয়েছিল, গণতন্ত্রের চর্চা তাদের ডিএনএতে নেই।”
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সংশোধন আনার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ আর রাজনৈতিক দল নয়, এটা এখন একটি মাফিয়া ও ফ্যাসিবাদী দল। তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের আর কোনো ভিত্তি নেই। তারা নিপীড়ন ও গণহত্যার মাধ্যমে নিজেদের পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছে।”
আলোচনা সভায় সালাহউদ্দিন আহমদ আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধন করে রাজনৈতিক দল ও তাদের অঙ্গসংগঠনকে শাস্তি দেওয়ার বিধান সংযোজনের উদ্যোগকেও স্বাগত জানান। তিনি বলেন, “এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আইন উপদেষ্টাকে অনুরোধ করব, যেন বিচারিক প্রক্রিয়াটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয় এবং কোনো ধরনের প্রশ্ন না ওঠে।”
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মোহাম্মদ শাহান, লেখক জিয়া হাসান, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আলী রীয়াজ, নাহিদ ইসলাম, জোনায়েদ সাকি, ইফতেখারুজ্জামান, ইসমাইল জবিউল্লাহ, মাহাদী আমিন, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ববি হাজ্জাজ, উমামা ফাতেমা ও রাশেদ খান।
রোববার, ১১ মে ২০২৫
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে শাহবাগে চলমান আন্দোলনে বিএনপির অংশ না নেওয়ার বিষয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, “আমরা শাহবাগে কেন যাব? আমাদের দাবি তো বহু আগেই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছি। বিভিন্ন সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তা প্রকাশ করেছি। আমাদের শাহবাগে গিয়ে আর কিছু বলার প্রয়োজন নেই।”
রোববার সকালে রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানান।
তিনি জানান, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগকে বিচার করার জন্য কয়েক মাস আগেই বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে লিখিত প্রস্তাব দিয়েছিল। সালাহউদ্দিন বলেন, “তখন যদি বিষয়টি আমলে নেওয়া হতো, তাহলে সরকারকে এই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না।”
বিশ্বের নানা দেশে যেসব ফ্যাসিবাদী দল গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত, তাদের বিচার করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে—এ ধরনের নজির তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, “আওয়ামী লীগও ফ্যাসিবাদী দল। তারা একটি মাফিয়া শক্তিতে পরিণত হয়েছিল, গণতন্ত্রের চর্চা তাদের ডিএনএতে নেই।”
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সংশোধন আনার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ আর রাজনৈতিক দল নয়, এটা এখন একটি মাফিয়া ও ফ্যাসিবাদী দল। তাদের রাজনৈতিক পরিচয়ের আর কোনো ভিত্তি নেই। তারা নিপীড়ন ও গণহত্যার মাধ্যমে নিজেদের পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছে।”
আলোচনা সভায় সালাহউদ্দিন আহমদ আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন সংশোধন করে রাজনৈতিক দল ও তাদের অঙ্গসংগঠনকে শাস্তি দেওয়ার বিধান সংযোজনের উদ্যোগকেও স্বাগত জানান। তিনি বলেন, “এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। আইন উপদেষ্টাকে অনুরোধ করব, যেন বিচারিক প্রক্রিয়াটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হয় এবং কোনো ধরনের প্রশ্ন না ওঠে।”
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মোহাম্মদ শাহান, লেখক জিয়া হাসান, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আলী রীয়াজ, নাহিদ ইসলাম, জোনায়েদ সাকি, ইফতেখারুজ্জামান, ইসমাইল জবিউল্লাহ, মাহাদী আমিন, মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ববি হাজ্জাজ, উমামা ফাতেমা ও রাশেদ খান।