আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার মতো পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি বলে মনে করছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে জামায়াতের সংলাপে তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আগামী নির্বাচন একেবারে সঠিক ও সুষ্ঠু হবে—এমন পরিস্থিতি এখনো লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কিছু নির্বাচনী এলাকায় ইতোমধ্যে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। কোথাও অফিসে অগ্নিসংযোগ, কোথাও হামলার ঘটনা ঘটছে।”
তিনি বলেন, “নির্বাচনের তারিখ এখনো ঘোষণা হয়নি, এর মধ্যেই এলাকাভিত্তিক দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন আছে আমাদের। অনেক ক্ষেত্রেই তারা সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারছে না।”
সৈয়দ তাহের বলেন, “নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও সন্ত্রাসমুক্ত হয়, সেটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এর জন্য যা করণীয়, তাই করতে হবে। দরকার হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারের রাজনৈতিক দলগুলো ও জাতিকে এই বার্তা দিতে হবে যে, নির্বাচনকে আমরা যেকোনোভাবে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করব। সরকারের একেবারে নিরপেক্ষ হওয়া দরকার।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের আগে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা শুধু ভোটের দিনের বিষয় নয়, এটি অনেক আগেই নিশ্চিত করতে হবে। কোথায় সন্ত্রাসের সম্ভাবনা আছে, কোথায় এক দল আরেক দলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে—এসব আগেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারের নিরপেক্ষতা ও দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তাহের। তিনি বলেন, “জেনে অথবা না জেনে সরকারের কিছু কিছু পদক্ষেপে নিরপেক্ষতা ও দক্ষতার অভাব স্পষ্ট। এই ঘাটতি থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।”
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রিয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে অংশ নেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
সৈয়দ তাহেরের নেতৃত্বে জামায়াতের ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
রোববার, ১৮ মে ২০২৫
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার মতো পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি বলে মনে করছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে জামায়াতের সংলাপে তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আগামী নির্বাচন একেবারে সঠিক ও সুষ্ঠু হবে—এমন পরিস্থিতি এখনো লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কিছু নির্বাচনী এলাকায় ইতোমধ্যে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। কোথাও অফিসে অগ্নিসংযোগ, কোথাও হামলার ঘটনা ঘটছে।”
তিনি বলেন, “নির্বাচনের তারিখ এখনো ঘোষণা হয়নি, এর মধ্যেই এলাকাভিত্তিক দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন আছে আমাদের। অনেক ক্ষেত্রেই তারা সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারছে না।”
সৈয়দ তাহের বলেন, “নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও সন্ত্রাসমুক্ত হয়, সেটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এর জন্য যা করণীয়, তাই করতে হবে। দরকার হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারের রাজনৈতিক দলগুলো ও জাতিকে এই বার্তা দিতে হবে যে, নির্বাচনকে আমরা যেকোনোভাবে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করব। সরকারের একেবারে নিরপেক্ষ হওয়া দরকার।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের আগে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা শুধু ভোটের দিনের বিষয় নয়, এটি অনেক আগেই নিশ্চিত করতে হবে। কোথায় সন্ত্রাসের সম্ভাবনা আছে, কোথায় এক দল আরেক দলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে—এসব আগেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।”
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারের নিরপেক্ষতা ও দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তাহের। তিনি বলেন, “জেনে অথবা না জেনে সরকারের কিছু কিছু পদক্ষেপে নিরপেক্ষতা ও দক্ষতার অভাব স্পষ্ট। এই ঘাটতি থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।”
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রিয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে অংশ নেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান।
সৈয়দ তাহেরের নেতৃত্বে জামায়াতের ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।