লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর দেওয়া যৌথ ঘোষণাকে ‘সরকারি নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
রোববার ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যৌথ বিবৃতিতে কারও স্বাক্ষর নেই। থাকলে বলা যেত এটা অফিসিয়ালি এসেছে।”
সিইসি জানান, “এই ঘোষণাটি আন-সাইনড; কতটা জেনুইন, তা জানা নেই। কারো স্বাক্ষর থাকলে বুঝতাম সরকার ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে যৌথ অফিসিয়াল ঘোষণা। তাই এটিকে সরকারি দলিল বলা যাচ্ছে না।”
ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে। তবে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, যদি বিচার ও সংস্কারের পর্যাপ্ত অগ্রগতি হয়, তাহলে ফেব্রুয়ারির আগেই—রমজানের আগে—নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।
বৈঠকের পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান জানান, সরকার নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, এবং সেটি দুই সম্ভাব্য সময়ের মধ্যে হতে পারে। এ বিষয়ে ইসির মন্তব্য জানতে চাইলে সিইসি বলেন, “এই বিষয়ে আমাদের কাছে অফিসিয়ালি কিছু আসেনি। ইতিহাসের পেছনে যেমন ইতিহাস থাকে, ঘোষণার পেছনেও আলাপ থাকে—সেগুলো জানতে হবে।”
তিনি জানান, “এখন আবার নতুন মাত্রা এসেছে। তবে এখনই নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ বলা সম্ভব নয়। আমাদের ধারণা, সরকারের পক্ষ থেকেই একটা তারিখ ঘোষণা আসবে। কিন্তু লন্ডনের সফরের পর কিছুটা দায় আমাদের ওপরও এসেছে।”
তিনি বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে হোক বা এপ্রিলেই হোক—জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যে কোনো সময়ে নির্বাচন হতে পারে, সে হিসেবে আমরা কাজ এগিয়ে নিচ্ছি।”
তফসিল কবে ঘোষণা হবে—জানতে চাইলে সিইসি বলেন, “নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হয়। সাধারণত ৫০-৬০ দিন আগে তফসিল হয়। তখন ভোটার তালিকা, দল নিবন্ধন, এবং আসনের সীমানা সংক্রান্ত কাজ চূড়ান্ত থাকবে।”
আরপিও অনুযায়ী ছয়-আট মাস আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার কোনো বিধান নেই বলেও জানান তিনি।
সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া তারিখ ঘোষণা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সরকার এখন বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করছে, বিচার ও সংস্কারের বিষয় নিয়ে। সেই আলোচনার ভিত্তি আমাদের বোঝার দরকার। ভিডিও দেখে বা বাইরে থেকে অনুমান করে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।”
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন কি না—এ প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, “প্রয়োজন হলে দেখা করতেই পারি। সব কিছু বৈঠকে হয় না, বিভিন্ন মাধ্যমেও আলোচনা হতে পারে।”
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, রাজনৈতিকভাবে সচেতন থাকতে, কিন্তু কোনোভাবেই দলীয় রাজনীতিতে না জড়াতে।”
সিইসি বলেন, “আমরা কারো হুকুমে কাজ করি না। আইন অনুযায়ী কাজ করি। অতীতে কেউ যদি কেন্দ্র দখল বা ব্যালট বাক্স লুটের চেষ্টা করে থাকেন—তাহলে এবার তারা দিবা স্বপ্ন দেখছেন। এবার সেটা করতে দেওয়া হবে না ইনশাআল্লাহ।”
তিনি বলেন, “সরকারের সাথে এখনও আমাদের আলোচনা হয়নি। তবে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতির মধ্যে আছি—আমাদের এখনকার ধ্যান-ধারণা, শয়নে-স্বপনে, শুধুই প্রস্তুতি নিয়ে।”
রোববার, ১৫ জুন ২০২৫
লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর দেওয়া যৌথ ঘোষণাকে ‘সরকারি নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
রোববার ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যৌথ বিবৃতিতে কারও স্বাক্ষর নেই। থাকলে বলা যেত এটা অফিসিয়ালি এসেছে।”
সিইসি জানান, “এই ঘোষণাটি আন-সাইনড; কতটা জেনুইন, তা জানা নেই। কারো স্বাক্ষর থাকলে বুঝতাম সরকার ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে যৌথ অফিসিয়াল ঘোষণা। তাই এটিকে সরকারি দলিল বলা যাচ্ছে না।”
ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে। তবে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, যদি বিচার ও সংস্কারের পর্যাপ্ত অগ্রগতি হয়, তাহলে ফেব্রুয়ারির আগেই—রমজানের আগে—নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।
বৈঠকের পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান জানান, সরকার নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, এবং সেটি দুই সম্ভাব্য সময়ের মধ্যে হতে পারে। এ বিষয়ে ইসির মন্তব্য জানতে চাইলে সিইসি বলেন, “এই বিষয়ে আমাদের কাছে অফিসিয়ালি কিছু আসেনি। ইতিহাসের পেছনে যেমন ইতিহাস থাকে, ঘোষণার পেছনেও আলাপ থাকে—সেগুলো জানতে হবে।”
তিনি জানান, “এখন আবার নতুন মাত্রা এসেছে। তবে এখনই নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ বলা সম্ভব নয়। আমাদের ধারণা, সরকারের পক্ষ থেকেই একটা তারিখ ঘোষণা আসবে। কিন্তু লন্ডনের সফরের পর কিছুটা দায় আমাদের ওপরও এসেছে।”
তিনি বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে হোক বা এপ্রিলেই হোক—জাতীয় নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যে কোনো সময়ে নির্বাচন হতে পারে, সে হিসেবে আমরা কাজ এগিয়ে নিচ্ছি।”
তফসিল কবে ঘোষণা হবে—জানতে চাইলে সিইসি বলেন, “নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হয়। সাধারণত ৫০-৬০ দিন আগে তফসিল হয়। তখন ভোটার তালিকা, দল নিবন্ধন, এবং আসনের সীমানা সংক্রান্ত কাজ চূড়ান্ত থাকবে।”
আরপিও অনুযায়ী ছয়-আট মাস আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার কোনো বিধান নেই বলেও জানান তিনি।
সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া তারিখ ঘোষণা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সরকার এখন বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা করছে, বিচার ও সংস্কারের বিষয় নিয়ে। সেই আলোচনার ভিত্তি আমাদের বোঝার দরকার। ভিডিও দেখে বা বাইরে থেকে অনুমান করে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।”
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন কি না—এ প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, “প্রয়োজন হলে দেখা করতেই পারি। সব কিছু বৈঠকে হয় না, বিভিন্ন মাধ্যমেও আলোচনা হতে পারে।”
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে, রাজনৈতিকভাবে সচেতন থাকতে, কিন্তু কোনোভাবেই দলীয় রাজনীতিতে না জড়াতে।”
সিইসি বলেন, “আমরা কারো হুকুমে কাজ করি না। আইন অনুযায়ী কাজ করি। অতীতে কেউ যদি কেন্দ্র দখল বা ব্যালট বাক্স লুটের চেষ্টা করে থাকেন—তাহলে এবার তারা দিবা স্বপ্ন দেখছেন। এবার সেটা করতে দেওয়া হবে না ইনশাআল্লাহ।”
তিনি বলেন, “সরকারের সাথে এখনও আমাদের আলোচনা হয়নি। তবে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতির মধ্যে আছি—আমাদের এখনকার ধ্যান-ধারণা, শয়নে-স্বপনে, শুধুই প্রস্তুতি নিয়ে।”