জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের দেশের মানুষের মধ্যে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে এখনও সংশয় ও শঙ্কা বিরাজ করছে মন্তব্য করেছেন।
রোববার রাজধানীর আঁগারগাওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “গত নির্বাচনগুলোতে এককভাবে পরিচালিত ও জিতিয়ে নেওয়ার অভিজ্ঞতা মানুষের মধ্যে গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যা মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনবে এবং ভোটারেরা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন।”
তার নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) সীমানা নির্ধারণ বিষয়ক আলোচনা ছাড়াও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে তারা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
তাহের বলেন, “নির্বাচনের আগে বিচার ব্যবস্থাকে দৃশ্যমান ও বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে। আমরা জানি সব বিচার একসঙ্গে সম্ভব নয়, কিন্তু অন্তত সরকারের আন্তরিকতার প্রতিফলন সবার সামনে প্রকাশ পেতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করতে হবে, অর্থাৎ সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ থাকা জরুরি। সিইসি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।”
দেশে কোনো দখলদার নির্বাচনের সম্ভাবনাকেও কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, “পুলিশ, এসপি, ডিসিসহ প্রশাসনের সঠিক, নিরপেক্ষ নিয়োগ ও কার্যক্রম আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি এ ধরনের ভুল হয়, তাহলে জনগণ রাস্তায় নামার জন্য প্রস্তুত থাকবে।”
বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও সুষ্ঠু নির্বাচনের উপযোগী নয় বলে শঙ্কা প্রকাশ করে তাহের জানান, নির্বাচন কমিশন সকল রাজনৈতিক দলকে একত্রে নিয়ে কাজ করছে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ডিসেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্বাসযোগ্য, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনই দেশের মানুষের অধিকার এবং গণতন্ত্রের মূল চাহিদা।”
অন্তর্বর্তী সরকার সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের বিষয়টি সংবেদনশীল এবং তা থেকে প্রতিটি দলের মতামত প্রকাশের সুযোগ হয়েছে উল্লেখ করেন তাহের। এছাড়া প্রয়োজনে ‘জুলাই সনদ’ বিষয়ে গণভোটের সম্ভাবনাও তিনি উন্মুক্ত রেখেছেন।
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পূর্ণরূপে আয়োজনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে জামায়াত নেতা বলেন, “আমরা শুধু উচ্চকক্ষ নয়, নিম্নকক্ষেও সম্পূর্ণ পিআর পদ্ধতি চালু চাই এবং এ নিয়ে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”
অন্যদিকে, কুমিল্লা সদর ও দক্ষিণের একটি অংশ যুক্ত করে ভোটার সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ করার প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়ে তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আসন আগের মতো রাখা দাবিও জানিয়েছেন।
---
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
জামায়াতে ইসলামের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের দেশের মানুষের মধ্যে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে এখনও সংশয় ও শঙ্কা বিরাজ করছে মন্তব্য করেছেন।
রোববার রাজধানীর আঁগারগাওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “গত নির্বাচনগুলোতে এককভাবে পরিচালিত ও জিতিয়ে নেওয়ার অভিজ্ঞতা মানুষের মধ্যে গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যা মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনবে এবং ভোটারেরা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন।”
তার নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) সীমানা নির্ধারণ বিষয়ক আলোচনা ছাড়াও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সিইসির সঙ্গে বৈঠকে তারা বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
তাহের বলেন, “নির্বাচনের আগে বিচার ব্যবস্থাকে দৃশ্যমান ও বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে। আমরা জানি সব বিচার একসঙ্গে সম্ভব নয়, কিন্তু অন্তত সরকারের আন্তরিকতার প্রতিফলন সবার সামনে প্রকাশ পেতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করতে হবে, অর্থাৎ সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ থাকা জরুরি। সিইসি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।”
দেশে কোনো দখলদার নির্বাচনের সম্ভাবনাকেও কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, “পুলিশ, এসপি, ডিসিসহ প্রশাসনের সঠিক, নিরপেক্ষ নিয়োগ ও কার্যক্রম আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি এ ধরনের ভুল হয়, তাহলে জনগণ রাস্তায় নামার জন্য প্রস্তুত থাকবে।”
বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও সুষ্ঠু নির্বাচনের উপযোগী নয় বলে শঙ্কা প্রকাশ করে তাহের জানান, নির্বাচন কমিশন সকল রাজনৈতিক দলকে একত্রে নিয়ে কাজ করছে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ডিসেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্বাসযোগ্য, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনই দেশের মানুষের অধিকার এবং গণতন্ত্রের মূল চাহিদা।”
অন্তর্বর্তী সরকার সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের বিষয়টি সংবেদনশীল এবং তা থেকে প্রতিটি দলের মতামত প্রকাশের সুযোগ হয়েছে উল্লেখ করেন তাহের। এছাড়া প্রয়োজনে ‘জুলাই সনদ’ বিষয়ে গণভোটের সম্ভাবনাও তিনি উন্মুক্ত রেখেছেন।
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পূর্ণরূপে আয়োজনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে জামায়াত নেতা বলেন, “আমরা শুধু উচ্চকক্ষ নয়, নিম্নকক্ষেও সম্পূর্ণ পিআর পদ্ধতি চালু চাই এবং এ নিয়ে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”
অন্যদিকে, কুমিল্লা সদর ও দক্ষিণের একটি অংশ যুক্ত করে ভোটার সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ করার প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়ে তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আসন আগের মতো রাখা দাবিও জানিয়েছেন।
---