ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক বাছাই শেষে ১২৯টি দলের নিবন্ধন আবেদন বাতিল করেছে। বাকি ১৬টি দলের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মাঠ পর্যায়ে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ১৬ দলের মধ্যে রয়েছে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
রোববার নির্বাচন কমিশনের সচিবালয়ের কমিটির বৈঠকে এই তথ্য জানা গেছে। ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, “প্রাথমিক বাছাই শেষে ১৬টি দলের ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হবে।”
তদন্তের আওতায় এসব দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কার্যালয়, কমিটি এবং অন্যান্য তথ্যের সঠিকতা যাচাই করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন ও কমিশনের অনুমোদনের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, আবেদনপত্র বাছাইয়ের সময় ৫৯টি দলের আবেদনে প্রয়োজনীয় দলিলপত্র ছিল না। ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হলেও ৬৯ থেকে ৭০টি দল তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়। এ কারণে তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
এবার নির্বাচনে নিবন্ধনের জন্য ১৪৫টি দল আবেদন করে। ২২ জুন পর্যন্ত আগ্রহীরা আবেদন জমা দেয়, এরপর ৩ আগস্ট পর্যন্ত ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে ৬৫টি দল প্রয়োজনীয় তথ্য ও দলিলপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হয়, বাকি ৮০টি দল শর্ত পূরণ করে আবেদন জমা দেয়। শেষ সময়ে এনসিপিও তথ্যাদি পূরণ করে।
নিবন্ধন পেতে দলের থাকতে হয় একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয়াংশ জেলা কমিটি ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থন।
নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় আবেদন প্রাথমিকভাবে যাচাইয়ের পর সরেজমিন তদন্ত করা হয়। এরপর আপত্তি শুনানি ও নিষ্পত্তির মাধ্যমে দলগুলোকে নিবন্ধন সনদ ও প্রতীক দেওয়া হয়।
বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৫০টি। একই সঙ্গে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগসহ চার দলের নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে।
২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেয়েছে; তবে শর্ত না মানায় ও আদালতের আদেশে পাঁচ দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, যার মধ্যে একটি পুনর্বহাল করা হয়েছে।
---
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক বাছাই শেষে ১২৯টি দলের নিবন্ধন আবেদন বাতিল করেছে। বাকি ১৬টি দলের আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মাঠ পর্যায়ে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ১৬ দলের মধ্যে রয়েছে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
রোববার নির্বাচন কমিশনের সচিবালয়ের কমিটির বৈঠকে এই তথ্য জানা গেছে। ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, “প্রাথমিক বাছাই শেষে ১৬টি দলের ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হবে।”
তদন্তের আওতায় এসব দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কার্যালয়, কমিটি এবং অন্যান্য তথ্যের সঠিকতা যাচাই করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন ও কমিশনের অনুমোদনের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, আবেদনপত্র বাছাইয়ের সময় ৫৯টি দলের আবেদনে প্রয়োজনীয় দলিলপত্র ছিল না। ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হলেও ৬৯ থেকে ৭০টি দল তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়। এ কারণে তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
এবার নির্বাচনে নিবন্ধনের জন্য ১৪৫টি দল আবেদন করে। ২২ জুন পর্যন্ত আগ্রহীরা আবেদন জমা দেয়, এরপর ৩ আগস্ট পর্যন্ত ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে ৬৫টি দল প্রয়োজনীয় তথ্য ও দলিলপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হয়, বাকি ৮০টি দল শর্ত পূরণ করে আবেদন জমা দেয়। শেষ সময়ে এনসিপিও তথ্যাদি পূরণ করে।
নিবন্ধন পেতে দলের থাকতে হয় একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয়াংশ জেলা কমিটি ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থন।
নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় আবেদন প্রাথমিকভাবে যাচাইয়ের পর সরেজমিন তদন্ত করা হয়। এরপর আপত্তি শুনানি ও নিষ্পত্তির মাধ্যমে দলগুলোকে নিবন্ধন সনদ ও প্রতীক দেওয়া হয়।
বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৫০টি। একই সঙ্গে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগসহ চার দলের নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে।
২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৫টি দল ইসির নিবন্ধন পেয়েছে; তবে শর্ত না মানায় ও আদালতের আদেশে পাঁচ দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, যার মধ্যে একটি পুনর্বহাল করা হয়েছে।
---