নির্বাচন কমিশন (ইসি) একক প্রার্থীর আসনে ‘না’ ভোটের বিধান পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া প্রতিটি একক প্রার্থীকে ভোটের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
সোমবার নির্বাচন ভবনে কমিশনের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) এই নতুন বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে কোনো আসনে মাত্র একজন প্রার্থী থাকলেও তাকে ‘না’ ভোটের মুখোমুখি হতে হবে। যদি ‘না’ ভোট বেশি পড়ে, তাহলে ওই আসনে আর ভোট হবে না এবং সেই আসন ফাঁকা থাকবে।
একই সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের নিজেদের দলের প্রতীকে ভোট দিতে হবে—জোটের প্রতীকে নয়। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত বিধান সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কমিশনার আবুল ফজল বলেন, “যদি একক প্রার্থী ‘না’ ভোটে হেরে যান, তাহলে তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে না। এরপর ওই আসনে আর ভোট হবে না।”
২০১৮ সালের নির্বাচনে ‘না’ ভোটের বিধান ছিল, কিন্তু পরে তা বাতিল করা হয়। এবার শুধু একক প্রার্থীর ক্ষেত্রে বিধানটি ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নির্বাচন কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার শাস্তি এখন আরও স্পষ্ট করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ইসিকে জানাতে হবে।
এবারের সংস্কার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে অনুমোদনের জন্য। এরপর ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ থাকলে তা পরে যুক্ত করা হবে।
এছাড়া নতুন আরপিওতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীসহ অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নামানোর ক্ষমতা কমিশন পাবে।
ইভিএম ব্যবহার না করার প্রাথমিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবেই এই বিধানও এবার আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
---
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
নির্বাচন কমিশন (ইসি) একক প্রার্থীর আসনে ‘না’ ভোটের বিধান পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া প্রতিটি একক প্রার্থীকে ভোটের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
সোমবার নির্বাচন ভবনে কমিশনের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) এই নতুন বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে কোনো আসনে মাত্র একজন প্রার্থী থাকলেও তাকে ‘না’ ভোটের মুখোমুখি হতে হবে। যদি ‘না’ ভোট বেশি পড়ে, তাহলে ওই আসনে আর ভোট হবে না এবং সেই আসন ফাঁকা থাকবে।
একই সঙ্গে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের নিজেদের দলের প্রতীকে ভোট দিতে হবে—জোটের প্রতীকে নয়। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত বিধান সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কমিশনার আবুল ফজল বলেন, “যদি একক প্রার্থী ‘না’ ভোটে হেরে যান, তাহলে তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে না। এরপর ওই আসনে আর ভোট হবে না।”
২০১৮ সালের নির্বাচনে ‘না’ ভোটের বিধান ছিল, কিন্তু পরে তা বাতিল করা হয়। এবার শুধু একক প্রার্থীর ক্ষেত্রে বিধানটি ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নির্বাচন কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার শাস্তি এখন আরও স্পষ্ট করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ইসিকে জানাতে হবে।
এবারের সংস্কার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে অনুমোদনের জন্য। এরপর ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ থাকলে তা পরে যুক্ত করা হবে।
এছাড়া নতুন আরপিওতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীসহ অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নামানোর ক্ষমতা কমিশন পাবে।
ইভিএম ব্যবহার না করার প্রাথমিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবেই এই বিধানও এবার আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
---