বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে দেশের সব জনগণকে নিয়ে ‘মিলেমিশে’ দেশ পরিচালনা করবেন। তিনি প্রযুক্তিনির্ভর যুব সমাজ গড়ে তোলার কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন এবং ভোটারদের ধানের শীষে ভোট দিয়ে দেশ গড়ার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার ঢাকায় ‘জাতীয়তাবাদী যুব দল’, ‘জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল’ ও ‘জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল’–এর যৌথ যুব সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ফ্যাসিবাদের দেড় দশক পর ফ্যাসিস্ট মুক্ত বাংলাদেশে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ইনশাল্লাহ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সকল স্তরের জনগণের কাছে আমার আহ্বান, আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিন, দেশ গড়ার সুযোগ দিন।”
তিনি বলেন, “যারা আমার নেতাকর্মীরা আছেন, যারা সংবাদকর্মী আছেন, তাদের মাধ্যমে দেশের সকল মানুষের কাছে বলতে চাই, ভোট দিলে ধানের শীষে দেশ গড়বো মিলেমিশে।”
আগামী নির্বাচনের আগে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গে তারেক রহমান উল্লেখ করেন, গত জুলাইয়ে অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। ৫ আগস্ট দেওয়া ভাষণে তিনি আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন।
এরপর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতি নিতে চিঠি দিয়েছে। তবে জামায়াতে ইসলামী প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করায় বিস্মিত ও হতবাক, যদিও তারা পরে ‘জাতীয় স্বার্থে’ ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণের কথা জানিয়েছে।
অন্যদিকে, অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের বিরোধিতা করে আগে সংস্কার শেষ করার দাবি তুলেছে।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তারেক রহমান দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন, এই ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তারেক রহমান বলেন, “আমাদের রাজনীতি হলো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাই আমাদের রাজনীতির মূল লক্ষ্য।” তিনি বলেন, “জনগণ প্রচলিত রাজনীতির পরিবর্তন চাইছে। এবার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হবে।”
তিনি বলেন, “দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি কর্মক্ষম। এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড দেশের উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক হতে পারে। তাই যুবশক্তিকে কারিগরি নির্ভর শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।”
তারেক বলেন, “যুবকদের মধ্যে অনেকেই খেলাধুলায় আগ্রহী, তাদের জন্য আমরা ‘নতুন কুড়ি’ পরিকল্পনা চালু করব, যাতে খেলাধুলার সুযোগ থাকবে। খেলাধুলাকে পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য ক্রীড়া শিক্ষাকে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। সেখানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, দলের উপদেষ্টা মাহাদি আমিন, সাংবাদিক মুক্তাদির রশীদ রুমি, নাট্য নির্মাতা মাসরুর রশীদ বান্নাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাফসীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্র দলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে দেশের সব জনগণকে নিয়ে ‘মিলেমিশে’ দেশ পরিচালনা করবেন। তিনি প্রযুক্তিনির্ভর যুব সমাজ গড়ে তোলার কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন এবং ভোটারদের ধানের শীষে ভোট দিয়ে দেশ গড়ার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার ঢাকায় ‘জাতীয়তাবাদী যুব দল’, ‘জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল’ ও ‘জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল’–এর যৌথ যুব সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ফ্যাসিবাদের দেড় দশক পর ফ্যাসিস্ট মুক্ত বাংলাদেশে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ইনশাল্লাহ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সকল স্তরের জনগণের কাছে আমার আহ্বান, আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিন, দেশ গড়ার সুযোগ দিন।”
তিনি বলেন, “যারা আমার নেতাকর্মীরা আছেন, যারা সংবাদকর্মী আছেন, তাদের মাধ্যমে দেশের সকল মানুষের কাছে বলতে চাই, ভোট দিলে ধানের শীষে দেশ গড়বো মিলেমিশে।”
আগামী নির্বাচনের আগে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গে তারেক রহমান উল্লেখ করেন, গত জুলাইয়ে অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। ৫ আগস্ট দেওয়া ভাষণে তিনি আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন।
এরপর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতি নিতে চিঠি দিয়েছে। তবে জামায়াতে ইসলামী প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করায় বিস্মিত ও হতবাক, যদিও তারা পরে ‘জাতীয় স্বার্থে’ ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণের কথা জানিয়েছে।
অন্যদিকে, অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের সংগঠন জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি) ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের বিরোধিতা করে আগে সংস্কার শেষ করার দাবি তুলেছে।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তারেক রহমান দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন, এই ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তারেক রহমান বলেন, “আমাদের রাজনীতি হলো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাই আমাদের রাজনীতির মূল লক্ষ্য।” তিনি বলেন, “জনগণ প্রচলিত রাজনীতির পরিবর্তন চাইছে। এবার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হবে।”
তিনি বলেন, “দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি কর্মক্ষম। এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড দেশের উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক হতে পারে। তাই যুবশক্তিকে কারিগরি নির্ভর শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।”
তারেক বলেন, “যুবকদের মধ্যে অনেকেই খেলাধুলায় আগ্রহী, তাদের জন্য আমরা ‘নতুন কুড়ি’ পরিকল্পনা চালু করব, যাতে খেলাধুলার সুযোগ থাকবে। খেলাধুলাকে পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য ক্রীড়া শিক্ষাকে পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। সেখানে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, দলের উপদেষ্টা মাহাদি আমিন, সাংবাদিক মুক্তাদির রশীদ রুমি, নাট্য নির্মাতা মাসরুর রশীদ বান্নাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাফসীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্র দলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।