ভবিষ্যতে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচনকালীন সরকারে থাকবেন না। নির্বাচনের আগেই পদত্যাগ করবেন বলে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল ‘ঠিকানা’র এক টকশোতে জানান তিনি।
আলোচনায় তিনি বলেন, যারা রাজনীতিতে নামতে চান, তাঁদের কারোরই নির্বাচনকালীন সরকারে থাকা উচিত নয়। “যদি আমি নির্বাচন নাও করি, তবুও আমার নির্বাচনকালীন সরকারে থাকা উচিত না। তফসিলের আগেই সরে আসা উচিত”—যোগ করেন তিনি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আসিফ মাহমুদ। পরে অন্তর্বর্তী সরকারে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে উপদেষ্টা হন তিনি। তবে নিজের মেয়াদকালে সরকারকে তুলনামূলক দুর্বল আখ্যা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতাকে সরকারের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হিসেবে উল্লেখ করেন।
টকশোতে তিনি ইশরাক হোসেনের ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হতে না পারা, উত্তর ঢাকার প্রশাসক নিয়োগ, মুরাদনগরে তিন খুন, দুর্নীতির অভিযোগ, বিমানবন্দরে ম্যাগাজিন উদ্ধারসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। ইশরাক প্রসঙ্গে তিনি জানান, সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদ থেকেই হয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে নয়। মুরাদনগরের তিন খুন মামলায় নিজের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক চাপের কারণে তাঁর বা তাঁর পরিবারের নাম মামলায় জড়ানো হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আসিফ মাহমুদ। তাঁর মতে, শেখ হাসিনার আমলে যেমন ক্ষমতার কেন্দ্র আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে কেন্দ্রীভূত ছিল, এখন তেমন নেই। ৫ আগস্টের পর ক্ষমতার কেন্দ্র বিভক্ত হয়েছে—রাজনৈতিক দল, সেনাবাহিনীসহ একাধিক পক্ষ বড় সিদ্ধান্তে প্রভাব রাখছে। “এখন সরকার একমাত্র ক্ষমতার কেন্দ্র নয়”—বলেন তিনি।
আসিফের মতে, এই পরিস্থিতি শুধু বর্তমান সরকারের নয়; ভবিষ্যতের যে কোনো সরকারকেই দীর্ঘ সময় এই প্রভাব ও কাঠামোগত জটিলতার মধ্যে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
ভবিষ্যতে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচনকালীন সরকারে থাকবেন না। নির্বাচনের আগেই পদত্যাগ করবেন বলে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল ‘ঠিকানা’র এক টকশোতে জানান তিনি।
আলোচনায় তিনি বলেন, যারা রাজনীতিতে নামতে চান, তাঁদের কারোরই নির্বাচনকালীন সরকারে থাকা উচিত নয়। “যদি আমি নির্বাচন নাও করি, তবুও আমার নির্বাচনকালীন সরকারে থাকা উচিত না। তফসিলের আগেই সরে আসা উচিত”—যোগ করেন তিনি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আসিফ মাহমুদ। পরে অন্তর্বর্তী সরকারে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে উপদেষ্টা হন তিনি। তবে নিজের মেয়াদকালে সরকারকে তুলনামূলক দুর্বল আখ্যা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতাকে সরকারের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হিসেবে উল্লেখ করেন।
টকশোতে তিনি ইশরাক হোসেনের ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হতে না পারা, উত্তর ঢাকার প্রশাসক নিয়োগ, মুরাদনগরে তিন খুন, দুর্নীতির অভিযোগ, বিমানবন্দরে ম্যাগাজিন উদ্ধারসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। ইশরাক প্রসঙ্গে তিনি জানান, সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদ থেকেই হয়েছে, ব্যক্তিগতভাবে নয়। মুরাদনগরের তিন খুন মামলায় নিজের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক চাপের কারণে তাঁর বা তাঁর পরিবারের নাম মামলায় জড়ানো হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আসিফ মাহমুদ। তাঁর মতে, শেখ হাসিনার আমলে যেমন ক্ষমতার কেন্দ্র আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে কেন্দ্রীভূত ছিল, এখন তেমন নেই। ৫ আগস্টের পর ক্ষমতার কেন্দ্র বিভক্ত হয়েছে—রাজনৈতিক দল, সেনাবাহিনীসহ একাধিক পক্ষ বড় সিদ্ধান্তে প্রভাব রাখছে। “এখন সরকার একমাত্র ক্ষমতার কেন্দ্র নয়”—বলেন তিনি।
আসিফের মতে, এই পরিস্থিতি শুধু বর্তমান সরকারের নয়; ভবিষ্যতের যে কোনো সরকারকেই দীর্ঘ সময় এই প্রভাব ও কাঠামোগত জটিলতার মধ্যে কাজ করতে হবে।