বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি থেকে বহিষ্কারের পর দলের চেয়ারম্যান পদ থেকেও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীর প্রতীককে বাদ দিয়ে নতুন কমিটির তথ্য নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে দলটির ‘নতুন নেতৃত্ব’ অংশ।
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক চিঠি ইসির সচিবের কাছে পাঠিয়েছে দলটি। চিঠিতে নতুন কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মো. শামসুদ্দিন পারভেজ এবং মহাসচিব হিসেবে মুহাম্মদ আবু হানিফের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ইসির উপসচিব মাহাবুব আলম শাহ সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা চিঠি পেয়েছি। এখন সেটি কমিশনের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা হবে।”
চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল হিসেবে কল্যাণ পার্টির পরিবর্তিত দাপ্তরিক ঠিকানা এবং চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের পরিবর্তিত নাম নিবন্ধিত হওয়া আবশ্যক। এ বিষয়ে দলটির গঠনতন্ত্রে কমিশনকে অবগত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এ বিষয়ে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, “কথিত নতুন কমিটির সদস্যদের বহিষ্কার করা হয়েছিল। তারা এখন নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
তিনি দাবি করেন, দলটি ১৬ বছর ধরে নিবন্ধন শর্ত মেনে চলছে এবং ২০০৮, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
“এখন আমাকে বহিষ্কার করলে নিবন্ধনও বাতিল করতে হবে। সেটা তারা করবে না, নিবন্ধনও পাবে না। গেল বছর কল্যাণ পার্টির নির্বাহী কমিটির মিটিংয়ে ১০-১২ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। এখন তারা অবৈধভাবে নামটা অপব্যবহার করছে।”
তার মতে, ইসি এ ধরনের কোনো আবেদনকে আমলে নেবে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন পর্যালোচনা ও শুনানি করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে থাকে।
নতুন নেতৃত্ব জানায়, ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বিশেষ বর্ধিত সভায় ইবরাহিমকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করা হয়। ওই সভায় ভাইস চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সিদ্ধান্ত হয়— চেয়ারম্যান পদে শামসুদ্দিন পারভেজকে এবং মহাসচিব পদে মুহাম্মদ আবু হানিফকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ১২ জুন বিশেষ কাউন্সিলে কাউন্সিলরদের সম্মতিক্রমে তাদের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, কল্যাণ পার্টির (নিবন্ধন নম্বর-০৩১) দাপ্তরিক ঠিকানা পরিবর্তিত হয়েছে। আগে চেয়ারম্যান কার্যালয় ছিল মহাখালীর নিউ ডিওএইচএস এলাকায় এবং মহানগর কার্যালয় ছিল নয়াপল্টনে। বর্তমানে নতুন ঠিকানা হয়েছে ২৬৬/১ কমিশনার গলি, ফকিরেরপুল, থানা মতিঝিল, ঢাকা।
২০০৭ সালে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত কল্যাণ পার্টি ২০০৮ সালে হাতঘড়ি প্রতীকে ইসির নিবন্ধন পায়। দীর্ঘদিন দলটি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ থেকে আন্দোলন করলেও ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে কক্সবাজার-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ইবরাহিম।
এর আগে, ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর তাকে বহিষ্কার করে নতুন কমিটি গঠনের তথ্য ইসিকে জানানো হয়েছিল। তবে অগ্রগতি না হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব মঙ্গলবার আবারও চিঠি দিয়েছে।
জাতীয় পার্টির ভেতর আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন অংশও সম্প্রতি নিজেদের মূলধারা দাবি করে ইসির স্বীকৃতি চেয়েছে।
মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি থেকে বহিষ্কারের পর দলের চেয়ারম্যান পদ থেকেও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীর প্রতীককে বাদ দিয়ে নতুন কমিটির তথ্য নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে দলটির ‘নতুন নেতৃত্ব’ অংশ।
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক চিঠি ইসির সচিবের কাছে পাঠিয়েছে দলটি। চিঠিতে নতুন কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে মো. শামসুদ্দিন পারভেজ এবং মহাসচিব হিসেবে মুহাম্মদ আবু হানিফের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ইসির উপসচিব মাহাবুব আলম শাহ সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা চিঠি পেয়েছি। এখন সেটি কমিশনের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা হবে।”
চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল হিসেবে কল্যাণ পার্টির পরিবর্তিত দাপ্তরিক ঠিকানা এবং চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের পরিবর্তিত নাম নিবন্ধিত হওয়া আবশ্যক। এ বিষয়ে দলটির গঠনতন্ত্রে কমিশনকে অবগত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এ বিষয়ে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, “কথিত নতুন কমিটির সদস্যদের বহিষ্কার করা হয়েছিল। তারা এখন নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
তিনি দাবি করেন, দলটি ১৬ বছর ধরে নিবন্ধন শর্ত মেনে চলছে এবং ২০০৮, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
“এখন আমাকে বহিষ্কার করলে নিবন্ধনও বাতিল করতে হবে। সেটা তারা করবে না, নিবন্ধনও পাবে না। গেল বছর কল্যাণ পার্টির নির্বাহী কমিটির মিটিংয়ে ১০-১২ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। এখন তারা অবৈধভাবে নামটা অপব্যবহার করছে।”
তার মতে, ইসি এ ধরনের কোনো আবেদনকে আমলে নেবে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন পর্যালোচনা ও শুনানি করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে থাকে।
নতুন নেতৃত্ব জানায়, ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বিশেষ বর্ধিত সভায় ইবরাহিমকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করা হয়। ওই সভায় ভাইস চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সিদ্ধান্ত হয়— চেয়ারম্যান পদে শামসুদ্দিন পারভেজকে এবং মহাসচিব পদে মুহাম্মদ আবু হানিফকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ১২ জুন বিশেষ কাউন্সিলে কাউন্সিলরদের সম্মতিক্রমে তাদের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, কল্যাণ পার্টির (নিবন্ধন নম্বর-০৩১) দাপ্তরিক ঠিকানা পরিবর্তিত হয়েছে। আগে চেয়ারম্যান কার্যালয় ছিল মহাখালীর নিউ ডিওএইচএস এলাকায় এবং মহানগর কার্যালয় ছিল নয়াপল্টনে। বর্তমানে নতুন ঠিকানা হয়েছে ২৬৬/১ কমিশনার গলি, ফকিরেরপুল, থানা মতিঝিল, ঢাকা।
২০০৭ সালে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত কল্যাণ পার্টি ২০০৮ সালে হাতঘড়ি প্রতীকে ইসির নিবন্ধন পায়। দীর্ঘদিন দলটি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ থেকে আন্দোলন করলেও ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে কক্সবাজার-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ইবরাহিম।
এর আগে, ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর তাকে বহিষ্কার করে নতুন কমিটি গঠনের তথ্য ইসিকে জানানো হয়েছিল। তবে অগ্রগতি না হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব মঙ্গলবার আবারও চিঠি দিয়েছে।
জাতীয় পার্টির ভেতর আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন অংশও সম্প্রতি নিজেদের মূলধারা দাবি করে ইসির স্বীকৃতি চেয়েছে।