প্লট দুর্নীতির মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আইনি সহায়তা দিতে আবেদন করেছিলেন চার আইনজীবী। কিন্তু আদালত আবেদন নাকচ করে জানিয়েছেন, আসামি ‘পলাতক’ থাকলে তাঁর পক্ষে মামলা লড়ার সুযোগ নেই।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম এই আদেশ দেন। চার আইনজীবী হলেন—মোরশেদ হোসেন শাহীন, ইমরান হোসেন, শেখ ফরিদ ও মো. তপু। তারা নিজেদের খরচে শেখ হাসিনার পক্ষে ব্যক্তিগত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, “দুদকের মামলায় আসামি পলাতক থাকলে তার পক্ষে মামলা লড়ার সুযোগ নেই।” ফলে আবেদন খারিজ করা হয়েছে।
অন্যদিকে আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন বলেন, “ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আমরা শেখ হাসিনার পক্ষে মামলা পরিচালনার অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু আদালত তা মঞ্জুর করেননি।”
গত জানুয়ারিতে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে পৃথক ছয়টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ শেখ পরিবারের একাধিক সদস্যকে আসামি করা হয়।
শেখ পরিবার ছাড়া আরও আসামি আছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদস্যরা, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রোডে ছয়টি প্লট অসৎ উদ্দেশ্যে বরাদ্দ নেন।
গত ৩১ জুলাই আদালত শেখ হাসিনা পরিবারের সাত সদস্যসহ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। দুটি আদালতে তিনটি করে মামলার বিচার চলছে, এর মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্লট দুর্নীতির মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আইনি সহায়তা দিতে আবেদন করেছিলেন চার আইনজীবী। কিন্তু আদালত আবেদন নাকচ করে জানিয়েছেন, আসামি ‘পলাতক’ থাকলে তাঁর পক্ষে মামলা লড়ার সুযোগ নেই।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রবিউল আলম এই আদেশ দেন। চার আইনজীবী হলেন—মোরশেদ হোসেন শাহীন, ইমরান হোসেন, শেখ ফরিদ ও মো. তপু। তারা নিজেদের খরচে শেখ হাসিনার পক্ষে ব্যক্তিগত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, “দুদকের মামলায় আসামি পলাতক থাকলে তার পক্ষে মামলা লড়ার সুযোগ নেই।” ফলে আবেদন খারিজ করা হয়েছে।
অন্যদিকে আইনজীবী মোরশেদ হোসেন শাহীন বলেন, “ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আমরা শেখ হাসিনার পক্ষে মামলা পরিচালনার অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু আদালত তা মঞ্জুর করেননি।”
গত জানুয়ারিতে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে পৃথক ছয়টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকসহ শেখ পরিবারের একাধিক সদস্যকে আসামি করা হয়।
শেখ পরিবার ছাড়া আরও আসামি আছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদস্যরা, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রোডে ছয়টি প্লট অসৎ উদ্দেশ্যে বরাদ্দ নেন।
গত ৩১ জুলাই আদালত শেখ হাসিনা পরিবারের সাত সদস্যসহ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। দুটি আদালতে তিনটি করে মামলার বিচার চলছে, এর মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।