ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বাড়িয়ে ১৫০ করার পাশাপাশি সেসব আসনে সরাসরি ভোট চায় ৭১টি সামাজিক সংগঠনের মোর্চা সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি। বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক সিডও দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক গোলটেবিল সভায় মোর্চার তরফে এ সুপারিশ এসেছে। ‘সংসদে নারীর কার্যকর ও ফলপ্রসূ প্রতিনিধিত্ব: সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন’ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও নারী অধিকারকর্মীরা অংশ নেন।
গত বছরের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নারীর অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার যখন রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে হাত দিলো, তখন অনেকেই আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন, এবার হয়ত সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো এবং সরাসরি নির্বাচনের সুযোগ মিলবে। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দলের আপত্তিতে ‘ক্রমান্বয়ে ১০০ আসন সংরক্ষণের’ সিদ্ধান্ত এসেছে ঐকমত্য কমিশনে। বিদ্যমান জাতীয় সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত আসনে নারী প্রতিনিধি মনোনয়ন দেয়া হয়।
রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগের মধ্যে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন ছিল অন্যতম। কিন্তু এ কমিশনের সুপারিশ আমলে নেয়া নিয়ে বিরোধিতার মুখে পড়ে সরকার। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রতিটি সংসদীয় এলাকার জন্য একটি সাধারণ আসনের পাশাপাশি নারীদের জন্য একটি সংরক্ষিত আসন রেখে সংসদে মোট ৬০০ আসন করার সুপারিশ করেছে। উভয় ক্ষেত্রে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করার সুপারিশও এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত এ কমিশনের তরফে। কমিশন মনে করছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে এ সুপারিশ বাস্তবায়ন সম্ভব।
সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির গোলটেবিল সভায় কমিটির পক্ষে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ‘নিজেরা করি’-এর সমন্বয়কারী খুশী কবির।
ধারণাপত্রে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার অন্যতম শর্ত দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীর গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে তার অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা। জাতীয় সংসদে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ নারী সদস্যের উপস্থিতি নারী সমাজের স্বার্থ ও মানবাধিকার রক্ষায় ভূমিকা রাখবে এবং জনগণের কাছে তাদের দায়বদ্ধতা তৈরি করতে সহায়ক হবে। ‘স্থানীয় সরকারের সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের বিধানটি অনেক দিন থেকে কার্যকর হয়ে আসছে। একইভাবে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ণের পথ প্রশস্ত করবে।’ ধারণাপত্রে তিনি সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির সুপারিশগুলো তুলে ধরেন। সুপারিশগুলো হলো- জাতীয় সংসদের সাধারণ আসনে নারী-পুরুষ উভয়ই নির্বাচন করতে পারবেন। একইসঙ্গে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনও থাকবে। জাতীয় সংসদে মোট আসন সংখ্যা ৪৫০ হবে, যেখানে ৩০০ সাধারণ আসন এবং ১৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন রাখতে হবে। পাশাপাশি দুটি সাধারণ আসন নিয়ে একটি সংরক্ষিত আসন হবে। সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নের প্রথা বাতিল করে একটি সুনির্দিষ্টি নির্বাচনী এলাকা থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং এ ব্যবস্থাটি দুই থেকে তিন মেয়াদের জন্য বলবৎ থাকতে হবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন বাড়িয়ে ১৫০ করার পাশাপাশি সেসব আসনে সরাসরি ভোট চায় ৭১টি সামাজিক সংগঠনের মোর্চা সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি। বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক সিডও দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক গোলটেবিল সভায় মোর্চার তরফে এ সুপারিশ এসেছে। ‘সংসদে নারীর কার্যকর ও ফলপ্রসূ প্রতিনিধিত্ব: সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচন’ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও নারী অধিকারকর্মীরা অংশ নেন।
গত বছরের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নারীর অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। ফলে অন্তর্বর্তী সরকার যখন রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে হাত দিলো, তখন অনেকেই আশাবাদী হয়ে উঠেছিলেন, এবার হয়ত সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো এবং সরাসরি নির্বাচনের সুযোগ মিলবে। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দলের আপত্তিতে ‘ক্রমান্বয়ে ১০০ আসন সংরক্ষণের’ সিদ্ধান্ত এসেছে ঐকমত্য কমিশনে। বিদ্যমান জাতীয় সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত আসনে নারী প্রতিনিধি মনোনয়ন দেয়া হয়।
রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগের মধ্যে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন ছিল অন্যতম। কিন্তু এ কমিশনের সুপারিশ আমলে নেয়া নিয়ে বিরোধিতার মুখে পড়ে সরকার। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন প্রতিটি সংসদীয় এলাকার জন্য একটি সাধারণ আসনের পাশাপাশি নারীদের জন্য একটি সংরক্ষিত আসন রেখে সংসদে মোট ৬০০ আসন করার সুপারিশ করেছে। উভয় ক্ষেত্রে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করার সুপারিশও এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত এ কমিশনের তরফে। কমিশন মনে করছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে এ সুপারিশ বাস্তবায়ন সম্ভব।
সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির গোলটেবিল সভায় কমিটির পক্ষে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ‘নিজেরা করি’-এর সমন্বয়কারী খুশী কবির।
ধারণাপত্রে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার অন্যতম শর্ত দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীর গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে তার অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা। জাতীয় সংসদে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ নারী সদস্যের উপস্থিতি নারী সমাজের স্বার্থ ও মানবাধিকার রক্ষায় ভূমিকা রাখবে এবং জনগণের কাছে তাদের দায়বদ্ধতা তৈরি করতে সহায়ক হবে। ‘স্থানীয় সরকারের সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের বিধানটি অনেক দিন থেকে কার্যকর হয়ে আসছে। একইভাবে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ণের পথ প্রশস্ত করবে।’ ধারণাপত্রে তিনি সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির সুপারিশগুলো তুলে ধরেন। সুপারিশগুলো হলো- জাতীয় সংসদের সাধারণ আসনে নারী-পুরুষ উভয়ই নির্বাচন করতে পারবেন। একইসঙ্গে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনও থাকবে। জাতীয় সংসদে মোট আসন সংখ্যা ৪৫০ হবে, যেখানে ৩০০ সাধারণ আসন এবং ১৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন রাখতে হবে। পাশাপাশি দুটি সাধারণ আসন নিয়ে একটি সংরক্ষিত আসন হবে। সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নের প্রথা বাতিল করে একটি সুনির্দিষ্টি নির্বাচনী এলাকা থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং এ ব্যবস্থাটি দুই থেকে তিন মেয়াদের জন্য বলবৎ থাকতে হবে।