দেশ ‘অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ‘নিশানা করে’ হামলা ও ভাঙচুরের আরও ঘটনা ঘটতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আজকে পত্রিকায় দেখলাম বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর হয়েছে, মাজার ভাঙার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বিভিন্ন কিছু ভাঙচুর করা হয়েছে, এগুলো আসলে কোনো বিচ্ছিন্ন কিছু না।”
মির্জা আব্বাস বলেন, “নির্বাচনকে সামনে রেখে এই ধরনের আরও অনেক কিছু সামনে আপনারা দেখতে পাবেন। উদ্দেশ্যে একটাই, যাতে নির্বাচনটা না হয়…একটা শ্রেণির লোক চাচ্ছে যাতে দেশে নির্বাচন না হয়। আপনারা সাংবাদিকরা খেয়াল রাখবেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় কালকে আমি দেখলাম, বিশ্বের একজন পরাক্রমশালী নেতার মুখের বক্তব্য শুনেছি… তাতে আমার মনে হচ্ছে না যে, দেশে একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আমরা যাচ্ছি, অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় দেশটা এগিয়ে যাচ্ছে।”
শুক্রবার ‘তৌহিদী জনতা’ পরিচয়ে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ‘নুরাল পাগলার’ দরবার শরিফে হামলা, ভাঙচুর চালানো হয়। কবর থেকে তার লাশ তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। একইদিন সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়, এ ঘটনায় দলটি গণঅধিকার পরিষদকে দায়ী করছে।
‘এসব হামলা সরকারের দেখা দরকার’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে দেখার পর দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে শঙ্কার বিষয়টি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন বিএনপি নেতা আব্বাস।
৩০ অগাস্ট সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক মশাল মিছিলের ডাক দেয় গণঅধিকার পরিষদ। রাত সাড়ে ৯টায় মশাল মিছিল কর্মসূচি শেষে বিজয়নগর এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রেস ব্রিফিং করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিপেটা করে। তাতে আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
গণঅধিকার পরিষদ নেতা নুরের ওপর হামলার পরে জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে। এসব বিষয় তুলে ধরে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা আব্বাস বলেন, “এই কথাটা আমি কিছুদিন আগে শুনেছিলাম যে, টার্গেট করে কিছু লোকের ওপর হামলা করা হবে। এটা আমি মাসখানেক আগে শুনেছিলাম। এটা শোনা কথা। এখন যেটা দেখছি যে, দুই একটা হামলা হয়েছে। জাগপার খন্দকার লুৎফুর রহমানের ওপর হামলা হয়েছে।”
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “এই হামলার ঘটনাগুলো সরকারকে এখন দেখা দরকার, এগুলো কোত্থেকে হচ্ছে? যদি না হয়, আমরা বুঝবো যে সরকার বোধহয় তাদের কমান্ড ধরে রাখতে পারছে না।”
‘নুরকে বিদেশ পাঠাতে কেন বিলম্ব?’
আব্বাস বলেন, “নুরের ওপর হামলা খুবই উদ্দেশ্যেমূলক। আমি দেখলাম যেটা রক্তপাত এখনো হচ্ছে মাঝে মধ্যে, নাক দিয়ে। অবস্থাটা আমার কাছে খুব একটা ভালো মনে হচ্ছে না।”
“আমি শুনলাম তাকে সরকার বিদেশে পাঠাবে। বিদেশে পাঠানোর যে কথা শুনলাম খুব ভালো লাগলো। কিন্তু এখনো পাঠানো হয়নি, এটা আমার কাছে ভালো লাগলো না। এখন আমি জানলাম যে, গতকাল এবং আজকে বন্ধের দিন ছিল। এই ধরনের ঘটনা বিশেষ ব্যবস্থায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। বিদেশে পাঠিয়ে দিলাম, এটা কিন্তু বিষয় না। আমার বক্তব্য হচ্ছে, তার চিকিৎসা বিশ্বের যে দেশে ভালো হবে, সেখানেই তাকে পাঠানো উত্তম বলে আমি মনে করি।”
একই সঙ্গে এই ‘হামলার’ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
এর আগে মির্জা আব্বাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কেবিনে চিকিৎসাধীন নুরুল হক নুরকে দেখেন এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে তার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন। এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশ ‘অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ‘নিশানা করে’ হামলা ও ভাঙচুরের আরও ঘটনা ঘটতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আজকে পত্রিকায় দেখলাম বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর হয়েছে, মাজার ভাঙার ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বিভিন্ন কিছু ভাঙচুর করা হয়েছে, এগুলো আসলে কোনো বিচ্ছিন্ন কিছু না।”
মির্জা আব্বাস বলেন, “নির্বাচনকে সামনে রেখে এই ধরনের আরও অনেক কিছু সামনে আপনারা দেখতে পাবেন। উদ্দেশ্যে একটাই, যাতে নির্বাচনটা না হয়…একটা শ্রেণির লোক চাচ্ছে যাতে দেশে নির্বাচন না হয়। আপনারা সাংবাদিকরা খেয়াল রাখবেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় কালকে আমি দেখলাম, বিশ্বের একজন পরাক্রমশালী নেতার মুখের বক্তব্য শুনেছি… তাতে আমার মনে হচ্ছে না যে, দেশে একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আমরা যাচ্ছি, অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় দেশটা এগিয়ে যাচ্ছে।”
শুক্রবার ‘তৌহিদী জনতা’ পরিচয়ে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ‘নুরাল পাগলার’ দরবার শরিফে হামলা, ভাঙচুর চালানো হয়। কবর থেকে তার লাশ তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। একইদিন সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়, এ ঘটনায় দলটি গণঅধিকার পরিষদকে দায়ী করছে।
‘এসব হামলা সরকারের দেখা দরকার’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে দেখার পর দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে শঙ্কার বিষয়টি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন বিএনপি নেতা আব্বাস।
৩০ অগাস্ট সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক মশাল মিছিলের ডাক দেয় গণঅধিকার পরিষদ। রাত সাড়ে ৯টায় মশাল মিছিল কর্মসূচি শেষে বিজয়নগর এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রেস ব্রিফিং করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিপেটা করে। তাতে আহত হন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
গণঅধিকার পরিষদ নেতা নুরের ওপর হামলার পরে জাগপার একাংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে। এসব বিষয় তুলে ধরে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা আব্বাস বলেন, “এই কথাটা আমি কিছুদিন আগে শুনেছিলাম যে, টার্গেট করে কিছু লোকের ওপর হামলা করা হবে। এটা আমি মাসখানেক আগে শুনেছিলাম। এটা শোনা কথা। এখন যেটা দেখছি যে, দুই একটা হামলা হয়েছে। জাগপার খন্দকার লুৎফুর রহমানের ওপর হামলা হয়েছে।”
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “এই হামলার ঘটনাগুলো সরকারকে এখন দেখা দরকার, এগুলো কোত্থেকে হচ্ছে? যদি না হয়, আমরা বুঝবো যে সরকার বোধহয় তাদের কমান্ড ধরে রাখতে পারছে না।”
‘নুরকে বিদেশ পাঠাতে কেন বিলম্ব?’
আব্বাস বলেন, “নুরের ওপর হামলা খুবই উদ্দেশ্যেমূলক। আমি দেখলাম যেটা রক্তপাত এখনো হচ্ছে মাঝে মধ্যে, নাক দিয়ে। অবস্থাটা আমার কাছে খুব একটা ভালো মনে হচ্ছে না।”
“আমি শুনলাম তাকে সরকার বিদেশে পাঠাবে। বিদেশে পাঠানোর যে কথা শুনলাম খুব ভালো লাগলো। কিন্তু এখনো পাঠানো হয়নি, এটা আমার কাছে ভালো লাগলো না। এখন আমি জানলাম যে, গতকাল এবং আজকে বন্ধের দিন ছিল। এই ধরনের ঘটনা বিশেষ ব্যবস্থায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। বিদেশে পাঠিয়ে দিলাম, এটা কিন্তু বিষয় না। আমার বক্তব্য হচ্ছে, তার চিকিৎসা বিশ্বের যে দেশে ভালো হবে, সেখানেই তাকে পাঠানো উত্তম বলে আমি মনে করি।”
একই সঙ্গে এই ‘হামলার’ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
এর আগে মির্জা আব্বাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কেবিনে চিকিৎসাধীন নুরুল হক নুরকে দেখেন এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে তার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন। এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান উপস্থিত ছিলেন।