রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলার’ লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলছে, এমন ঘটনা ইসলাম অনুমোদন করে না। এর মাধ্যমে মানবিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ লঙ্ঘিত হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ওই ঘটনায় শনিবার এক বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহদি’ দাবি করা নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলা’র লাশ কবর থেকে তুলে কথিত ‘ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’র লোকজন পুড়িয়ে দিয়েছে। নুরুল হক এখন মৃত, তার জীবদ্দশায় যা কিছু করেছেন তার জন্য তিনি আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করবেন।”
জুবায়ের বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক ও ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত একটি আন্দোলন ও দল। সমাজ ও রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কোনো কর্মকাণ্ড জামায়াতে ইসলামী বরদাশত করে না। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে জামায়াতে ইসলামী সর্বদা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে।”
তিনি বলেন, “এ ঘটনার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নাম জড়ানোর চেষ্টা অত্যন্ত দুঃখজনক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। দেশে আইন ও বিচারব্যবস্থা বিদ্যমান। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত ছিল। সমাজ ও রাষ্ট্রে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এমন সব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
নিজেকে ইমাম মাহাদি দাবি করা নুরুল হক সম্প্রতি মারা যাওয়ার পর মাটি থেকে কিছুটা উপরে কবর তৈরি করে তাকে দাফন করা হয়। কবরটির কাবা শরিফের আদল দেওয়া হয়। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। স্থানীয় প্রশাসন দুপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিলেন।
তার মধ্যেই শুক্রবার জুমার নামাজের পর ‘তৌহিদি জনতা’ ব্যানারে জড়ো হওয়া কয়েকশ লোক রাজবাড়ীর শহীদ মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা নুরুল হকের বাড়ি ও দরবারের ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তারা দরবার শরিফ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
পুলিশ আগে থেকেই সেখানে থাকলেও বিপুল মানুষের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা সক্ষম হয়নি। পরে সেনাবাহিনী ও র্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তখন ‘তৌহিদি জনতা’ নামধারীরা পিছু হটে নুরুল হকের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।
এর কিছু পরে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় কথিত ‘তৌহিদী জনতা’। তখন তারা বাড়ির সামনে থাকা নুরুল হকের কবর থেকে মরদেহ তুলে নিয়ে চলে যায়। পরে তারা মরদেহটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড়ে নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় সরকার এক বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “এই ধরনের বর্বরতা কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং প্রতিটি মানুষের জীবনের পবিত্রতা, জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পরেও রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলার’ লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলছে, এমন ঘটনা ইসলাম অনুমোদন করে না। এর মাধ্যমে মানবিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ লঙ্ঘিত হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ওই ঘটনায় শনিবার এক বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “গোয়ালন্দে নিজেকে ‘ইমাম মাহদি’ দাবি করা নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলা’র লাশ কবর থেকে তুলে কথিত ‘ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’র লোকজন পুড়িয়ে দিয়েছে। নুরুল হক এখন মৃত, তার জীবদ্দশায় যা কিছু করেছেন তার জন্য তিনি আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করবেন।”
জুবায়ের বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক ও ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত একটি আন্দোলন ও দল। সমাজ ও রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কোনো কর্মকাণ্ড জামায়াতে ইসলামী বরদাশত করে না। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে জামায়াতে ইসলামী সর্বদা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে।”
তিনি বলেন, “এ ঘটনার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নাম জড়ানোর চেষ্টা অত্যন্ত দুঃখজনক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। দেশে আইন ও বিচারব্যবস্থা বিদ্যমান। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিত ছিল। সমাজ ও রাষ্ট্রে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এমন সব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
নিজেকে ইমাম মাহাদি দাবি করা নুরুল হক সম্প্রতি মারা যাওয়ার পর মাটি থেকে কিছুটা উপরে কবর তৈরি করে তাকে দাফন করা হয়। কবরটির কাবা শরিফের আদল দেওয়া হয়। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। স্থানীয় প্রশাসন দুপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছিলেন।
তার মধ্যেই শুক্রবার জুমার নামাজের পর ‘তৌহিদি জনতা’ ব্যানারে জড়ো হওয়া কয়েকশ লোক রাজবাড়ীর শহীদ মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা নুরুল হকের বাড়ি ও দরবারের ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তারা দরবার শরিফ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
পুলিশ আগে থেকেই সেখানে থাকলেও বিপুল মানুষের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা সক্ষম হয়নি। পরে সেনাবাহিনী ও র্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তখন ‘তৌহিদি জনতা’ নামধারীরা পিছু হটে নুরুল হকের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।
এর কিছু পরে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় কথিত ‘তৌহিদী জনতা’। তখন তারা বাড়ির সামনে থাকা নুরুল হকের কবর থেকে মরদেহ তুলে নিয়ে চলে যায়। পরে তারা মরদেহটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড়ে নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় সরকার এক বিবৃতিতে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “এই ধরনের বর্বরতা কোনো অবস্থাতেই সহ্য করা হবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং প্রতিটি মানুষের জীবনের পবিত্রতা, জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পরেও রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”