আওয়ামী লীগের নেতা বা সমর্থক যারা ‘ক্লিন ইমেজের’ এবং যাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা সহিংসতার অভিযোগ নেই, তারা ‘জাতীয় পার্টিতে যোগ দিলে তাদের মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলেছেন দলটির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
তিনি বলেন জাতীয় পার্টি তিনশ আসনে প্রার্থী দিবে। আর সেক্ষেত্রে মোস্তফা বলেন, ‘ফরিদপুর, গোপালগজ্ঞসহ যেসব স্থানে আওয়ামী লীগের শক্ত ভিত্তি আছে, সেখানে ক্লিন ইমেজের লোক যদি জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন, তাহলে তাদেরকে আমরা মনোনয়ন দেব।’
তিনি শনিবার দুপুরে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে রংপুর বিভাগীয় জাতীয় পার্টির বিশেষ জরুরী সভার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মোস্তফা বলেন, ‘জাতীয় পার্টির প্রার্থীর চাইতে যদি ভালো প্রার্থী পাওয়া যায় এবং তাদের যদি ক্লিন ইমেজ থাকে, তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত থাকার কোন অভিযোগ না থাকে অবশ্যই আওয়ামী লীগের হলেও আমরা দলে নেবো এবং তাদের মনোনয়ন দেবো। আমাদের ক্যানডিডেট ক্রাইসিসকে ওভারকাম করার জন্য আমরা অবশ্যই করব।’
জাপার কো-চেয়ারম্যান মোস্তফা জানান আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে এবং ৩শ আসনেই প্রার্থী দিবে। ইতোমধ্যে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে দলীয় প্রার্থী চুড়ান্ত করার কাজ শেষ পর্যায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখি দল। বিগত সকল নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ গ্রহন করেছে। শুধু ১৯৯৫ এর ১৫ ফ্রেরুয়ারীর নির্বাচন ছাড়া।’
তিনি বলেন, ‘অনেক জায়গায় প্রার্থী চুড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে কিছু প্রার্থী সিলেকশন বাকী রয়েছে। জেলা কমিটি গুলোর মতামতের উপর ভিত্তি করে প্রার্থী চুড়ান্ত করা হবে।’
মোস্তফা বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আমরা চাই নির্বাচনের পরিবেশ আর লেভেল প্লেয়িং ফ্ল্ডি। যাতে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ও তাদের প্রার্থীরা নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ পায়।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন মব সন্ত্রাস চলছে। মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্চিত , গলায় জুতার মালা পড়ানো , মারধর করা সহ তাদের অপমান, অপদস্থ করা হচ্ছে। ৭১কে যারা অস্বীকার করে তাদের সাথে জাতীয় পার্টি কোন দিন থাকবে না,’ বলেন তিনি।
রংপুরের সাবেক মেয়র মোস্তফা মনে করেন, ‘গণতন্ত্রের স্বার্থে যারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি এবং এ ধরনের মব ভায়োলেন্সে নাই তাদেরকে বাঁচানোর জন্য বিএনপির একটা ভূমিকা থাকতে হবে। তা না হলে বিএনপি একা হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচনে যদি জাতীয় পার্টি না থাকে তাহলে ইসলামী ঐক্যজোট, জামায়াতে ইসলামী, চরমোনাই, এনসিপি ও গণধিকার পরিষদ একদিকে থাকতে চায়, আর আরেকদিকে বিএনপি।
‘এখন তারা যদি পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনে যাব না বলে সরে দাঁড়ায়, তাহলে বিএনপি একা হয়ে যাবে। এতে একক নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না,’ বলেন জাপার কো-চেয়ারম্যান।
বিএনপিকে ‘বিপদে ফেলার জন্য’ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিগুলো চেষ্টা করছে বলে মনে করেন রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক এই মেয়র।
মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, লালমনিরহাট আর ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুরে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা করে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে। অন্যান্য জেলায় যাতে দলীয় কার্যালয়ে হামলা না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহন প্রয়োজনে আইন শৃংখলা রক্ষা কারী বাহিনী আগাম অবহিত করার জন্য জেলার নেতাদের বলা হয়েছে।’
তিনি ঢাকায় জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে দ্বিতীয় দফায় হামলার নিন্দা জানান। দেশের বিভিন্ন স্থানে দলের কার্যালয়ে যারা হামলা আর মব সন্ত্রাস চালাচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান।
সভায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলার সভাপতি সম্পাদক ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা বিশেষ জরুরী সভায় বক্তব্য দেন। সভায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মহানগর সাধারন সম্পাদক এস এম ইয়াসির, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর জেলা আহবায়ক আজমল হোসেন লেবু, সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আওয়ামী লীগের নেতা বা সমর্থক যারা ‘ক্লিন ইমেজের’ এবং যাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা সহিংসতার অভিযোগ নেই, তারা ‘জাতীয় পার্টিতে যোগ দিলে তাদের মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলেছেন দলটির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
তিনি বলেন জাতীয় পার্টি তিনশ আসনে প্রার্থী দিবে। আর সেক্ষেত্রে মোস্তফা বলেন, ‘ফরিদপুর, গোপালগজ্ঞসহ যেসব স্থানে আওয়ামী লীগের শক্ত ভিত্তি আছে, সেখানে ক্লিন ইমেজের লোক যদি জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন, তাহলে তাদেরকে আমরা মনোনয়ন দেব।’
তিনি শনিবার দুপুরে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে রংপুর বিভাগীয় জাতীয় পার্টির বিশেষ জরুরী সভার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মোস্তফা বলেন, ‘জাতীয় পার্টির প্রার্থীর চাইতে যদি ভালো প্রার্থী পাওয়া যায় এবং তাদের যদি ক্লিন ইমেজ থাকে, তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত থাকার কোন অভিযোগ না থাকে অবশ্যই আওয়ামী লীগের হলেও আমরা দলে নেবো এবং তাদের মনোনয়ন দেবো। আমাদের ক্যানডিডেট ক্রাইসিসকে ওভারকাম করার জন্য আমরা অবশ্যই করব।’
জাপার কো-চেয়ারম্যান মোস্তফা জানান আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে এবং ৩শ আসনেই প্রার্থী দিবে। ইতোমধ্যে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনে দলীয় প্রার্থী চুড়ান্ত করার কাজ শেষ পর্যায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখি দল। বিগত সকল নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ গ্রহন করেছে। শুধু ১৯৯৫ এর ১৫ ফ্রেরুয়ারীর নির্বাচন ছাড়া।’
তিনি বলেন, ‘অনেক জায়গায় প্রার্থী চুড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে কিছু প্রার্থী সিলেকশন বাকী রয়েছে। জেলা কমিটি গুলোর মতামতের উপর ভিত্তি করে প্রার্থী চুড়ান্ত করা হবে।’
মোস্তফা বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আমরা চাই নির্বাচনের পরিবেশ আর লেভেল প্লেয়িং ফ্ল্ডি। যাতে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ও তাদের প্রার্থীরা নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ পায়।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন মব সন্ত্রাস চলছে। মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্চিত , গলায় জুতার মালা পড়ানো , মারধর করা সহ তাদের অপমান, অপদস্থ করা হচ্ছে। ৭১কে যারা অস্বীকার করে তাদের সাথে জাতীয় পার্টি কোন দিন থাকবে না,’ বলেন তিনি।
রংপুরের সাবেক মেয়র মোস্তফা মনে করেন, ‘গণতন্ত্রের স্বার্থে যারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি এবং এ ধরনের মব ভায়োলেন্সে নাই তাদেরকে বাঁচানোর জন্য বিএনপির একটা ভূমিকা থাকতে হবে। তা না হলে বিএনপি একা হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচনে যদি জাতীয় পার্টি না থাকে তাহলে ইসলামী ঐক্যজোট, জামায়াতে ইসলামী, চরমোনাই, এনসিপি ও গণধিকার পরিষদ একদিকে থাকতে চায়, আর আরেকদিকে বিএনপি।
‘এখন তারা যদি পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনে যাব না বলে সরে দাঁড়ায়, তাহলে বিএনপি একা হয়ে যাবে। এতে একক নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না,’ বলেন জাপার কো-চেয়ারম্যান।
বিএনপিকে ‘বিপদে ফেলার জন্য’ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিগুলো চেষ্টা করছে বলে মনে করেন রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক এই মেয়র।
মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা, লালমনিরহাট আর ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুরে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা করে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে। অন্যান্য জেলায় যাতে দলীয় কার্যালয়ে হামলা না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহন প্রয়োজনে আইন শৃংখলা রক্ষা কারী বাহিনী আগাম অবহিত করার জন্য জেলার নেতাদের বলা হয়েছে।’
তিনি ঢাকায় জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে দ্বিতীয় দফায় হামলার নিন্দা জানান। দেশের বিভিন্ন স্থানে দলের কার্যালয়ে যারা হামলা আর মব সন্ত্রাস চালাচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান।
সভায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলার সভাপতি সম্পাদক ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা বিশেষ জরুরী সভায় বক্তব্য দেন। সভায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মহানগর সাধারন সম্পাদক এস এম ইয়াসির, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর জেলা আহবায়ক আজমল হোসেন লেবু, সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।