কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, “আমার বাড়ি ভেঙেছে আরও ভাঙুক। বঙ্গবন্ধুর ৩২-এর বাড়িতে গিয়েছিলাম, আমার গাড়ি ভেঙেছিল। আরও ভেঙে যদি দেশে শান্তি স্থাপিত হয়, দেশের কল্যাণ হয়, আমি সব সময় রাজি আছি।”
রোববার টাঙ্গাইল শহরের কবি নজরুল সরণির বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সাবেক সংসদ সদস্য কাদের সিদ্দিকী।
এর আগে শনিবার রাত একটার দিকে তার বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বাসার কর্মচারীরা জানান, ওই রাতে কাদের সিদ্দিকী বাসায় ঘুমাচ্ছিলেন। রাত একটার দিকে ১০-১৫ জন দুর্বৃত্ত বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা মই দিয়ে গেট টপকে ভেতরে প্রবেশ করে দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের মুখ বাঁধা ছিল এবং কয়েকজন হেলমেট পরা অবস্থায় ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “গত রাতে আমার বাড়িতে হামলা করেছে। কারা করেছে জানি না। ১০-১২ জন লোক, তার মধ্যে বেশি বাচ্চা ছিল। ঢিল মেরেছে, গাড়ি ভেঙেছে। কোটাবিরোধী আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরে আমরা এই স্বৈরাচারী মনোভাব আশা করিনি। আওয়ামী লীগ যদি স্বৈরাচার হয়, তাহলে আজকের কর্মকাণ্ডকে আমরা কী বলে অভিহিত করব?”
তিনি আরও বলেন, “২৬ বছর হয়েছে নতুন দল করেছি। রাত–দিন সংগ্রাম করেছি। আওয়ামী লীগ আমাদের বহু প্রোগ্রাম করতে দেয়নি। তারপরও যদি সবাইকে আওয়ামী লীগের দোসর বানানো হয়, তা হলে তো আমি মনে করব বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ব্যর্থ করার জন্য, ধ্বংস করার জন্য এটা কোনো ষড়যন্ত্র কি না! আমার কাছে মনে হয়, দেশটাকে অস্থিতিশীল করার জন্য জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ খুঁজছে। সেই সুযোগ অন্তর্বর্তী সরকার দিচ্ছে কি না আমি ঠিক বলতে পারব না। আমার মতো মানুষের, যাকে রাষ্ট্র সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক খেতাব দিয়েছে, তার বাড়ি যদি নিরাপদ না থাকে, আমার সাধারণ গরিব–দুঃখী মানুষের বাড়ি নিরাপদ কীভাবে হয়?”
কাদের সিদ্দিকী বলেন, “কয়েক দিন আগে মঞ্চ ৭১–এর সভায় আমাদের নেতা, আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী আলোচক হিসেবে গিয়েছিলেন। তাঁদের সব আলোচককে গ্রেপ্তার করেছে। যাঁরা শ্রোতা হিসেবে গিয়েছিলেন, তাঁদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু যাঁরা মব সৃষ্টি করেছেন, যাঁরা বাধা দিয়েছেন, তাঁদের কিছু বলা হয়নি। এটা একটা ন্যায়নীতির ব্যত্যয়, আইনের ব্যত্যয়। এখান থেকে আমি সরকারকে সরে আসতে বলব। আমার বাড়ির ওপর হামলার মধ্য দিয়েই এই চোরাগোপ্তা হামলা বন্ধ করা হোক। এটা সরকারের কাছে আমার নিবেদন। দেশবাসীর কাছে আমার নিবেদন যে আপনারা জাগ্রত হোন, রুখে দাঁড়ান। এ রকম অন্যায়কে সহ্য করলে পরবর্তী বংশধরদের জীবন–সম্পদ–সম্মান—সব হুমকির মধ্যে পড়বে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি মামলা করবেন। সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই কালিহাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজাদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে রোববার কাদের সিদ্দিকীর নির্বাচনী এলাকা বাসাইলে কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে প্রধান অতিথি হওয়ার কথা ছিল কাদের সিদ্দিকীর। কিন্তু ‘ছাত্র সমাজের’ ব্যানারে একই সময় একই স্থানে ছাত্রসমাবেশ ডাকা হয়। এ অবস্থায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাসাইল শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
রোববার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, “আমার বাড়ি ভেঙেছে আরও ভাঙুক। বঙ্গবন্ধুর ৩২-এর বাড়িতে গিয়েছিলাম, আমার গাড়ি ভেঙেছিল। আরও ভেঙে যদি দেশে শান্তি স্থাপিত হয়, দেশের কল্যাণ হয়, আমি সব সময় রাজি আছি।”
রোববার টাঙ্গাইল শহরের কবি নজরুল সরণির বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সাবেক সংসদ সদস্য কাদের সিদ্দিকী।
এর আগে শনিবার রাত একটার দিকে তার বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বাসার কর্মচারীরা জানান, ওই রাতে কাদের সিদ্দিকী বাসায় ঘুমাচ্ছিলেন। রাত একটার দিকে ১০-১৫ জন দুর্বৃত্ত বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা মই দিয়ে গেট টপকে ভেতরে প্রবেশ করে দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের মুখ বাঁধা ছিল এবং কয়েকজন হেলমেট পরা অবস্থায় ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “গত রাতে আমার বাড়িতে হামলা করেছে। কারা করেছে জানি না। ১০-১২ জন লোক, তার মধ্যে বেশি বাচ্চা ছিল। ঢিল মেরেছে, গাড়ি ভেঙেছে। কোটাবিরোধী আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরে আমরা এই স্বৈরাচারী মনোভাব আশা করিনি। আওয়ামী লীগ যদি স্বৈরাচার হয়, তাহলে আজকের কর্মকাণ্ডকে আমরা কী বলে অভিহিত করব?”
তিনি আরও বলেন, “২৬ বছর হয়েছে নতুন দল করেছি। রাত–দিন সংগ্রাম করেছি। আওয়ামী লীগ আমাদের বহু প্রোগ্রাম করতে দেয়নি। তারপরও যদি সবাইকে আওয়ামী লীগের দোসর বানানো হয়, তা হলে তো আমি মনে করব বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে ব্যর্থ করার জন্য, ধ্বংস করার জন্য এটা কোনো ষড়যন্ত্র কি না! আমার কাছে মনে হয়, দেশটাকে অস্থিতিশীল করার জন্য জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ খুঁজছে। সেই সুযোগ অন্তর্বর্তী সরকার দিচ্ছে কি না আমি ঠিক বলতে পারব না। আমার মতো মানুষের, যাকে রাষ্ট্র সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক খেতাব দিয়েছে, তার বাড়ি যদি নিরাপদ না থাকে, আমার সাধারণ গরিব–দুঃখী মানুষের বাড়ি নিরাপদ কীভাবে হয়?”
কাদের সিদ্দিকী বলেন, “কয়েক দিন আগে মঞ্চ ৭১–এর সভায় আমাদের নেতা, আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী আলোচক হিসেবে গিয়েছিলেন। তাঁদের সব আলোচককে গ্রেপ্তার করেছে। যাঁরা শ্রোতা হিসেবে গিয়েছিলেন, তাঁদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু যাঁরা মব সৃষ্টি করেছেন, যাঁরা বাধা দিয়েছেন, তাঁদের কিছু বলা হয়নি। এটা একটা ন্যায়নীতির ব্যত্যয়, আইনের ব্যত্যয়। এখান থেকে আমি সরকারকে সরে আসতে বলব। আমার বাড়ির ওপর হামলার মধ্য দিয়েই এই চোরাগোপ্তা হামলা বন্ধ করা হোক। এটা সরকারের কাছে আমার নিবেদন। দেশবাসীর কাছে আমার নিবেদন যে আপনারা জাগ্রত হোন, রুখে দাঁড়ান। এ রকম অন্যায়কে সহ্য করলে পরবর্তী বংশধরদের জীবন–সম্পদ–সম্মান—সব হুমকির মধ্যে পড়বে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি মামলা করবেন। সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই কালিহাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজাদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে রোববার কাদের সিদ্দিকীর নির্বাচনী এলাকা বাসাইলে কাদেরিয়া বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এতে প্রধান অতিথি হওয়ার কথা ছিল কাদের সিদ্দিকীর। কিন্তু ‘ছাত্র সমাজের’ ব্যানারে একই সময় একই স্থানে ছাত্রসমাবেশ ডাকা হয়। এ অবস্থায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাসাইল শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।