ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশে আজ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন রকম বক্তব্য দিচ্ছে। কিন্তু বক্তব্য দিতে গিয়ে দেশের পরিস্থিতি যদি অস্বাভাবিক হয়, স্বৈরাচার ফিরে আসার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে সেটি কোনো অবস্থাতেই ভালো হবে না।
সোমবার,(০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেল সাড়ে ৪টায় ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠে দীর্ঘ ৮ বছর পর অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন থেমে থাকবেনা। গণতন্ত্র পূর্ণতা না পাওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলমান থাকবে। আমাদের দ্বিতীয় শপথ ৩১ দফার আলোকে এই বাংলাদেশকে আবারও পুনর্গঠন করতে জীবন বাজি রেখে কাজ করতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, আজ আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে- জাতীয় নির্বাচন আমরা যতো সহজ ভাবছি ততটা সহজ নয়। যেভাবে বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রের আন্দোলন জোরদার করে তুলেছিল এবং সফল করেছিল। আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক- যতক্ষণ পর্যন্ত এ দেশে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা না হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশ গণতন্ত্রের রেললাইনে উঠে না আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন থেমে থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, বহু মানুষের আত্মদানের মাধ্যমে আজকের এ স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, মানুষের এখনকার প্রত্যাশা দেশকে নতুন করে গড়ে তোলার। জনগণই বাছাই করে নেবে কে আগামী দিনে দেশকে পরিচালনা করবে।
এদিকে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে। আজকে যখন সমগ্র জাতি উন্মুখ হয়ে আছে একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমাদের সরকার গঠন করবো, দেশ গণতন্ত্রে ফিরে যাবে। ঠিক তখনি এই ষড়যন্ত্রগুলো শুরু হয়েছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই ড. ইউনূসকে। তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেছেন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। তিনি বলেছেন- একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ তাকে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরাতে পারবেনা। সেজন্য আমি তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই সে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে যারা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে বেছে নিতে চেয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু। এছাড়াও বক্তব্য দেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
সম্মেলনে প্রথমার্ধে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম। সম্মেলনে দ্বিতীয়ার্ধে সভাপতিত্ব করেছে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু।
সম্মেলনে সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মির্জা ফয়সল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৫১ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন পয়গাম আলী।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশে আজ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন রকম বক্তব্য দিচ্ছে। কিন্তু বক্তব্য দিতে গিয়ে দেশের পরিস্থিতি যদি অস্বাভাবিক হয়, স্বৈরাচার ফিরে আসার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে সেটি কোনো অবস্থাতেই ভালো হবে না।
সোমবার,(০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেল সাড়ে ৪টায় ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠে দীর্ঘ ৮ বছর পর অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন থেমে থাকবেনা। গণতন্ত্র পূর্ণতা না পাওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলমান থাকবে। আমাদের দ্বিতীয় শপথ ৩১ দফার আলোকে এই বাংলাদেশকে আবারও পুনর্গঠন করতে জীবন বাজি রেখে কাজ করতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, আজ আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে- জাতীয় নির্বাচন আমরা যতো সহজ ভাবছি ততটা সহজ নয়। যেভাবে বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রের আন্দোলন জোরদার করে তুলেছিল এবং সফল করেছিল। আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক- যতক্ষণ পর্যন্ত এ দেশে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা না হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশ গণতন্ত্রের রেললাইনে উঠে না আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন থেমে থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, বহু মানুষের আত্মদানের মাধ্যমে আজকের এ স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, মানুষের এখনকার প্রত্যাশা দেশকে নতুন করে গড়ে তোলার। জনগণই বাছাই করে নেবে কে আগামী দিনে দেশকে পরিচালনা করবে।
এদিকে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে। আজকে যখন সমগ্র জাতি উন্মুখ হয়ে আছে একটা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমাদের সরকার গঠন করবো, দেশ গণতন্ত্রে ফিরে যাবে। ঠিক তখনি এই ষড়যন্ত্রগুলো শুরু হয়েছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই ড. ইউনূসকে। তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেছেন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। তিনি বলেছেন- একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ তাকে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরাতে পারবেনা। সেজন্য আমি তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই সে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে যারা নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে বেছে নিতে চেয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু। এছাড়াও বক্তব্য দেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
সম্মেলনে প্রথমার্ধে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম। সম্মেলনে দ্বিতীয়ার্ধে সভাপতিত্ব করেছে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু।
সম্মেলনে সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মির্জা ফয়সল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৫১ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন পয়গাম আলী।