জাতীয় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে দেশ ও বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। শুক্রবার, (১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এ অভিযোগ করেন। তারা বলেন, একটি গোষ্ঠী নির্বাচন ঠেকানোর জন্য নতুন নতুন বয়ান দিচ্ছে, অন্যদিকে ‘পলায়নকৃত স্বৈরাচার’ ও ‘দেশবিরোধী শক্তি’ গণতান্ত্রিক যাত্রাকে ব্যাহত করতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে স্বৈরাচারকে পুনর্বাসন করা হতে পারে: জাহিদ হোসেন
নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত না হলে ‘আধিপত্যবাদীরা’ সুযোগ পাবে: শামসুজ্জামান দুদু
প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন আয়োজন থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এ জেড এম জাহিদ হোসেন। শুক্রবার সকালে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিইএব) নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ডা. জাহিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, শুধু ছাত্রদলই নয়, জাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন প্যানেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী এমনকি শিক্ষকরাও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। যার পেছনে কোনো না কোনো কারণ রয়েছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে স্বৈরাচারকে পুনর্বাসন করা হতে পারে। জাকসুতে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ভোটকেন্দ্র মনিটরিংয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করে।
বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে এবং গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে দেশে ও বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে জাহিদের দাবি। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘পলায়নকৃত স্বৈরাচার ও দেশবিরোধী শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক যাত্রা ব্যাহত করতে চায়।’ তিনি নির্বাচন আয়োজকদের কোনো দিকে না ঝুঁকে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানান।
জাহিদ বলেন, জনগণ যাদের নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাবে, তারাই ৩৬ জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আদর্শের ওপর ভিত্তি করে দেশের সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার করবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার আলোকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে নেতৃত্ব দেবেন।
দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের এক প্রতিনিধি সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, একটি গোষ্ঠী কীভাবে জাতীয় নির্বাচন ঠেকানো যায়, তার জন্য নতুন নতুন বয়ান দিচ্ছে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নেই।
দুদুর অভিযোগ, বিগত সময়ে নির্বাচনের নামে ‘ভণ্ডামি’ হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত না হলে ‘আধিপত্যবাদীরা’ সুযোগ পাবে। দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,
‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সবকিছুই ফয়সালা হবে।’ তিনি আরও দাবি করেন, বাংলাদেশকে রক্ষা করতে জিয়া পরিবারের কোনো বিকল্প নেই।
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতীয় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে দেশ ও বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। শুক্রবার, (১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু এ অভিযোগ করেন। তারা বলেন, একটি গোষ্ঠী নির্বাচন ঠেকানোর জন্য নতুন নতুন বয়ান দিচ্ছে, অন্যদিকে ‘পলায়নকৃত স্বৈরাচার’ ও ‘দেশবিরোধী শক্তি’ গণতান্ত্রিক যাত্রাকে ব্যাহত করতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে স্বৈরাচারকে পুনর্বাসন করা হতে পারে: জাহিদ হোসেন
নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত না হলে ‘আধিপত্যবাদীরা’ সুযোগ পাবে: শামসুজ্জামান দুদু
প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন আয়োজন থেকে সরকারকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এ জেড এম জাহিদ হোসেন। শুক্রবার সকালে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিইএব) নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
ডা. জাহিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, শুধু ছাত্রদলই নয়, জাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন প্যানেল, স্বতন্ত্র প্রার্থী এমনকি শিক্ষকরাও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। যার পেছনে কোনো না কোনো কারণ রয়েছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে স্বৈরাচারকে পুনর্বাসন করা হতে পারে। জাকসুতে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল ভোটকেন্দ্র মনিটরিংয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করে।
বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে এবং গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে দেশে ও বিদেশে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে জাহিদের দাবি। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘পলায়নকৃত স্বৈরাচার ও দেশবিরোধী শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক যাত্রা ব্যাহত করতে চায়।’ তিনি নির্বাচন আয়োজকদের কোনো দিকে না ঝুঁকে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানান।
জাহিদ বলেন, জনগণ যাদের নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাবে, তারাই ৩৬ জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আদর্শের ওপর ভিত্তি করে দেশের সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার করবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার আলোকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে নেতৃত্ব দেবেন।
দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের এক প্রতিনিধি সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, একটি গোষ্ঠী কীভাবে জাতীয় নির্বাচন ঠেকানো যায়, তার জন্য নতুন নতুন বয়ান দিচ্ছে। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো পথ নেই।
দুদুর অভিযোগ, বিগত সময়ে নির্বাচনের নামে ‘ভণ্ডামি’ হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে অনুষ্ঠিত না হলে ‘আধিপত্যবাদীরা’ সুযোগ পাবে। দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,
‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সবকিছুই ফয়সালা হবে।’ তিনি আরও দাবি করেন, বাংলাদেশকে রক্ষা করতে জিয়া পরিবারের কোনো বিকল্প নেই।