ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে একটি ছাত্র সংগঠনের বিজয় কোনো ‘মাস্টার প্ল্যানের’ অংশ কি না, প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার দুপুরে এক আলোচনা সভায় সদ্য সমাপ্ত ঢাকা এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “যেদিন ভোট সেদিন ভোটার তৈরি করা হচ্ছে এবং হাতে লিখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে…এগুলো কী অনিয়ম নয়?
“আপনি জালিয়াতি না বললেও এটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সামগ্রিক ‘মেকানিজম’, যাতে একটি ছাত্র সংগঠনকে বিজয়ী করা যায়। সেখানে ব্যালট পেপার ছাপানো হবে, ব্যালট বই ছাপানো হবে সেটা একটি ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে কেন? সেখানকার শিক্ষকরা পর্যন্ত নির্বাচন বর্জন করেছেন অনিয়ম দেখে।”
ঠিক একই কাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও হয়েছে দাবি করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসুর এই সাবেক ভিপি বলেন, “আপনি ব্যালট পেপার ছাপিয়েছেন প্রাইভেট একটি প্রেস থেকে…এটা তো করতে পারেন না। ব্যালট পেপার ছাপানো হবে সেটা সরকারি কোনো প্রেস…বিজি প্রেস হতে পারে অথবা অন্য কোনো প্রেস থেকে। সেই ব্যালট পেপারে কোনো নম্বর নেই, এটা রহস্যজনক ঘটনা।
“সেই ব্যালট পেপার ছাপানো হচ্ছে প্রাইভেট কোনো প্রেস থেকে যেটার মালিকের সাথে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল তার সম্পর্ক আছে যা প্রমাণিত হয়েছে।”
জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশানা করে রাষ্ট্র এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সব মিলিয়ে কোনো একটা গভীর নীল নকশা তৈরি হচ্ছে কি না প্রশ্ন তোলেন তিনি।
“আমরা আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছি, এখন এদেরকে (বিএনপি) ঘায়েল করতে হবে…এই একটা কোনো ‘মাস্টার প্ল্যান’ করা হয়েছে কি না, সেটা আজকে মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।”
বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, “আমরা যেটা দেখছি, সেটা গণতন্ত্রের জন্যও বিপজ্জনক, গণতন্ত্রের চর্চার জন্যও বিপজ্জনক এবং মানুষের যে ধর্মীয় চেতনা, এটার জন্যও বিপজ্জনক। এখানে মানুষ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, আবার এসে টেলিভিশনে নাটকও দেখেন, গানও শুনেন…নজরুল গীতি, রবীন্দ্র সঙ্গীত। কিন্তু আপনি যখন এক পাক্ষিক করে ফেলবেন সমাজ, আরেকটা নতুন ধরনের ফ্যাসিবাদের রূপ নেবে।”
ফ্যাসিবাদের চূড়ান্ত পর্যায় ‘উগ্র সাম্প্রদায়িকতা এবং উগ্র ধর্মীয় রাজনীতি’, এমন দাবি করে তিনি বলেন, এটা এলে আরও সর্বনাশ হবে।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৮তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল হয়।
৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির অধিকাংশ পদে জয় পেয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) তাদের হাতে গেছে বৃহস্পতিবারের ভোটে।
‘ডাকসু-জাকসু ভোটে ইঞ্জিনিয়ারিং’
রিজভী বলেন, “কেউ কেউ মনে করছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ধরণের ফলাফল হয়েছে। গণতন্ত্রে সাধারণ ছাত্রসমাজের ইচ্ছার প্রতিফলন, তার বিরুদ্ধাচারণ করি না। কিন্তু এই ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য যদি কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং হয়, এটা কিন্তু ধরা পড়বে। যেটা আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে।”
তার মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন উৎসবের মতো, যে উৎসবে সাবেক ছাত্র সংসদের ভিপি-জিএসরা কথা বলেন।
ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, তিনি কোড অব কন্ডাক্ট তৈরি করছেন যে, বাইরের কেউ আসতে পারবে না। ভাই বিশ্ববিদ্যালয় কী বিচ্ছিন্ন কোনো দেশ নাকি? ভ্যাটিকেন সিটি তো নয়, দেশের মধ্যে দেশ তো না। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর একটা উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সরকারের কিছু মানুষের সাথে যোগসূত্র হয়ে তিনি হাত-পা বেধে একটা একচেটিয়া নির্বাচন করার প্রচেষ্টা করেছেন। যাতে একচেটিয়া একটা ফলাফল তৈরি করা যায়।”
‘ওদের আসল রূপ’
ছাত্রশিবিরের সমালোচনা করে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, “ওদের ভান্ডামি দেখেন। যারা ছাত্রলীগের নেতা সেজে ক্যাম্পাসে অবস্থান করেছেন, হেলমেট পড়ে গণতন্ত্রের কর্মী, ছাত্রদলসহ অন্যান্য দলের কর্মীদের আঘাত করেছেন, আবার শেখ হাসিনার পতনের পর আসল রূপ নিয়ে যারা ছাত্র শিবির হয়ে গেলেন। এই যে ঘটনা, এটা আজকে জনগণের কাছে উন্মোচিত হয়ে গেছে।”
জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “অত্যন্ত গোপনে তারা প্রচার চালায় যে বিএনপি চাঁদাবাজি-টাদাবাজির সাথে যুক্ত। বিএনপি বৃহত্তর দল, কেউ না কেউ দুষ্ট চক্র থাকতে পারে। এই চক্র নানাধরনের কাজ করতে পারে। দল যদি এটা নীরবে সহ্য করে যায়, তাহলে সেটা দলের দোষ। আর দল যদি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় তাহলে দল সঠিক পথে আছে।
“একটা পরিবারের একজন সন্তান বিপদগামী হতে পারে, কিন্তু তাকে সোজা করার জন্য শাস্তি দেওয়ার জন্য, ওই পরিবার ব্যবস্থা নিলে সেই পরিবার সঠিক কাজটি করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমাদের কিছু গণমাধ্যমে ওদের সাথে মিলে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যায় সব সময়।”
‘আওয়ামী লীগারদের ঠাঁই হচ্ছে জামায়াতে’
গত বছরের ৫ অগাস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির নেতারা কেউ কেউ ধরা পড়েন। বেশির ভাগই বিদেশে অথবা আত্মগোপনে চলে গেছেন। আওয়ামী লীগ ও তার সংগঠনগুলোর কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জামায়াতে যোগ দিচ্ছেন বলে দাবি করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী।
তিনি বলেন, “এখন আমরা খবর পাই, বিভিন্ন এলাকায় ওই সমস্ত নিপীড়নকারী, নির্যাতনকারী আওয়ামী লীগারদের জামায়াতের সদস্য করা হচ্ছে। এর প্রমাণ আছে, ডকুমেন্ট আছে…সামাজিক মাধ্যমে সব প্রকাশ হচ্ছে।”
প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, “আপনাদের মধ্যে ফ্যাসিবাদের দোসররা যাদের বিভিন্ন জায়গায় ছবি আছে, অতীত কর্মকাণ্ড আছে তারা যেন আপনাদের এই সংগঠনে ঢুকতে না পারে, এটা আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে।”
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিইএব) এর আহ্বায়ক মো. হানিফ ও সদস্য সচিব কাজী শাখাওয়াত হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা সাইফুল আলম নীরব।
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে একটি ছাত্র সংগঠনের বিজয় কোনো ‘মাস্টার প্ল্যানের’ অংশ কি না, প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার দুপুরে এক আলোচনা সভায় সদ্য সমাপ্ত ঢাকা এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “যেদিন ভোট সেদিন ভোটার তৈরি করা হচ্ছে এবং হাতে লিখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে…এগুলো কী অনিয়ম নয়?
“আপনি জালিয়াতি না বললেও এটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সামগ্রিক ‘মেকানিজম’, যাতে একটি ছাত্র সংগঠনকে বিজয়ী করা যায়। সেখানে ব্যালট পেপার ছাপানো হবে, ব্যালট বই ছাপানো হবে সেটা একটি ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে কেন? সেখানকার শিক্ষকরা পর্যন্ত নির্বাচন বর্জন করেছেন অনিয়ম দেখে।”
ঠিক একই কাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও হয়েছে দাবি করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসুর এই সাবেক ভিপি বলেন, “আপনি ব্যালট পেপার ছাপিয়েছেন প্রাইভেট একটি প্রেস থেকে…এটা তো করতে পারেন না। ব্যালট পেপার ছাপানো হবে সেটা সরকারি কোনো প্রেস…বিজি প্রেস হতে পারে অথবা অন্য কোনো প্রেস থেকে। সেই ব্যালট পেপারে কোনো নম্বর নেই, এটা রহস্যজনক ঘটনা।
“সেই ব্যালট পেপার ছাপানো হচ্ছে প্রাইভেট কোনো প্রেস থেকে যেটার মালিকের সাথে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল তার সম্পর্ক আছে যা প্রমাণিত হয়েছে।”
জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশানা করে রাষ্ট্র এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সব মিলিয়ে কোনো একটা গভীর নীল নকশা তৈরি হচ্ছে কি না প্রশ্ন তোলেন তিনি।
“আমরা আওয়ামী লীগকে তাড়িয়েছি, এখন এদেরকে (বিএনপি) ঘায়েল করতে হবে…এই একটা কোনো ‘মাস্টার প্ল্যান’ করা হয়েছে কি না, সেটা আজকে মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।”
বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, “আমরা যেটা দেখছি, সেটা গণতন্ত্রের জন্যও বিপজ্জনক, গণতন্ত্রের চর্চার জন্যও বিপজ্জনক এবং মানুষের যে ধর্মীয় চেতনা, এটার জন্যও বিপজ্জনক। এখানে মানুষ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, আবার এসে টেলিভিশনে নাটকও দেখেন, গানও শুনেন…নজরুল গীতি, রবীন্দ্র সঙ্গীত। কিন্তু আপনি যখন এক পাক্ষিক করে ফেলবেন সমাজ, আরেকটা নতুন ধরনের ফ্যাসিবাদের রূপ নেবে।”
ফ্যাসিবাদের চূড়ান্ত পর্যায় ‘উগ্র সাম্প্রদায়িকতা এবং উগ্র ধর্মীয় রাজনীতি’, এমন দাবি করে তিনি বলেন, এটা এলে আরও সর্বনাশ হবে।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৮তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল হয়।
৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির অধিকাংশ পদে জয় পেয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) তাদের হাতে গেছে বৃহস্পতিবারের ভোটে।
‘ডাকসু-জাকসু ভোটে ইঞ্জিনিয়ারিং’
রিজভী বলেন, “কেউ কেউ মনে করছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ধরণের ফলাফল হয়েছে। গণতন্ত্রে সাধারণ ছাত্রসমাজের ইচ্ছার প্রতিফলন, তার বিরুদ্ধাচারণ করি না। কিন্তু এই ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য যদি কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং হয়, এটা কিন্তু ধরা পড়বে। যেটা আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছে।”
তার মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন উৎসবের মতো, যে উৎসবে সাবেক ছাত্র সংসদের ভিপি-জিএসরা কথা বলেন।
ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, তিনি কোড অব কন্ডাক্ট তৈরি করছেন যে, বাইরের কেউ আসতে পারবে না। ভাই বিশ্ববিদ্যালয় কী বিচ্ছিন্ন কোনো দেশ নাকি? ভ্যাটিকেন সিটি তো নয়, দেশের মধ্যে দেশ তো না। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর একটা উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সরকারের কিছু মানুষের সাথে যোগসূত্র হয়ে তিনি হাত-পা বেধে একটা একচেটিয়া নির্বাচন করার প্রচেষ্টা করেছেন। যাতে একচেটিয়া একটা ফলাফল তৈরি করা যায়।”
‘ওদের আসল রূপ’
ছাত্রশিবিরের সমালোচনা করে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, “ওদের ভান্ডামি দেখেন। যারা ছাত্রলীগের নেতা সেজে ক্যাম্পাসে অবস্থান করেছেন, হেলমেট পড়ে গণতন্ত্রের কর্মী, ছাত্রদলসহ অন্যান্য দলের কর্মীদের আঘাত করেছেন, আবার শেখ হাসিনার পতনের পর আসল রূপ নিয়ে যারা ছাত্র শিবির হয়ে গেলেন। এই যে ঘটনা, এটা আজকে জনগণের কাছে উন্মোচিত হয়ে গেছে।”
জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “অত্যন্ত গোপনে তারা প্রচার চালায় যে বিএনপি চাঁদাবাজি-টাদাবাজির সাথে যুক্ত। বিএনপি বৃহত্তর দল, কেউ না কেউ দুষ্ট চক্র থাকতে পারে। এই চক্র নানাধরনের কাজ করতে পারে। দল যদি এটা নীরবে সহ্য করে যায়, তাহলে সেটা দলের দোষ। আর দল যদি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় তাহলে দল সঠিক পথে আছে।
“একটা পরিবারের একজন সন্তান বিপদগামী হতে পারে, কিন্তু তাকে সোজা করার জন্য শাস্তি দেওয়ার জন্য, ওই পরিবার ব্যবস্থা নিলে সেই পরিবার সঠিক কাজটি করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমাদের কিছু গণমাধ্যমে ওদের সাথে মিলে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যায় সব সময়।”
‘আওয়ামী লীগারদের ঠাঁই হচ্ছে জামায়াতে’
গত বছরের ৫ অগাস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির নেতারা কেউ কেউ ধরা পড়েন। বেশির ভাগই বিদেশে অথবা আত্মগোপনে চলে গেছেন। আওয়ামী লীগ ও তার সংগঠনগুলোর কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জামায়াতে যোগ দিচ্ছেন বলে দাবি করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী।
তিনি বলেন, “এখন আমরা খবর পাই, বিভিন্ন এলাকায় ওই সমস্ত নিপীড়নকারী, নির্যাতনকারী আওয়ামী লীগারদের জামায়াতের সদস্য করা হচ্ছে। এর প্রমাণ আছে, ডকুমেন্ট আছে…সামাজিক মাধ্যমে সব প্রকাশ হচ্ছে।”
প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, “আপনাদের মধ্যে ফ্যাসিবাদের দোসররা যাদের বিভিন্ন জায়গায় ছবি আছে, অতীত কর্মকাণ্ড আছে তারা যেন আপনাদের এই সংগঠনে ঢুকতে না পারে, এটা আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে।”
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিইএব) এর আহ্বায়ক মো. হানিফ ও সদস্য সচিব কাজী শাখাওয়াত হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা সাইফুল আলম নীরব।