ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জুলাই সনদের অধিকাংশ প্রস্তাবে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর এতে স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে বিএনপি। তবে দলটি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনকে পরস্পরের সঙ্গে শর্তযুক্ত না করে ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর জোর দিয়েছে। অন্যথায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে দলটি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। তবে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতের পথে যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন; ‘জাতির নবজন্মের মহোৎসব’: প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অনিশ্চয়তা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে: বিএনপি
সনদ বাস্তবায়নের জন্য প্রভিশনাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার বা গণভোট: জামায়াত
গণপরিষদ নির্বাচনে নতুন সংবিধান সংস্কার বাস্তবায়নের টেকসই উপায়: এনসিপি
মৌলিক সংস্কার ছাড়া ‘যেনতেন’ নির্বাচন করে পুরোনো ধারায় চলার চেষ্টা চলছে: ইসলামী আন্দোলন
সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত না করে নির্বাচন আয়োজনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির মতো দলগুলোও সনদের টেকসই বাস্তবায়নের জন্য গণভোট বা গণপরিষদ নির্বাচনের মতো প্রস্তাব দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর এ ভিন্ন অবস্থানের মধ্যেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
রোববার,(১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন কোনোভাবেই একটি অন্যটির ওপর নির্ভরশীল নয়। তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বিচারের কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়া যায় না। তার মতে, এগুলো চলতে থাকবে, কিন্তু নির্বাচনকে শর্তযুক্ত করা যাবে না।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো অনিশ্চিত পরিবেশ সৃষ্টি হলে তা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।’ বিএনপির এ নেতা জানান, ৮৪৫টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে প্রায় সবটিতেই চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়েছে। মাত্র ৫১টি প্রস্তাবে তারা দ্বিমত করেছেন এবং ১১৫টিতে ভিন্নমতসহ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। সাংবিধানিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নের জন্য সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে বলে তিনি মত দেন। তিনি বলেন, সনদের খসড়ায় কিছু ‘ক্লারিক্যাল মিসটেক’ বা বিভ্রান্তি রয়েছে যা সংশোধন করা হবে।
আইনি ভিত্তি নিয়ে নানা
প্রস্তাব ও উদ্বেগ
রাজনৈতিক দলগুলো সনদের আইনি ভিত্তি দেয়ার বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ সনদ বাস্তবায়নের জন্য প্রভিশনাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার (পিসিও) অথবা গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছেন।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন মনে করেন, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়নই সংস্কার বাস্তবায়নের সবচেয়ে টেকসই উপায়। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সাধারণ সংবিধান সংশোধনী হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে বাতিল হয়ে যেতে পারে।
ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত না করে এবং মৌলিক সংস্কার সম্পন্ন না করে ‘যেনতেন উপায়ে’ নির্বাচন আয়োজন করে দেশকে পুরনো ধারায় ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তাদের দাবি মানা না হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আবারও মাঠে নামবে।
এ নির্বাচন হবে উৎসবের
নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
কমিশনের কাজকে অভূতপূর্ব অর্জন বলে অভিহিত করেন প্রধান উপদেষ্টা। কমিশনের সদস্য ও রাজনৈতিক নেতাদের পরিশ্রমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সম্পের্কে ইউনূস বলেন, ‘শুরুতে যখন কমিশনের ধারণা এলো, আমি নিশ্চিত ছিলাম না এটা টিকবে কিনা। কিন্তু আজ দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পরে আপনাদের আলোচনা ও সিদ্ধান্তে আমি অভিভূত হয়েছি।’ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এত বড় কাজ আর কোনো দিন পাওয়া যাবে না। তাই ধৈর্য ধরে আমাদের এগোতে হবে। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত আমাদের কাজ হলো কোনো দ্বন্দ্ব ছাড়াই মহোৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি করা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা হাইওয়ে বানিয়ে ফেলেছি, এখন শুধু সাইনবোর্ড বসানো বাকি। পথ ঠিক আছে, গন্তব্য পরিষ্কার। এই নির্বাচন হবে উৎসবের নির্বাচন, দেশের শান্তি ও নতুন যাত্রার সূচনা।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের সংস্কারের মূল লক্ষ্য হলো সব পথঘাট বন্ধ করা যাতে কোনো স্বৈরাচার আর ফিরে আসতে না পারে। এজন্য সবাইকে একমত হতে হবে।’
# বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক
জুলাই সনদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিক আগের দিন রোববার,(১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও বৈঠক করেছে। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন এবং সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। সনদ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পাওয়া সুপারিশগুলো বৈঠকে আলোচনা করা হয় এবং বিশেষজ্ঞরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বর্ধিত মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। এরমধ্যেই দলগুলোকে সনদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এ অবস্থায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্ট করে জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেটি হবে ‘জাতির নবজন্মের মহোৎসব।’ তিনি জোর দিয়ে আরও বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে। সেটি হবে মহোৎসবের নির্বাচন, যদি আমরা ঐক্যমতের মাধ্যমে ফয়সালা করতে পারি।’ তিনি সতর্ক করে দেন, বিভাজন বা দ্বিমতের কোনো স্থান নেই।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জুলাই সনদের অধিকাংশ প্রস্তাবে ঐকমত্যে পৌঁছানোর পর এতে স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে বিএনপি। তবে দলটি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনকে পরস্পরের সঙ্গে শর্তযুক্ত না করে ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর জোর দিয়েছে। অন্যথায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে দলটি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। তবে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতের পথে যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, গোটা বিশ্বের জন্যই এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন; ‘জাতির নবজন্মের মহোৎসব’: প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অনিশ্চয়তা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে: বিএনপি
সনদ বাস্তবায়নের জন্য প্রভিশনাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার বা গণভোট: জামায়াত
গণপরিষদ নির্বাচনে নতুন সংবিধান সংস্কার বাস্তবায়নের টেকসই উপায়: এনসিপি
মৌলিক সংস্কার ছাড়া ‘যেনতেন’ নির্বাচন করে পুরোনো ধারায় চলার চেষ্টা চলছে: ইসলামী আন্দোলন
সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত না করে নির্বাচন আয়োজনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির মতো দলগুলোও সনদের টেকসই বাস্তবায়নের জন্য গণভোট বা গণপরিষদ নির্বাচনের মতো প্রস্তাব দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর এ ভিন্ন অবস্থানের মধ্যেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
রোববার,(১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন কোনোভাবেই একটি অন্যটির ওপর নির্ভরশীল নয়। তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বিচারের কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়া যায় না। তার মতে, এগুলো চলতে থাকবে, কিন্তু নির্বাচনকে শর্তযুক্ত করা যাবে না।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো অনিশ্চিত পরিবেশ সৃষ্টি হলে তা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।’ বিএনপির এ নেতা জানান, ৮৪৫টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে প্রায় সবটিতেই চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়েছে। মাত্র ৫১টি প্রস্তাবে তারা দ্বিমত করেছেন এবং ১১৫টিতে ভিন্নমতসহ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। সাংবিধানিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নের জন্য সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে বলে তিনি মত দেন। তিনি বলেন, সনদের খসড়ায় কিছু ‘ক্লারিক্যাল মিসটেক’ বা বিভ্রান্তি রয়েছে যা সংশোধন করা হবে।
আইনি ভিত্তি নিয়ে নানা
প্রস্তাব ও উদ্বেগ
রাজনৈতিক দলগুলো সনদের আইনি ভিত্তি দেয়ার বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ সনদ বাস্তবায়নের জন্য প্রভিশনাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার (পিসিও) অথবা গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছেন।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন মনে করেন, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়নই সংস্কার বাস্তবায়নের সবচেয়ে টেকসই উপায়। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সাধারণ সংবিধান সংশোধনী হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে বাতিল হয়ে যেতে পারে।
ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত না করে এবং মৌলিক সংস্কার সম্পন্ন না করে ‘যেনতেন উপায়ে’ নির্বাচন আয়োজন করে দেশকে পুরনো ধারায় ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তাদের দাবি মানা না হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আবারও মাঠে নামবে।
এ নির্বাচন হবে উৎসবের
নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
কমিশনের কাজকে অভূতপূর্ব অর্জন বলে অভিহিত করেন প্রধান উপদেষ্টা। কমিশনের সদস্য ও রাজনৈতিক নেতাদের পরিশ্রমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সম্পের্কে ইউনূস বলেন, ‘শুরুতে যখন কমিশনের ধারণা এলো, আমি নিশ্চিত ছিলাম না এটা টিকবে কিনা। কিন্তু আজ দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পরে আপনাদের আলোচনা ও সিদ্ধান্তে আমি অভিভূত হয়েছি।’ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এত বড় কাজ আর কোনো দিন পাওয়া যাবে না। তাই ধৈর্য ধরে আমাদের এগোতে হবে। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত আমাদের কাজ হলো কোনো দ্বন্দ্ব ছাড়াই মহোৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি করা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা হাইওয়ে বানিয়ে ফেলেছি, এখন শুধু সাইনবোর্ড বসানো বাকি। পথ ঠিক আছে, গন্তব্য পরিষ্কার। এই নির্বাচন হবে উৎসবের নির্বাচন, দেশের শান্তি ও নতুন যাত্রার সূচনা।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের সংস্কারের মূল লক্ষ্য হলো সব পথঘাট বন্ধ করা যাতে কোনো স্বৈরাচার আর ফিরে আসতে না পারে। এজন্য সবাইকে একমত হতে হবে।’
# বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক
জুলাই সনদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিক আগের দিন রোববার,(১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও বৈঠক করেছে। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন এবং সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। সনদ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পাওয়া সুপারিশগুলো বৈঠকে আলোচনা করা হয় এবং বিশেষজ্ঞরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বর্ধিত মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। এরমধ্যেই দলগুলোকে সনদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এ অবস্থায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্ট করে জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেটি হবে ‘জাতির নবজন্মের মহোৎসব।’ তিনি জোর দিয়ে আরও বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে। সেটি হবে মহোৎসবের নির্বাচন, যদি আমরা ঐক্যমতের মাধ্যমে ফয়সালা করতে পারি।’ তিনি সতর্ক করে দেন, বিভাজন বা দ্বিমতের কোনো স্থান নেই।’