ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
অভিন্ন দাবিতে যুগপৎ তিন দিনের আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দিলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও খেলাফত মজলিস। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন ৫ দফা এবং খেলাফত মজলিস ৬ দফা দাবি জানিয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। তবে তিন দলই অভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
দাবি আদায়ের জন্য গণ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই: জামায়াতের তাহের
ইসলামী দলগুলোর এক বাক্সে যাওয়া কাছাকাছি: চরমোনাইয়ের পীর
দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতির পক্ষে: খেলাফতের মহাসচিব
আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায়, ১৯ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় শহরে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সারাদেশে জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে তিন দল। সোমবার,(১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পৃথক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট দলের নেতারা।
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের ৫ দফা দাবি হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন; সংসদের উভয়কক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে; নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সব ‘জুলুম, গণহত্যা ও দুর্নীতির’ বিচার দৃশ্যমান করতে হবে; এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের এসব দাবির বাইরে খেলাফত মজলিসের দাবিতে যোগ করা হয়েছে- অবৈধ অস্ত্র, পেশিশক্তি, কালো টাকার প্রভাবমুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া এবং দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের কার্যকর উদ্যোগ নেয়া।
পিআর পদ্ধতি চালুসহ কয়েকটি দাবিতে জামায়াতসহ আটটি দল গত শনিবার বৈঠক করে বলে খবর হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে- বৈঠকে এনসিপি, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ ও নেজামে ইসলাম পার্টির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। তবে এনসিপি গতকাল রোববার খবরটিকে ‘বিভ্রান্তিকর’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, তারা কোনো দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যাচ্ছে না।
তবে এনসিপি এ আন্দোলনের সঙ্গে রয়েছে বলে দাবি চরমোনাইর পীর ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আন্দোলন থেকে সরেনি। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির ব্যাপারে তারা কিন্তু একমত হয়েছে।’
কী বলছে জামায়াত
সোমবার ঢাকার মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘নানা শ্রেণীপেশার মানুষ এই পিআর পদ্ধতির দাবি ও চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একমত হয়েছেন। আমরা লক্ষ্য করছি, জনগণের দাবিসমূহ কার্যকর করার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। এমতাবস্থায় জনগণের দাবি আদায়ের জন্য গণ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দুয়েকটি রাজনৈতিক দল ভিন্নমত পোষণ করায় ‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত’ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
ইসলামী আন্দোলনের ‘এক বাক্স’
সোমবার দুপুরে পুরানা পল্টনে সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাই, সরকার পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের ঘোষণা না দিলে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আমরা আন্দোলনে নামব।’
তিনি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে ইসলামী দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে ‘একটি বাক্সে যাওয়ার’ কাছাকাছি রয়েছে।
রেজাউল করীম বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’
যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি একই প্ল্যাটফর্মে হবে কিনা, তা সময় হলে জানা যাবে উল্লেখ করে চরমোনাই পীর বলেন, এই আন্দোলনের মাধ্যমে তারা সরকারকে চাপে রাখতে চান। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে যারা অংশীজন ছিল, তাদের নিয়ে এই আন্দোলন চলবে।
সংবাদ সম্মেলনে ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয়কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম ও গণহত্যা এবং দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করতে হবে এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
# খেলাফতের ‘৯০ শতাংশ’
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ‘সরকার জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানের সুস্পষ্ট উদ্যোগ না নিলে পরবর্তীতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
খেলাফতের মহাসচিবের দাবি, দেশের ‘৯০ শতাংশ’ মানুষ পিআর পদ্ধতির পক্ষে। এই দাবিতে অন্য কোনো দল যুক্ত হবে কিনা, সে বিষয়ে খোলাসা করে কিছু বলেননি আহমদ আবদুল কাদের।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অভিন্ন দাবিতে যুগপৎ তিন দিনের আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দিলো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও খেলাফত মজলিস। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন ৫ দফা এবং খেলাফত মজলিস ৬ দফা দাবি জানিয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। তবে তিন দলই অভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
দাবি আদায়ের জন্য গণ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই: জামায়াতের তাহের
ইসলামী দলগুলোর এক বাক্সে যাওয়া কাছাকাছি: চরমোনাইয়ের পীর
দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতির পক্ষে: খেলাফতের মহাসচিব
আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায়, ১৯ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় শহরে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সারাদেশে জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে তিন দল। সোমবার,(১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পৃথক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট দলের নেতারা।
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের ৫ দফা দাবি হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন; সংসদের উভয়কক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে; নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সব ‘জুলুম, গণহত্যা ও দুর্নীতির’ বিচার দৃশ্যমান করতে হবে; এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের এসব দাবির বাইরে খেলাফত মজলিসের দাবিতে যোগ করা হয়েছে- অবৈধ অস্ত্র, পেশিশক্তি, কালো টাকার প্রভাবমুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া এবং দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে বাতিল করে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের কার্যকর উদ্যোগ নেয়া।
পিআর পদ্ধতি চালুসহ কয়েকটি দাবিতে জামায়াতসহ আটটি দল গত শনিবার বৈঠক করে বলে খবর হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে- বৈঠকে এনসিপি, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ ও নেজামে ইসলাম পার্টির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। তবে এনসিপি গতকাল রোববার খবরটিকে ‘বিভ্রান্তিকর’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, তারা কোনো দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যাচ্ছে না।
তবে এনসিপি এ আন্দোলনের সঙ্গে রয়েছে বলে দাবি চরমোনাইর পীর ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আন্দোলন থেকে সরেনি। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির ব্যাপারে তারা কিন্তু একমত হয়েছে।’
কী বলছে জামায়াত
সোমবার ঢাকার মগবাজারে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘নানা শ্রেণীপেশার মানুষ এই পিআর পদ্ধতির দাবি ও চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একমত হয়েছেন। আমরা লক্ষ্য করছি, জনগণের দাবিসমূহ কার্যকর করার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। এমতাবস্থায় জনগণের দাবি আদায়ের জন্য গণ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দুয়েকটি রাজনৈতিক দল ভিন্নমত পোষণ করায় ‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত’ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।
ইসলামী আন্দোলনের ‘এক বাক্স’
সোমবার দুপুরে পুরানা পল্টনে সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাই, সরকার পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের ঘোষণা না দিলে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে আমরা আন্দোলনে নামব।’
তিনি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে ইসলামী দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে ‘একটি বাক্সে যাওয়ার’ কাছাকাছি রয়েছে।
রেজাউল করীম বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’
যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি একই প্ল্যাটফর্মে হবে কিনা, তা সময় হলে জানা যাবে উল্লেখ করে চরমোনাই পীর বলেন, এই আন্দোলনের মাধ্যমে তারা সরকারকে চাপে রাখতে চান। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে যারা অংশীজন ছিল, তাদের নিয়ে এই আন্দোলন চলবে।
সংবাদ সম্মেলনে ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয়কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম ও গণহত্যা এবং দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করতে হবে এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
# খেলাফতের ‘৯০ শতাংশ’
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ‘সরকার জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানের সুস্পষ্ট উদ্যোগ না নিলে পরবর্তীতে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
খেলাফতের মহাসচিবের দাবি, দেশের ‘৯০ শতাংশ’ মানুষ পিআর পদ্ধতির পক্ষে। এই দাবিতে অন্য কোনো দল যুক্ত হবে কিনা, সে বিষয়ে খোলাসা করে কিছু বলেননি আহমদ আবদুল কাদের।