পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনের খবর প্রকাশ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
তার ভাষ্য, কারো নেতৃত্বে নয়; যে যার জায়গা থেকে যুগপৎ আন্দোলন করছে। সংবাদমাধ্যম যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরেনি দাবি করে তিনি বলেন, “লিখবেন, বলবেন, দাঁড়ি-কমা যেন ঠিক থাকে।”
জুলাই সনদের ভিত্তিতে প্রতিনিধিত্বমূলক বা পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
একই দাবিতে কাছাকাছি সময়ে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী এবং প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছে আরও দুটি ইসলামী দল। এ সময় বায়তুল মোকাররম থেকে প্রেস ক্লাব সড়কে মিছিল-সমাবেশের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হয়; সপ্তাহের শেষ দিনে ওই এলাকায় তুমুল যানজট দেখা দেয়।
ইসলামী আন্দোলনের মিছিল-পূর্ব বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ফয়জুল করীম। তিনি চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের ভাই।
সমাবেশ থেকে বিএনপিকে চাঁদাবাজ, দখলবাজ, খুনি ও দুর্নীতিবাজ হিসেবে উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলেন, তাদের হাতে দেশকে তুলে দেওয়া হবে না।
ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আবরার সমাবেশে বলেন, “আগে যারা দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, যারা হাওয়া ভবন তৈরি করেছে, তাদের ক্ষমতায় বসানোর জন্য ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান হয়নি। চাঁদাবাজ, খুনি, দুর্নীতিবাজ, ধর্ষকদের আর রাষ্ট্রক্ষমতায় বসতে দেওয়া হবে না।”
সমাবেশ শুরুর আধা ঘণ্টা পর সেখানে আসেন ফয়জুল করীম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, ভারত চায় না জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন রাখেন, “আপনারা কি ভারতের আশা এবং আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাচ্ছেন?”
ফয়জুল করীম বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার শুধু নির্বাচনের জন্য গঠন করা হয়নি। তারা বসেছে সংস্কার, বিচার ও তার পরে নির্বাচনের জন্য। আপনি সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার না করে কীভাবে নির্বাচন দেন? আর নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে তা আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি—নির্বাচন হবে পিআর পদ্ধতিতে।”
দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে দাবি করে তিনি বলেন, “পিআর পদ্ধতির দুই-একটা সাইড এফেক্ট নাই তা আমি বলব না, কিন্তু এর অধিকাংশই ভালো। যদি পিআর পদ্ধতির খারাপ থাকে ১ শতাংশ, তো ভালো ৯৯ শতাংশ।”
বিএনপি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিরোধিতা করে আসছে উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, “বিএনপির একজন উঁচু পর্যায়ের নেতা বক্তব্য দিয়েছেন যে দেশের ৯০% ভোট তাদের। যদি তাই হয়, তাহলে পিআর পদ্ধতিতে তারা আসন পাবেন ২৭০টির উপরে। তাহলে তাদের এই পদ্ধতিতে সমস্যা কোথায়? বিএনপি জাতীয় সরকার গঠনের কথাও বলেছে। সেটা কীভাবে হবে, আমাকে বলেন?”
সংবাদমাধ্যমের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, “আজকে অনেকেই বলছেন অমুকের নেতৃত্বে পিআর পদ্ধতির দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন হচ্ছে। আমি সেই সমস্ত সাংবাদিক বন্ধুদের বলব—বিষয়টা শেখেন, যুগপৎ আন্দোলন প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে করে, কারো নেতৃত্বে করে না। ইসলামী আন্দোলন- বাংলাদেশে প্রথম পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলছে। কাজেই আমি সাংবাদিক বন্ধুদের বলব—লিখবেন, বলবেন, দাঁড়ি-কমা যেন ঠিক থাকে।”
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন প্রশ্নে গণভোট দাবি করে তিনি বলেন, “যদি ঐকমত্য কমিশনের বিষয়টি বুঝতে না পারেন, তাহলে সহজ কথা গণভোট দেন। যদি জনগণ পিআর পদ্ধতির পক্ষে না থাকে, তাহলে আমরা দাবি করব না।”
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির সমাবেশ হলেও নিজের বক্তব্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীতের শিক্ষক নিয়োগের বিরোধিতা করেন ফয়জুল করীম। বিদ্যালয়গুলোতে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। আর সংগীত-নাচের শিক্ষক নিয়োগ দিলে আপনাদের মসনদ থাকবে না। ফাইজলামি পেয়েছেন আপনি! মনে যা চায়, তাই করবেন আপনি! এখানে ইসলামী সংস্কৃতির বাইরে কোনো কাজ করা যাবে না।”
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনের খবর প্রকাশ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
তার ভাষ্য, কারো নেতৃত্বে নয়; যে যার জায়গা থেকে যুগপৎ আন্দোলন করছে। সংবাদমাধ্যম যুগপৎ আন্দোলন নিয়ে সঠিক তথ্য তুলে ধরেনি দাবি করে তিনি বলেন, “লিখবেন, বলবেন, দাঁড়ি-কমা যেন ঠিক থাকে।”
জুলাই সনদের ভিত্তিতে প্রতিনিধিত্বমূলক বা পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
একই দাবিতে কাছাকাছি সময়ে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী এবং প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছে আরও দুটি ইসলামী দল। এ সময় বায়তুল মোকাররম থেকে প্রেস ক্লাব সড়কে মিছিল-সমাবেশের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হয়; সপ্তাহের শেষ দিনে ওই এলাকায় তুমুল যানজট দেখা দেয়।
ইসলামী আন্দোলনের মিছিল-পূর্ব বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ফয়জুল করীম। তিনি চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের ভাই।
সমাবেশ থেকে বিএনপিকে চাঁদাবাজ, দখলবাজ, খুনি ও দুর্নীতিবাজ হিসেবে উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলেন, তাদের হাতে দেশকে তুলে দেওয়া হবে না।
ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম আবরার সমাবেশে বলেন, “আগে যারা দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে, যারা হাওয়া ভবন তৈরি করেছে, তাদের ক্ষমতায় বসানোর জন্য ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান হয়নি। চাঁদাবাজ, খুনি, দুর্নীতিবাজ, ধর্ষকদের আর রাষ্ট্রক্ষমতায় বসতে দেওয়া হবে না।”
সমাবেশ শুরুর আধা ঘণ্টা পর সেখানে আসেন ফয়জুল করীম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, ভারত চায় না জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন রাখেন, “আপনারা কি ভারতের আশা এবং আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাচ্ছেন?”
ফয়জুল করীম বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার শুধু নির্বাচনের জন্য গঠন করা হয়নি। তারা বসেছে সংস্কার, বিচার ও তার পরে নির্বাচনের জন্য। আপনি সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার না করে কীভাবে নির্বাচন দেন? আর নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে তা আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছি—নির্বাচন হবে পিআর পদ্ধতিতে।”
দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে দাবি করে তিনি বলেন, “পিআর পদ্ধতির দুই-একটা সাইড এফেক্ট নাই তা আমি বলব না, কিন্তু এর অধিকাংশই ভালো। যদি পিআর পদ্ধতির খারাপ থাকে ১ শতাংশ, তো ভালো ৯৯ শতাংশ।”
বিএনপি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিরোধিতা করে আসছে উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, “বিএনপির একজন উঁচু পর্যায়ের নেতা বক্তব্য দিয়েছেন যে দেশের ৯০% ভোট তাদের। যদি তাই হয়, তাহলে পিআর পদ্ধতিতে তারা আসন পাবেন ২৭০টির উপরে। তাহলে তাদের এই পদ্ধতিতে সমস্যা কোথায়? বিএনপি জাতীয় সরকার গঠনের কথাও বলেছে। সেটা কীভাবে হবে, আমাকে বলেন?”
সংবাদমাধ্যমের প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, “আজকে অনেকেই বলছেন অমুকের নেতৃত্বে পিআর পদ্ধতির দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন হচ্ছে। আমি সেই সমস্ত সাংবাদিক বন্ধুদের বলব—বিষয়টা শেখেন, যুগপৎ আন্দোলন প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে করে, কারো নেতৃত্বে করে না। ইসলামী আন্দোলন- বাংলাদেশে প্রথম পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি তুলছে। কাজেই আমি সাংবাদিক বন্ধুদের বলব—লিখবেন, বলবেন, দাঁড়ি-কমা যেন ঠিক থাকে।”
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন প্রশ্নে গণভোট দাবি করে তিনি বলেন, “যদি ঐকমত্য কমিশনের বিষয়টি বুঝতে না পারেন, তাহলে সহজ কথা গণভোট দেন। যদি জনগণ পিআর পদ্ধতির পক্ষে না থাকে, তাহলে আমরা দাবি করব না।”
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির সমাবেশ হলেও নিজের বক্তব্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীতের শিক্ষক নিয়োগের বিরোধিতা করেন ফয়জুল করীম। বিদ্যালয়গুলোতে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। আর সংগীত-নাচের শিক্ষক নিয়োগ দিলে আপনাদের মসনদ থাকবে না। ফাইজলামি পেয়েছেন আপনি! মনে যা চায়, তাই করবেন আপনি! এখানে ইসলামী সংস্কৃতির বাইরে কোনো কাজ করা যাবে না।”
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা বক্তব্য রাখেন।