ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) চার দিনব্যাপী ত্রয়োদশ কংগ্রেস শুরু হচ্ছে শুক্রবার,(১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫)। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কংগ্রেস শেষ হবে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর। এ কংগ্রেসে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় করণীয় নির্ধারণ এবং চূড়ান্ত লক্ষ্য সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে সিপিবি।
গত বুধবার পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কংগ্রেসের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
এয়োদশ কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মিহির ঘোষ বলেন, কংগ্রেসের উদ্বোধনী দিনে পার্টির ‘ভেটারান কমরেডদের’ সম্মাননা জানানো হবে। যাদের বয়স ৭০ বছর বা তদূর্ধ এবং যারা এক টানা ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে পার্টির হিসেবে যুক্ত আছেন, তাদেরকে ‘ভেটারান কমরেড’ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে যারা সুস্থ ও চলাফেরা করতে সক্ষম, তারা উপস্থিত থাকবেন। প্রায় দুই শতাধিক প্রবীণ সদস্য কংগ্রেসে যোগ দেবেন।
কংগ্রেসের আগে দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও শাখা সম্মেলন হয়েছে। পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কংগ্রেসের জন্য ৫২৫ জন প্রতিনিধি ও ২৬ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচন করা হয়েছে।
সিপিবির সভাপতি শাহ আলম বলেন, ‘দেশে এখন আইনের শাসন, মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন যেন হয় তার জন্য সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।’
সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সরকার তার রুটিন-দায়িত্বের বাইরে এমন সব কাজ হাতে নিচ্ছে ‘যা সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের পরিপন্থী’। সরকার ‘বন্দর লিজ’ দেয়ার চেষ্টা করছে।
জুলাই আন্দোলনের পর অনুষ্ঠিতব্য এই কংগ্রেস ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বর্ণনা করে মিহির ঘোষ বলেন, ‘এমন এক সময় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। সারাদেশে নিরাপত্তাহীনতা, মবসন্ত্রাস ও শ্রমজীবী মানুষের দুর্দশা দিন দিন বাড়ছে।’
জুলাই-আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার, নিহত পরিবার পুনর্বাসন এবং আহতদের চিকিৎসা, এই সবকিছু এখনও অনিশ্চয়তায় বলে মন্তব্য করেন মিহির ঘোষ।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) চার দিনব্যাপী ত্রয়োদশ কংগ্রেস শুরু হচ্ছে শুক্রবার,(১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫)। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কংগ্রেস শেষ হবে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর। এ কংগ্রেসে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় করণীয় নির্ধারণ এবং চূড়ান্ত লক্ষ্য সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে সিপিবি।
গত বুধবার পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কংগ্রেসের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
এয়োদশ কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মিহির ঘোষ বলেন, কংগ্রেসের উদ্বোধনী দিনে পার্টির ‘ভেটারান কমরেডদের’ সম্মাননা জানানো হবে। যাদের বয়স ৭০ বছর বা তদূর্ধ এবং যারা এক টানা ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে পার্টির হিসেবে যুক্ত আছেন, তাদেরকে ‘ভেটারান কমরেড’ হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে যারা সুস্থ ও চলাফেরা করতে সক্ষম, তারা উপস্থিত থাকবেন। প্রায় দুই শতাধিক প্রবীণ সদস্য কংগ্রেসে যোগ দেবেন।
কংগ্রেসের আগে দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও শাখা সম্মেলন হয়েছে। পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কংগ্রেসের জন্য ৫২৫ জন প্রতিনিধি ও ২৬ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচন করা হয়েছে।
সিপিবির সভাপতি শাহ আলম বলেন, ‘দেশে এখন আইনের শাসন, মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন যেন হয় তার জন্য সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।’
সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সরকার তার রুটিন-দায়িত্বের বাইরে এমন সব কাজ হাতে নিচ্ছে ‘যা সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বের পরিপন্থী’। সরকার ‘বন্দর লিজ’ দেয়ার চেষ্টা করছে।
জুলাই আন্দোলনের পর অনুষ্ঠিতব্য এই কংগ্রেস ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বর্ণনা করে মিহির ঘোষ বলেন, ‘এমন এক সময় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। সারাদেশে নিরাপত্তাহীনতা, মবসন্ত্রাস ও শ্রমজীবী মানুষের দুর্দশা দিন দিন বাড়ছে।’
জুলাই-আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার, নিহত পরিবার পুনর্বাসন এবং আহতদের চিকিৎসা, এই সবকিছু এখনও অনিশ্চয়তায় বলে মন্তব্য করেন মিহির ঘোষ।