শুক্রবার রাজধানীতে শুরু হয়েছে সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেস। মঞ্চে উপবিষ্ট সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতারা -সংবাদ
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ত্রয়োদশ কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নেতারা বলেছেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া আজ বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে না। তাই যারা সামনের নির্বাচন নিয়ে নানা কৌশলে বিতর্ক তুলছে ও জাতীয় সংগীত পাল্টে দিতে হবে, ’৭২-এর সংবিধান বাতিল করতে হবে, চার মূলনীতি বাতিল করতে হবে বলে দাবি করছে- তারাই এখন গণতন্ত্রের শত্রু।
শুক্রবার,(১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘সমাজ বদলের লক্ষ্যে শোষণ-বৈষম্যহীন বাম গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করো’- এ স্লোগান নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) চার দিনব্যাপী ত্রয়োদশ কংগ্রেসের উদ্বোধন করা হয়। সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান আবু সাইদ। এ সময় সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা উপভোগ করছে।’ তিনি বলেন, “নির্বাচন যদি না হয়, তাহলে এই খেলা (নির্বাচন না দেয়া) চলতে থাকবে। আর নির্বাচন হলে একটা সেন্টারে ক্ষমতা আসবে। তাই আমাদের বর্তমানের স্লোগান হলো- ‘অতি সত্ত্বর দরকার, নির্বাচিত সরকার।’ নির্বাচিত সরকার ছাড়া আজ বাংলাদেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে না, নির্বাচিত সরকার ছাড়া আজ দেশে-বিদেশি বিনিয়োগ হবে না।”
গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্রের শত্রু ছিল উল্লেখ করে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, বর্তমানে গণতন্ত্রের শত্রু হলো সাম্প্রদায়িক শক্তি ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। প্রতিক্রিয়াশীল, মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক শক্তি নানা অসিলায় এ নির্বাচনের বিরোধিতা করছে উল্লেখ করে তিনি সতর্ক করেন যে নির্বাচন না হলে দেশের রাজনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে এবং মৌলবাদী শক্তির আরও বেশি উত্থান হবে।
মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রক্ষমতার শ্রেণী চরিত্রের কোনো পরিবর্তন হয় নাই। দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা হয় নাই, বিপ্লব হয় নাই। একটি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে।’
দেশের বামপন্থী, কমিউনিস্ট, প্রগতিশীলদের দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির উত্থান ঘটছে উল্লেখ করে মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘বামদের সুবিধাবাদ, বিভেদ ও হটকারিতা আর রাজনীতির দেউলিয়াত্বের কারণেই আজ রেডিক্যাল ইসলামের উত্থান হয়েছে বাংলাদেশে।’ সেজন্য কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষকে নিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ বিকল্প গণতান্ত্রিক ঐক্যবদ্ধ শক্তি গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
জুলাই সনদকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না, এ দাবির সমালোচনা করেন সিপিবির সভাপতি। একে চক্রান্ত আখ্যায়িত করে এর বিরুদ্ধে রণকৌশল সাজাতে হবে বলে নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন তিনি। মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘আমাদের প্রচুর সম্ভাবনা একবার হারিয়েছি, আরেক সম্ভাবনা আমার দোরগোড়ায় নাড়া দিচ্ছে। ওই সম্ভাবনা আমাদেরকে ধরতে হবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতজানু নীতির কারণে গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে নস্যাৎ করতে পরাজিত ফ্যাসিস্টবাহিনী ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী বিদেশি শক্তিসহ দেশের ভেতরের নানা শক্তি অপতৎপরতা চালাচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষাবিরোধী নানা তৎপরতা চলছে। মহান মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করা, সাম্প্রদায়িক নানা অপশক্তির হামলা ও আস্ফালন, দখলদারিত্ব, নৈরাজ্য, মামলা বাণিজ্য, মব সন্ত্রাস ও নারীবিদ্বেষ সৃষ্টি করা হচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং বিরাজনীতিকীকরণের শক্তিকে সামনে আনতে নানা অপতৎপরতা চলছে।
এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দেশের গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, বামপন্থী দল, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার সংগঠন ও ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিকল্প শক্তি-সমাবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান রুহিন হোসেন।
সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেসে উপস্থিত ছিলেন- বিভিন্ন দলের নেতারা। এরমধ্যে গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাসদের (মার্কসবাদী) প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সম্পাদক আবদুুল আলী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (ভাসানী) আহ্বায়ক মহিউদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক করিম শিকদার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশারেফা মিশু, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
সিপিবির এবারের কংগ্রেসের সফলতা কামনা করে বিভিন্ন দেশের কমিউনিস্ট ও বাম রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হয়। এরমধ্যে প্যালেস্টাইনের কমিউনিস্ট পার্টি, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই), ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী), জাপানের কমিউনিস্ট পার্টি, অস্ট্রেলিয়ার কমিউনিস্ট পার্টি, কুর্দিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি, দক্ষিণ আফ্রিকার কমিউনিস্ট পার্টি, নেদারল্যান্ডসের নিউ কমিউনিস্ট পার্টি, পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি, শ্রীলঙ্কার কমিউনিস্ট পার্টি, ব্রিটেনের কমিউনিস্ট পার্টি, গ্রিসের কমিউনিস্ট পার্টি, ব্রাজিলের কমিউনিস্ট পার্টি এবং নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি রয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীতে শুরু হয়েছে সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেস। মঞ্চে উপবিষ্ট সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতারা -সংবাদ
শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ত্রয়োদশ কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নেতারা বলেছেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া আজ বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে না। তাই যারা সামনের নির্বাচন নিয়ে নানা কৌশলে বিতর্ক তুলছে ও জাতীয় সংগীত পাল্টে দিতে হবে, ’৭২-এর সংবিধান বাতিল করতে হবে, চার মূলনীতি বাতিল করতে হবে বলে দাবি করছে- তারাই এখন গণতন্ত্রের শত্রু।
শুক্রবার,(১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘সমাজ বদলের লক্ষ্যে শোষণ-বৈষম্যহীন বাম গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করো’- এ স্লোগান নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) চার দিনব্যাপী ত্রয়োদশ কংগ্রেসের উদ্বোধন করা হয়। সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান আবু সাইদ। এ সময় সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা উপভোগ করছে।’ তিনি বলেন, “নির্বাচন যদি না হয়, তাহলে এই খেলা (নির্বাচন না দেয়া) চলতে থাকবে। আর নির্বাচন হলে একটা সেন্টারে ক্ষমতা আসবে। তাই আমাদের বর্তমানের স্লোগান হলো- ‘অতি সত্ত্বর দরকার, নির্বাচিত সরকার।’ নির্বাচিত সরকার ছাড়া আজ বাংলাদেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে না, নির্বাচিত সরকার ছাড়া আজ দেশে-বিদেশি বিনিয়োগ হবে না।”
গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্রের শত্রু ছিল উল্লেখ করে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, বর্তমানে গণতন্ত্রের শত্রু হলো সাম্প্রদায়িক শক্তি ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। প্রতিক্রিয়াশীল, মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক শক্তি নানা অসিলায় এ নির্বাচনের বিরোধিতা করছে উল্লেখ করে তিনি সতর্ক করেন যে নির্বাচন না হলে দেশের রাজনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে এবং মৌলবাদী শক্তির আরও বেশি উত্থান হবে।
মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশের ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রক্ষমতার শ্রেণী চরিত্রের কোনো পরিবর্তন হয় নাই। দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা হয় নাই, বিপ্লব হয় নাই। একটি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে।’
দেশের বামপন্থী, কমিউনিস্ট, প্রগতিশীলদের দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির উত্থান ঘটছে উল্লেখ করে মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘বামদের সুবিধাবাদ, বিভেদ ও হটকারিতা আর রাজনীতির দেউলিয়াত্বের কারণেই আজ রেডিক্যাল ইসলামের উত্থান হয়েছে বাংলাদেশে।’ সেজন্য কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষকে নিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ বিকল্প গণতান্ত্রিক ঐক্যবদ্ধ শক্তি গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
জুলাই সনদকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলা যাবে না, এ দাবির সমালোচনা করেন সিপিবির সভাপতি। একে চক্রান্ত আখ্যায়িত করে এর বিরুদ্ধে রণকৌশল সাজাতে হবে বলে নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন তিনি। মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘আমাদের প্রচুর সম্ভাবনা একবার হারিয়েছি, আরেক সম্ভাবনা আমার দোরগোড়ায় নাড়া দিচ্ছে। ওই সম্ভাবনা আমাদেরকে ধরতে হবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতজানু নীতির কারণে গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে নস্যাৎ করতে পরাজিত ফ্যাসিস্টবাহিনী ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী বিদেশি শক্তিসহ দেশের ভেতরের নানা শক্তি অপতৎপরতা চালাচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষাবিরোধী নানা তৎপরতা চলছে। মহান মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করা, সাম্প্রদায়িক নানা অপশক্তির হামলা ও আস্ফালন, দখলদারিত্ব, নৈরাজ্য, মামলা বাণিজ্য, মব সন্ত্রাস ও নারীবিদ্বেষ সৃষ্টি করা হচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং বিরাজনীতিকীকরণের শক্তিকে সামনে আনতে নানা অপতৎপরতা চলছে।
এসব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দেশের গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, বামপন্থী দল, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার সংগঠন ও ব্যক্তিদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিকল্প শক্তি-সমাবেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান রুহিন হোসেন।
সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেসে উপস্থিত ছিলেন- বিভিন্ন দলের নেতারা। এরমধ্যে গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাসদের (মার্কসবাদী) প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সম্পাদক আবদুুল আলী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (ভাসানী) আহ্বায়ক মহিউদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক করিম শিকদার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশারেফা মিশু, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
সিপিবির এবারের কংগ্রেসের সফলতা কামনা করে বিভিন্ন দেশের কমিউনিস্ট ও বাম রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হয়। এরমধ্যে প্যালেস্টাইনের কমিউনিস্ট পার্টি, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই), ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী), জাপানের কমিউনিস্ট পার্টি, অস্ট্রেলিয়ার কমিউনিস্ট পার্টি, কুর্দিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি, দক্ষিণ আফ্রিকার কমিউনিস্ট পার্টি, নেদারল্যান্ডসের নিউ কমিউনিস্ট পার্টি, পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি, শ্রীলঙ্কার কমিউনিস্ট পার্টি, ব্রিটেনের কমিউনিস্ট পার্টি, গ্রিসের কমিউনিস্ট পার্টি, ব্রাজিলের কমিউনিস্ট পার্টি এবং নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি রয়েছে।