ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, অনেকে বলছেন জামায়াত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায় না। কিন্তু আমরা পরিষ্কার ঘোষণা করছি, আমরা ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন চাই কিন্তু তার আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার, ফ্যাসিস্টদের বিচার এবং লেভেল প্লেয়িং নিশ্চিত করা এবং আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে আমরা অবশ্যই নির্বাচনে যাবো। তিনি শুক্রবার বিকেলে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সহ ৫ দফা দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন ড. ইউনূস দেশে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করে লন্ডনে বসে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রক্ষা করতে পারেন নাই।
এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিএনপির কথায় সুর মিলিয়ে বলেন, পিআর পদ্ধতি সংবিধানে নাই। এটা বলার তার কোনো এখতিয়ার নেই। এই সরকার লেভেল ফিল্ড রাখতে পারে নাই।
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপিকে শুধু লেভেল প্লেয়িং-এর অধিকার দেবেন আমাদেরকেও সেই অধিকার দিতে হবে। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করলে আমাদের সঙ্গেও পরামর্শ করতে হবে, তাকেই বলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ওয়াদা করেছিল মানবতাবিরোধী যারা অপরাধ করেছিল, আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, হেলিকপ্টারে মানুষ খুন করা, রংপুরে জুলাই আন্দোলনের শহীদ আবু সাইদকে হত্যাসহ যতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করা হয়েছে সেই অপরাধীদের নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান বিচার করতে হবে। সেই সঙ্গে ফ্যাসিবাদকে যারা টিকিয়ে রেখেছিল সেই ১৪ দল জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার পরেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করলে আমাদের আপত্তি নেই।
তিনি বলেন, অনেকেই বলছেন আলোচনা চলছে তারপরেও কেন আন্দোলন- এ প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, সরকার জুলাই সনদ গোপনে করবেন, গোপনে বিএনপিকে ড্রাইভ দেবেন, এসব না করে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেন, আমরা সবসময় আলোচনা করতে রাজি আছি।
রংপুর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি এটিএম আযম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবার রহমান বেলাল, জেলা জামায়াতের আমীর গোলাম রব্বানীসহ অন্য নেতারা।
সমাবেশ শেষে, জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল পাবলিক লাইব্রেরী থেকে বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগরীর শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, অনেকে বলছেন জামায়াত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায় না। কিন্তু আমরা পরিষ্কার ঘোষণা করছি, আমরা ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন চাই কিন্তু তার আগে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান করতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার, ফ্যাসিস্টদের বিচার এবং লেভেল প্লেয়িং নিশ্চিত করা এবং আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে আমরা অবশ্যই নির্বাচনে যাবো। তিনি শুক্রবার বিকেলে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে জুলাই সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সহ ৫ দফা দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন ড. ইউনূস দেশে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করে লন্ডনে বসে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রক্ষা করতে পারেন নাই।
এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিএনপির কথায় সুর মিলিয়ে বলেন, পিআর পদ্ধতি সংবিধানে নাই। এটা বলার তার কোনো এখতিয়ার নেই। এই সরকার লেভেল ফিল্ড রাখতে পারে নাই।
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপিকে শুধু লেভেল প্লেয়িং-এর অধিকার দেবেন আমাদেরকেও সেই অধিকার দিতে হবে। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করলে আমাদের সঙ্গেও পরামর্শ করতে হবে, তাকেই বলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ওয়াদা করেছিল মানবতাবিরোধী যারা অপরাধ করেছিল, আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, হেলিকপ্টারে মানুষ খুন করা, রংপুরে জুলাই আন্দোলনের শহীদ আবু সাইদকে হত্যাসহ যতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করা হয়েছে সেই অপরাধীদের নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান বিচার করতে হবে। সেই সঙ্গে ফ্যাসিবাদকে যারা টিকিয়ে রেখেছিল সেই ১৪ দল জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার পরেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করলে আমাদের আপত্তি নেই।
তিনি বলেন, অনেকেই বলছেন আলোচনা চলছে তারপরেও কেন আন্দোলন- এ প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, সরকার জুলাই সনদ গোপনে করবেন, গোপনে বিএনপিকে ড্রাইভ দেবেন, এসব না করে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেন, আমরা সবসময় আলোচনা করতে রাজি আছি।
রংপুর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি এটিএম আযম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবার রহমান বেলাল, জেলা জামায়াতের আমীর গোলাম রব্বানীসহ অন্য নেতারা।
সমাবেশ শেষে, জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল পাবলিক লাইব্রেরী থেকে বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগরীর শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।