ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ডাকা আন্দোলন থেকে ভাঙ্গা থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীকে প্রধান আসামি করা নিয়ে পুলিশ সমালোচনার ব্যাখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার রাতে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শামছুল আজম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগ নেতা নিক্সন চৌধুরীর সম্পর্কে নানা তথ্য জানানো হয়েছে।
‘ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের ধারাবাহিক রাষ্ট্রবিরোধী, উসকানিমূলক বক্তব্য এবং সহিংসতায় রুজু করা মামলায় সংশ্লিষ্টতার প্রসঙ্গে’ শিরোনামে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬ উপলক্ষে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন ফরিদপুর-৪ থেকে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় জনসাধারণ ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ভাঙ্গা উপজেলার ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বরিশাল, ফরিদপুর-ভাঙ্গা মহাসড়কে অবস্থান ও অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই কর্মসূচিকে পুঁজি করে সাবেক সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর দেওয়া সামাজিক মাধ্যমে একাধিক উসকানিমূলক বক্তব্য ও কার্যকলাপে ভাঙ্গা উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হয়েছে।
৯ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিক্সন চৌধুরী এই আন্দোলনকে সহিংস আন্দোলনে রূপ দেওয়ার লক্ষে ভিডিও বার্তায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে অবৈধ বলে দাবি করেন। তিনি রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য প্রদানের পাশাপাশি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ও প্রয়োজনে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
নিক্সন চৌধুরীর ভিডিও বার্তাটি সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করেন এবং এর মাধ্যমে তার অনুসারীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে উস্কে দেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৫ সেপ্টেম্বর সাধারণ জনগণের আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে নিক্সন চৌধুরীর অনুগত কর্মী-সমর্থকরা ভাঙ্গা থানা, ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, ভাঙ্গা নির্বাচন কার্যালয় ও ভাঙ্গা কৃষি অফিসে প্রবেশ করে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে সরকারি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
এসব ঘটনার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পর শুক্রবার আরও একটি ভিডিও বার্তায় নিক্সন চৌধুরী পুনরায় বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে অবৈধ দাবি করার পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে বিষোদগার করেন। তিনি মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে দাবি করে ভিডিওতে সাধারণ জনগণকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন; যা ভবিষ্যতে আরও ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের ইঙ্গিত দেয় বলে পুলিশ সুপারের কার্যালয় মনে করছে।
পুলিশ জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে, কোনো উসকানিমূলক বক্তব্যে বিভ্রান্ত না হয়ে জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইন মেনে পুলিশকে সহযোগিতা করতে। এ ছাড়া মামলা দিয়ে নিরপরাধ কোনো ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেউ যদি উসকানিমূলক বক্তব্য বা গুজব প্রচারে অংশ নেয়, তা দ্রুত নিকটস্থ থানায় জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ডাকা আন্দোলন থেকে ভাঙ্গা থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীকে প্রধান আসামি করা নিয়ে পুলিশ সমালোচনার ব্যাখ্যা দিয়েছে।
শুক্রবার রাতে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শামছুল আজম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগ নেতা নিক্সন চৌধুরীর সম্পর্কে নানা তথ্য জানানো হয়েছে।
‘ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের ধারাবাহিক রাষ্ট্রবিরোধী, উসকানিমূলক বক্তব্য এবং সহিংসতায় রুজু করা মামলায় সংশ্লিষ্টতার প্রসঙ্গে’ শিরোনামে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬ উপলক্ষে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন ফরিদপুর-৪ থেকে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় জনসাধারণ ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ভাঙ্গা উপজেলার ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বরিশাল, ফরিদপুর-ভাঙ্গা মহাসড়কে অবস্থান ও অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই কর্মসূচিকে পুঁজি করে সাবেক সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর দেওয়া সামাজিক মাধ্যমে একাধিক উসকানিমূলক বক্তব্য ও কার্যকলাপে ভাঙ্গা উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হয়েছে।
৯ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিক্সন চৌধুরী এই আন্দোলনকে সহিংস আন্দোলনে রূপ দেওয়ার লক্ষে ভিডিও বার্তায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে অবৈধ বলে দাবি করেন। তিনি রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য প্রদানের পাশাপাশি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ও প্রয়োজনে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
নিক্সন চৌধুরীর ভিডিও বার্তাটি সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করেন এবং এর মাধ্যমে তার অনুসারীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে উস্কে দেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৫ সেপ্টেম্বর সাধারণ জনগণের আন্দোলনে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে নিক্সন চৌধুরীর অনুগত কর্মী-সমর্থকরা ভাঙ্গা থানা, ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, ভাঙ্গা নির্বাচন কার্যালয় ও ভাঙ্গা কৃষি অফিসে প্রবেশ করে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে সরকারি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
এসব ঘটনার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পর শুক্রবার আরও একটি ভিডিও বার্তায় নিক্সন চৌধুরী পুনরায় বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে অবৈধ দাবি করার পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে বিষোদগার করেন। তিনি মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে দাবি করে ভিডিওতে সাধারণ জনগণকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন; যা ভবিষ্যতে আরও ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের ইঙ্গিত দেয় বলে পুলিশ সুপারের কার্যালয় মনে করছে।
পুলিশ জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে, কোনো উসকানিমূলক বক্তব্যে বিভ্রান্ত না হয়ে জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইন মেনে পুলিশকে সহযোগিতা করতে। এ ছাড়া মামলা দিয়ে নিরপরাধ কোনো ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেউ যদি উসকানিমূলক বক্তব্য বা গুজব প্রচারে অংশ নেয়, তা দ্রুত নিকটস্থ থানায় জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।