ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ২০১৪ সালে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দল বৈধতা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। আওয়ামী লীগ সরকারকে বৈধতা দেয়ার যে দোষ জাতীয় পার্টিকে দেয়া হচ্ছে, বিএনপি-জামায়াত সেই দোষের ভাগীদার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ দুপুরে গুলশানের আয়োজিত দলটির সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘সেই ২০১৪ সালের নির্বাচিত সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার, সিটি করপোরেশন থেকে আরম্ভ করে উপজেলা, প্রত্যেকটা নির্বাচন আপনারা করেছেন। আপনারা প্রত্যেকেই করেছেন। তাহলে বৈধতা আমরা দিয়েছি ১৪ সালের নির্বাচিত সরকারকে’
‘যেই দোষ আমাদের ওপর দিচ্ছেন, সেই দোষের বড় ভাগীদার হচ্ছেন আপনারা’ উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচিত সরকারের অধীনে আপনারা নির্বাচন করেছেন, আপনারা বৈধতা দিয়েছেন। ২০১৮ সালে কেন নির্বাচন করলেন তাদের অধীনে? সব পার্টি এবং বিএনপি থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছিল তারা তো পার্লামেন্ট বর্জন করেননি।’
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ আখ্যায়িত করে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবিসহ পাঁচ দাবিতে জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলনসহ সাতটি দল যুগপৎ আন্দোলনে নেমেছে।
এ অবস্থায় ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কর্তৃক জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের দাবি ও চলমান জাতীয় রাজনীতি সম্পর্কে জাতীয় পার্টির অবস্থান জাতির সামনে তুলে ধরতে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির একাংশের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, আমরা আওয়ামী লীগের সহযোগী ছিলাম। আমরা সেখান থেকে সুবিধা পেয়েছি। এইকথাগুলো বলে আমাদেরকে জাতীয় যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চলছে, সেই প্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার একটা চেষ্টা চলছে।’
আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৮ সালে আমরা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সহযোগিতা...। কী সহযোগিতা করেছি? আমরা নির্বাচন করেছি। ২০০৮ সালে প্রত্যেকটা পার্টি নির্বাচন করেছে। জামায়াতে ইসলাম, বিএনপি এবং অন্যান্য দল সবাইকে সেদিন নির্বাচন করেছে, আমরাও নির্বাচন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে নির্বাচন হয়েছিল ২০০৮ সালের নির্বাচিত সরকারের অধীনে, সে সময় সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বদলানো হয়েছে। তখন বিএনপি ও জামায়াত ওই সংসদে ছিল, কই তারা যদি সেদিন সংসদ থেকে পদত্যাগ করে বের হয়ে আসতেন, তাহলে আজকে বলতে পারতেন। সে দিন তো বিএনপি ও জামায়াত সংসদ থেকে বের হয়ে যায়নি। আর দোষ হয় জাতীয় পার্টির।’
জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবির প্রেক্ষিতে জাপার একাংশের চেয়ারম্যান বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী তাদের নেতৃত্বে কয়েকটা দফা দিয়েছে। তার মধ্যে একটি দফা হচ্ছে- জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। আমি আশ্চর্য হয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে অনেকে, অনেক সময় অনেক অভিযোগ এনেছেন। আমরা কিন্তু কোনো দিন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা বা পার্টি হিসেবে নিষিদ্ধ করা, এইটা কখনো বলিনি। কখনো এইটাকে আমরা সাপোর্টও করিনি।’
কোনো দলকে বাদ দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে তা আগের বারের নির্বাচনের মতো একপেশে হবে বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘যেনতেন নির্বাচন হলে হবে না। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে হবে, নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে, নির্বাচন স্বচ্ছ হতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির এ অংশটির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। আরও উপস্থিত ছিলেন, দলটির নেতা মুজিবুল হক চুন্নু, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ২০১৪ সালে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দল বৈধতা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। আওয়ামী লীগ সরকারকে বৈধতা দেয়ার যে দোষ জাতীয় পার্টিকে দেয়া হচ্ছে, বিএনপি-জামায়াত সেই দোষের ভাগীদার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ দুপুরে গুলশানের আয়োজিত দলটির সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘সেই ২০১৪ সালের নির্বাচিত সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার, সিটি করপোরেশন থেকে আরম্ভ করে উপজেলা, প্রত্যেকটা নির্বাচন আপনারা করেছেন। আপনারা প্রত্যেকেই করেছেন। তাহলে বৈধতা আমরা দিয়েছি ১৪ সালের নির্বাচিত সরকারকে’
‘যেই দোষ আমাদের ওপর দিচ্ছেন, সেই দোষের বড় ভাগীদার হচ্ছেন আপনারা’ উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচিত সরকারের অধীনে আপনারা নির্বাচন করেছেন, আপনারা বৈধতা দিয়েছেন। ২০১৮ সালে কেন নির্বাচন করলেন তাদের অধীনে? সব পার্টি এবং বিএনপি থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছিল তারা তো পার্লামেন্ট বর্জন করেননি।’
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ আখ্যায়িত করে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবিসহ পাঁচ দাবিতে জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলনসহ সাতটি দল যুগপৎ আন্দোলনে নেমেছে।
এ অবস্থায় ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কর্তৃক জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের দাবি ও চলমান জাতীয় রাজনীতি সম্পর্কে জাতীয় পার্টির অবস্থান জাতির সামনে তুলে ধরতে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির একাংশের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, আমরা আওয়ামী লীগের সহযোগী ছিলাম। আমরা সেখান থেকে সুবিধা পেয়েছি। এইকথাগুলো বলে আমাদেরকে জাতীয় যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চলছে, সেই প্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার একটা চেষ্টা চলছে।’
আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৮ সালে আমরা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সহযোগিতা...। কী সহযোগিতা করেছি? আমরা নির্বাচন করেছি। ২০০৮ সালে প্রত্যেকটা পার্টি নির্বাচন করেছে। জামায়াতে ইসলাম, বিএনপি এবং অন্যান্য দল সবাইকে সেদিন নির্বাচন করেছে, আমরাও নির্বাচন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালে নির্বাচন হয়েছিল ২০০৮ সালের নির্বাচিত সরকারের অধীনে, সে সময় সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বদলানো হয়েছে। তখন বিএনপি ও জামায়াত ওই সংসদে ছিল, কই তারা যদি সেদিন সংসদ থেকে পদত্যাগ করে বের হয়ে আসতেন, তাহলে আজকে বলতে পারতেন। সে দিন তো বিএনপি ও জামায়াত সংসদ থেকে বের হয়ে যায়নি। আর দোষ হয় জাতীয় পার্টির।’
জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবির প্রেক্ষিতে জাপার একাংশের চেয়ারম্যান বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী তাদের নেতৃত্বে কয়েকটা দফা দিয়েছে। তার মধ্যে একটি দফা হচ্ছে- জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। আমি আশ্চর্য হয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে অনেকে, অনেক সময় অনেক অভিযোগ এনেছেন। আমরা কিন্তু কোনো দিন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা বা পার্টি হিসেবে নিষিদ্ধ করা, এইটা কখনো বলিনি। কখনো এইটাকে আমরা সাপোর্টও করিনি।’
কোনো দলকে বাদ দিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে তা আগের বারের নির্বাচনের মতো একপেশে হবে বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘যেনতেন নির্বাচন হলে হবে না। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে হবে, নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে, নির্বাচন স্বচ্ছ হতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির এ অংশটির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। আরও উপস্থিত ছিলেন, দলটির নেতা মুজিবুল হক চুন্নু, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।