চার বছরের জন্য বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন সাজ্জাদ জহির চন্দন; আর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন আবদুল্লাহ আল ক্কাফী রতন। দুজনই এতদিন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্যের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ত্রয়োদশ কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে বুধবার নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করে সিপিবি।
এর আগে সারা দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিদের ভোটে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির ৪৩ সদস্যকে নিয়ে শুরু হয় নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত মানবেন্দ্র দেব জানান, সভাপতি পদে কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আবদুল্লাহ আল ক্কাফী রতন নির্বাচিত হয়েছেন।
২০২২ সালে দ্বাদশ কংগ্রেসে মোহাম্মদ শাহ আলম সভাপতি ও রুহিন হোসেন প্রিন্স সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক জানান, “আমাদের নতুন সভাপতি-সম্পাদকসহ কমিটির অন্যান্য পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে; আমি এখন সদস্য হিসেবে আছি।”
শাহ আলম ও প্রিন্সের আগে সিপিবির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন যথাক্রমে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সৈয়দ আবু জাফর আহমদ। ২০১২ সালের অক্টোবরে দশম কংগ্রেসের মাধ্যমে তারা নেতৃত্বে আসেন। এরপর ২০১৬ সালে একাদশ কংগ্রেসে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হন। পরে জাফর মারা গেলে সাধারণ সম্পাদক হন শাহ আলম।
‘সমাজ বদলের লক্ষ্যে শোষণ-বৈষম্যবিরোধী বাম গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা কর’ — এই স্লোগান নিয়ে সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেস শুরু হয় শুক্রবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে। এরপর রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সারা দেশ থেকে আসা পাঁচ শতাধিক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কাউন্সিল অধিবেশনে শোক প্রস্তাব, সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট, রাজনৈতিক প্রস্তাব, গঠনতন্ত্র সংশোধনী প্রস্তাব, ক্রেডেনশিয়াল রিপোর্ট, অডিট কমিটির রিপোর্ট ও কন্ট্রোল কমিশনের রিপোর্ট উত্থাপন এবং তা নিয়ে আলোচনা ও অনুমোদন করা হয়। সব রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদনের পর কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার রাতে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর সমাপনী ভাষণ এবং সমবেত কণ্ঠে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল গাওয়ার মধ্য দিয়ে ত্রয়োদশ কংগ্রেসের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত কংগ্রেসে নির্বাচিত সদস্যদের বৈঠকের পর নতুন নেতৃত্ব চূড়ান্ত করা হয় বলে জানান মানবেন্দ্র দেব।
নতুন সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। তিনি এক সময় বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন।
নতুন সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ক্কাফী রতন এক সময় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক ছিলেন এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতি হন। তিনি ১৯৮৯-৯০ মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্র সংসদের প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।
বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চার বছরের জন্য বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন সাজ্জাদ জহির চন্দন; আর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন আবদুল্লাহ আল ক্কাফী রতন। দুজনই এতদিন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্যের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ত্রয়োদশ কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে বুধবার নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করে সিপিবি।
এর আগে সারা দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিদের ভোটে নির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির ৪৩ সদস্যকে নিয়ে শুরু হয় নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত মানবেন্দ্র দেব জানান, সভাপতি পদে কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আবদুল্লাহ আল ক্কাফী রতন নির্বাচিত হয়েছেন।
২০২২ সালে দ্বাদশ কংগ্রেসে মোহাম্মদ শাহ আলম সভাপতি ও রুহিন হোসেন প্রিন্স সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক জানান, “আমাদের নতুন সভাপতি-সম্পাদকসহ কমিটির অন্যান্য পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে; আমি এখন সদস্য হিসেবে আছি।”
শাহ আলম ও প্রিন্সের আগে সিপিবির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন যথাক্রমে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সৈয়দ আবু জাফর আহমদ। ২০১২ সালের অক্টোবরে দশম কংগ্রেসের মাধ্যমে তারা নেতৃত্বে আসেন। এরপর ২০১৬ সালে একাদশ কংগ্রেসে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হন। পরে জাফর মারা গেলে সাধারণ সম্পাদক হন শাহ আলম।
‘সমাজ বদলের লক্ষ্যে শোষণ-বৈষম্যবিরোধী বাম গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা কর’ — এই স্লোগান নিয়ে সিপিবির ত্রয়োদশ কংগ্রেস শুরু হয় শুক্রবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে। এরপর রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সারা দেশ থেকে আসা পাঁচ শতাধিক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কাউন্সিল অধিবেশনে শোক প্রস্তাব, সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট, রাজনৈতিক প্রস্তাব, গঠনতন্ত্র সংশোধনী প্রস্তাব, ক্রেডেনশিয়াল রিপোর্ট, অডিট কমিটির রিপোর্ট ও কন্ট্রোল কমিশনের রিপোর্ট উত্থাপন এবং তা নিয়ে আলোচনা ও অনুমোদন করা হয়। সব রিপোর্ট উত্থাপন ও অনুমোদনের পর কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার রাতে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর সমাপনী ভাষণ এবং সমবেত কণ্ঠে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল গাওয়ার মধ্য দিয়ে ত্রয়োদশ কংগ্রেসের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত কংগ্রেসে নির্বাচিত সদস্যদের বৈঠকের পর নতুন নেতৃত্ব চূড়ান্ত করা হয় বলে জানান মানবেন্দ্র দেব।
নতুন সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। তিনি এক সময় বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন।
নতুন সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল ক্কাফী রতন এক সময় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক ছিলেন এবং পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতি হন। তিনি ১৯৮৯-৯০ মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্র সংসদের প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।