রাজধানীতে কাছাকাছি সময়ে গুলিস্তান, ফার্মগেইটসহ কয়েকটি এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার দুপুর দুইটার দিকে ঢাকার গুলিস্তান, ফার্মগেইট ছাড়াও কারওয়ান বাজার, আগারগাঁও, পান্থপথ এলাকায় এই দলটি মিছিল বের করে।
তেজগাঁওয়ের মিছিল থেকে ৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন। উপ পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, “রাজধানীর ফার্মগেইট, বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের পাশে পানি ভবনসহ তেজগাঁও এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের লোকজন ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন টিম এসব এলাকায় তৎপর রয়েছে।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা করেছে। “বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের পাশে পানি ভবনের সামনে ককটেল উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।”
প্রত্যক্ষদর্শী পথচারী আবু নাছের জানান, গুলিস্তানের বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ প্লাজার সামনে থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের সামনে দিয়ে আহাদ পুলিশ বক্সের দিকে যান। এ সময় দলের পক্ষে তারা স্লোগান দিচ্ছিলেন বলেও জানান তিনি।
খামারবাড়ি থেকে বের হওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে যান ফার্মগেইটের দিকে। তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন জানান, আওয়ামী লীগের লোকজন মিছিল নিয়ে খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেইটের দিকে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী একজন সংবাদকর্মী বলেন, খামারবাড়ি থেকে বাইক দিয়ে ফার্মগেইটের দিকে যাওয়ার সময় মিছিলের কারণে তিনি আটকা পড়ে যান।
দুপুর দুইটার দিকে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের উল্টো পাশের রাস্তা ধরে মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তারা মিছিল নিয়ে কারওয়ান বাজার মোড়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করে। এর আগে আগারগাঁও, শ্যামলী, গুলিস্তান ও তেজগাঁও নাবিস্কো এলাকায়ও মিছিল করেছে দলের নেতাকর্মীরা।
অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে আছেন। জুলাই অভ্যুত্থানে শত শত মানুষকে হত্যা এবং দমন-পীড়নের অভিযোগে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিচার চলছে। এ আদালতে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের জন্যও আইনি কাঠামো তৈরি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব ধরনের কর্মকাণ্ডে আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
নির্বাচন কমিশন দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধনও স্থগিত করেছে, ফলে আপাতত ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ দলটির নেই।
বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজধানীতে কাছাকাছি সময়ে গুলিস্তান, ফার্মগেইটসহ কয়েকটি এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার দুপুর দুইটার দিকে ঢাকার গুলিস্তান, ফার্মগেইট ছাড়াও কারওয়ান বাজার, আগারগাঁও, পান্থপথ এলাকায় এই দলটি মিছিল বের করে।
তেজগাঁওয়ের মিছিল থেকে ৫০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন। উপ পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, “রাজধানীর ফার্মগেইট, বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের পাশে পানি ভবনসহ তেজগাঁও এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের লোকজন ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন টিম এসব এলাকায় তৎপর রয়েছে।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ঝটিকা মিছিলের চেষ্টা করেছে। “বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের পাশে পানি ভবনের সামনে ককটেল উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।”
প্রত্যক্ষদর্শী পথচারী আবু নাছের জানান, গুলিস্তানের বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ প্লাজার সামনে থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের সামনে দিয়ে আহাদ পুলিশ বক্সের দিকে যান। এ সময় দলের পক্ষে তারা স্লোগান দিচ্ছিলেন বলেও জানান তিনি।
খামারবাড়ি থেকে বের হওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে যান ফার্মগেইটের দিকে। তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন জানান, আওয়ামী লীগের লোকজন মিছিল নিয়ে খামারবাড়ি থেকে ফার্মগেইটের দিকে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী একজন সংবাদকর্মী বলেন, খামারবাড়ি থেকে বাইক দিয়ে ফার্মগেইটের দিকে যাওয়ার সময় মিছিলের কারণে তিনি আটকা পড়ে যান।
দুপুর দুইটার দিকে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের উল্টো পাশের রাস্তা ধরে মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তারা মিছিল নিয়ে কারওয়ান বাজার মোড়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করে। এর আগে আগারগাঁও, শ্যামলী, গুলিস্তান ও তেজগাঁও নাবিস্কো এলাকায়ও মিছিল করেছে দলের নেতাকর্মীরা।
অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে আছেন। জুলাই অভ্যুত্থানে শত শত মানুষকে হত্যা এবং দমন-পীড়নের অভিযোগে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিচার চলছে। এ আদালতে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের জন্যও আইনি কাঠামো তৈরি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব ধরনের কর্মকাণ্ডে আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
নির্বাচন কমিশন দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধনও স্থগিত করেছে, ফলে আপাতত ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ দলটির নেই।