বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দুর্নীতি দমন কমিশনকে ‘অর্থব প্রতিষ্ঠান’ আখ্যা দিয়ে এর কার্যক্রম নিয়ে তীব্র প্রশ্ন তুলেছেন। বুধবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, “আপনারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে নিউ ইয়র্কে, লন্ডনে, দুবাইয়ে, কানাডার আটোয়ায়, অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাড়ি বানিয়েছেন… অনেক সম্পদ তৈরি করেছেন। খবরে কাগজে উঠে আসছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্নি, আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা কারো ৬০২টি সম্পদ পাওয়া গেছে, কারো ফ্ল্যাট পাওয়া গেছে, অজস্র টাকা পাওয়া যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “দুর্নীতি দমন কমিশনকে আদালত ২৪ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা স্পেসিফিকভাবে উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছে। দেশের বাইরে যে টাকাগুলো আছে, দুদক সেগুলো উদ্ধার করবে। কিন্তু এই কমিশন এখনও পর্যন্ত সেই টাকাগুলো উদ্ধার করতে পারেনি, ফ্যাসিস্টদের কোনো দোসরের শাস্তি দিতে পারেনি। যারা শেয়ার কিনেছে, যারা অবৈধভাবে জমি কিনেছে, যারা ব্যাংকে ডিপোজিট করেছে, সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে যেগুলো আছে, কোথাও কোনো দৃষ্টান্তমূলক বিচার আমরা দেখিনি। অর্থাৎ দুর্নীতি দমন কমিশন সক্রিয় নয়, তারা অর্থব হিসেবে কাজ করছে।”
রিজভী মন্তব্য করেন, দেশের জনগণ ‘এই পরিস্থিতি দেখতে চায় না’। এদিন তিনি পটুয়াখালী জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম কিসমত, প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক এলিজা জামান, বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মোল্লা, সদস্য সচিব হুমায়ুন হাসান শাহী, যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল হক মাস্টারসহ অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে জিয়ারত করেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনি, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আবু সাঈদ খানসহ দুই জেলার নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর বিএনপি পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।
‘সরকার কেন ব্যর্থ হচ্ছে’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, “যখন হাসিনা নেই, আওয়ামী লীগের পুলিশ নেই, ছাত্রলীগ নেই, হেলমেটধারীরা নেই, তখন এই এক বছরে প্রায় দ্বিগুণ অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। কেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে, তা জনগণ জানতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, “অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা আছে। আস্থা থাকার পরও তারা দক্ষতার সঙ্গে, দ্রুত ও ক্ষিপ্রগতিতে পদক্ষেপ নিতে পারছে না। ফলে বিভিন্ন জায়গায় দোসরদের প্রেত্মাতারা রাজপথে নামার সুযোগ পাচ্ছে।”
নিউ ইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী বিএনপি ও এনসিপি নেতাদের হেনস্তার প্রসঙ্গ তুলে রিজভী বলেন, বিদেশেও ‘ফ্যাসিবাদের দোসররা’ নানা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। “অন্তবর্তীকালীন সরকার যদি আরও দক্ষতা প্রদর্শন করতেন, নিউ ইয়র্কে যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ফ্যাসিবাদের দোসররা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করতে পারত না।”
‘ওরা যাতে খোলস পাল্টাতে না পারে’
আগামী নির্বাচনের জন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, “আর যাতে এই ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসে, যারা দেশের টাকা আত্মসাৎ করেছে, দেশের অর্থ পাচার করেছে, ব্যাংকের অর্থ লুট করেছে তারা যেন কোনো প্রত্যাবর্তন করতে না পারে, সেজন্য আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে।”
তিনি বলেন, “যারা মানুষ হত্যা করেছে, ছাত্র-শিশু হত্যা করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছে, তাদের সঙ্গে কোনো আতাঁত নেই। যারা খুন করেছে, তারা যেন খোলস পাল্টিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে না পারে, সেজন্য সকলকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।”
বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দুর্নীতি দমন কমিশনকে ‘অর্থব প্রতিষ্ঠান’ আখ্যা দিয়ে এর কার্যক্রম নিয়ে তীব্র প্রশ্ন তুলেছেন। বুধবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, “আপনারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে নিউ ইয়র্কে, লন্ডনে, দুবাইয়ে, কানাডার আটোয়ায়, অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাড়ি বানিয়েছেন… অনেক সম্পদ তৈরি করেছেন। খবরে কাগজে উঠে আসছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভাগ্নি, আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা কারো ৬০২টি সম্পদ পাওয়া গেছে, কারো ফ্ল্যাট পাওয়া গেছে, অজস্র টাকা পাওয়া যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “দুর্নীতি দমন কমিশনকে আদালত ২৪ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা স্পেসিফিকভাবে উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছে। দেশের বাইরে যে টাকাগুলো আছে, দুদক সেগুলো উদ্ধার করবে। কিন্তু এই কমিশন এখনও পর্যন্ত সেই টাকাগুলো উদ্ধার করতে পারেনি, ফ্যাসিস্টদের কোনো দোসরের শাস্তি দিতে পারেনি। যারা শেয়ার কিনেছে, যারা অবৈধভাবে জমি কিনেছে, যারা ব্যাংকে ডিপোজিট করেছে, সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে যেগুলো আছে, কোথাও কোনো দৃষ্টান্তমূলক বিচার আমরা দেখিনি। অর্থাৎ দুর্নীতি দমন কমিশন সক্রিয় নয়, তারা অর্থব হিসেবে কাজ করছে।”
রিজভী মন্তব্য করেন, দেশের জনগণ ‘এই পরিস্থিতি দেখতে চায় না’। এদিন তিনি পটুয়াখালী জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম কিসমত, প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক এলিজা জামান, বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মোল্লা, সদস্য সচিব হুমায়ুন হাসান শাহী, যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল হক মাস্টারসহ অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে জিয়ারত করেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনি, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আবু সাঈদ খানসহ দুই জেলার নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর বিএনপি পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।
‘সরকার কেন ব্যর্থ হচ্ছে’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, “যখন হাসিনা নেই, আওয়ামী লীগের পুলিশ নেই, ছাত্রলীগ নেই, হেলমেটধারীরা নেই, তখন এই এক বছরে প্রায় দ্বিগুণ অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। কেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে, তা জনগণ জানতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, “অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা আছে। আস্থা থাকার পরও তারা দক্ষতার সঙ্গে, দ্রুত ও ক্ষিপ্রগতিতে পদক্ষেপ নিতে পারছে না। ফলে বিভিন্ন জায়গায় দোসরদের প্রেত্মাতারা রাজপথে নামার সুযোগ পাচ্ছে।”
নিউ ইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী বিএনপি ও এনসিপি নেতাদের হেনস্তার প্রসঙ্গ তুলে রিজভী বলেন, বিদেশেও ‘ফ্যাসিবাদের দোসররা’ নানা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। “অন্তবর্তীকালীন সরকার যদি আরও দক্ষতা প্রদর্শন করতেন, নিউ ইয়র্কে যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ফ্যাসিবাদের দোসররা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করতে পারত না।”
‘ওরা যাতে খোলস পাল্টাতে না পারে’
আগামী নির্বাচনের জন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, “আর যাতে এই ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসে, যারা দেশের টাকা আত্মসাৎ করেছে, দেশের অর্থ পাচার করেছে, ব্যাংকের অর্থ লুট করেছে তারা যেন কোনো প্রত্যাবর্তন করতে না পারে, সেজন্য আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে।”
তিনি বলেন, “যারা মানুষ হত্যা করেছে, ছাত্র-শিশু হত্যা করে ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছে, তাদের সঙ্গে কোনো আতাঁত নেই। যারা খুন করেছে, তারা যেন খোলস পাল্টিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে না পারে, সেজন্য সকলকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।”