বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শেষ লগ্নের নেতৃত্ব দিতে’ শিগগিরই দেশে ফিরবেন তাদের নেতা তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
জাহিদ হোসেন বলেন, “জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শুধু বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন, সকল মানুষের নেতা জনাব তারেক রহমান।
“আমি কয়েকদিন আগেও বলেছি, আপনারা দেখতে পাবেন যে, কয়েক সপ্তাহ বলেছিলাম। ইনশাল্লাহ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারেক রহমান এসে বিএনপির নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুধু নয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শেষ লগ্ন যেটি, তার নেতৃত্ব দেবেন।”
২০০৭-০৮ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছিল তারেক রহমানকে। মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালে তিনি লন্ডনে চলে যান। তার পর থেকে পরিবার নিয়ে সেখানেই আছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি দেশে আসেননি। এ সময়ে বিভিন্ন মামলা ও বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর তার দেশে আসার পথ খুললেও তিনি আসেননি। লন্ডন থেকেই দলের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সব মামলায় খালাস পেয়েছেন তারেক। তবে তিনি কবে ফিরবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো দিন তারিখ বলতে পারছেন না বিএনপি নেতারা।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা
নিউ ইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী বিএনপির মহাসচিবসহ রাজনৈতিক নেতাদের যেভাবে হেনস্তা করেছে আওয়ামী লীগ কর্মীরা, তারও সমালোচনা করেছেন এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, “এই দলের ইতিহাস, এই দলের নেতাদের ইতিহাস কোনো দিনই জনগণের পক্ষে ছিল না। উনারা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন, উনারা জনগণের ওপরে চেপে বসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন।
“তারা এই দেশটাকে মনে করে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। যেমনি ইচ্ছা, অমনি চালাবে। অন্যায় উনাদের পূর্ব পুরুষরা করেছেন, উনারাও করছেন। তবে একটি জিনিস মনে রাখতে হবে, শেষ বিচারে জনগণ জানে তাদেরকে কীভাবে প্রতিহত করতে হয়, প্রত্যাখান করতে হয়।”
আরেক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, “আমি সব সময় বলতাম স্বৈরাচারের দোসর কারা ছিল? ৮৬ সালে দেখেছেন, এখনো দেখছেন। কাজেই আপনাদেরকে সজাগ থাকতে বলব, সংবাদ কর্মীদেরকে, দেশের মানুষকে… দেশের মানুষ দেখছে যে, সত্যিকার অর্থে স্বৈরাচারের সাথে কাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
“কাজেই এ ব্যাপারে আমাদের আর স্পষ্ট করে বলার দরকার নাই। বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে সোচ্চার ছিল, থাকবে।”
‘মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা ১০ গুণ’
এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ হোসেন বলেন, “বিএনপির নেতা-কর্মীরা সারাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে তারেক রহমানের আহ্বানে ভোটারদের কাছে, জনগণের কাছে ৩১ দফার কর্মসূচি নিয়ে যাচ্ছে, সেই কাজে তারা ব্যস্ত আছে এবং কর্মচাঞ্চল্য চলছে। নির্বাচন সামনে রেখে ১৮ মাস আগে থেকে আমাদের এই কাজ শুরু হয়েছে। আপনারা যেটাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বলেন, অর্থাৎ মনোনয়ন… আলহামদুলিল্লাহ! বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা যা সিট আছে তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি।
“কাজেই কে প্রার্থী হবেন কে হবেন না সেজন্য… আমাদের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, জেলার নেতৃবৃন্দ, আমাদের দলের পক্ষ থেকে জরিপ এবং সর্বোপরি জনগণের ভালোবাসায় যে সমস্ত মানুষগুলো নিজ নিজ এলাকা জনপ্রিয়, তাদেরকেই বিএনপি মনোনয়ন দেবে। আপনি দেখতে পাবেন, খুব সহসাই মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
“কিন্তু ইদানিংকালে সোশাল মিডিয়া ও কিছু পত্র-পত্রিকায় যে সমস্ত স্পেকুলেটেড নিউজ হয়েছে, তার ব্যাপারে আমাদের দলের পক্ষ থেকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাহেব বলেছেন, দল এখনো কাউকে মনোনয়ন দেয়নি। যখন সময় আসবে, তখন জানানো হবে।”
বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উপলক্ষে এদিন ডিপ্লোমা ফার্সাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডি-ফ্যাব) এর নেতা-কর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য।
পরে সেখান থেকে ডি-ফ্যাব এর আহ্বায়ক আসাদুল্লাহ মিয়া ও সদস্য সচিব নাজমুল হুদা, উপদেষ্টা আতিকুর রহমান রুমনের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন অধ্যাপক জাহিদ। শোভাযাত্রাটি জিয়ার সমাধি থেকে বিজয় সরণি সড়ক পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।
বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শেষ লগ্নের নেতৃত্ব দিতে’ শিগগিরই দেশে ফিরবেন তাদের নেতা তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
জাহিদ হোসেন বলেন, “জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শুধু বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা সম্পৃক্ত ছিলেন, সকল মানুষের নেতা জনাব তারেক রহমান।
“আমি কয়েকদিন আগেও বলেছি, আপনারা দেখতে পাবেন যে, কয়েক সপ্তাহ বলেছিলাম। ইনশাল্লাহ কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারেক রহমান এসে বিএনপির নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুধু নয়, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শেষ লগ্ন যেটি, তার নেতৃত্ব দেবেন।”
২০০৭-০৮ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছিল তারেক রহমানকে। মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালে তিনি লন্ডনে চলে যান। তার পর থেকে পরিবার নিয়ে সেখানেই আছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি দেশে আসেননি। এ সময়ে বিভিন্ন মামলা ও বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর তার দেশে আসার পথ খুললেও তিনি আসেননি। লন্ডন থেকেই দলের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সব মামলায় খালাস পেয়েছেন তারেক। তবে তিনি কবে ফিরবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো দিন তারিখ বলতে পারছেন না বিএনপি নেতারা।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা
নিউ ইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী বিএনপির মহাসচিবসহ রাজনৈতিক নেতাদের যেভাবে হেনস্তা করেছে আওয়ামী লীগ কর্মীরা, তারও সমালোচনা করেছেন এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, “এই দলের ইতিহাস, এই দলের নেতাদের ইতিহাস কোনো দিনই জনগণের পক্ষে ছিল না। উনারা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন, উনারা জনগণের ওপরে চেপে বসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন।
“তারা এই দেশটাকে মনে করে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। যেমনি ইচ্ছা, অমনি চালাবে। অন্যায় উনাদের পূর্ব পুরুষরা করেছেন, উনারাও করছেন। তবে একটি জিনিস মনে রাখতে হবে, শেষ বিচারে জনগণ জানে তাদেরকে কীভাবে প্রতিহত করতে হয়, প্রত্যাখান করতে হয়।”
আরেক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, “আমি সব সময় বলতাম স্বৈরাচারের দোসর কারা ছিল? ৮৬ সালে দেখেছেন, এখনো দেখছেন। কাজেই আপনাদেরকে সজাগ থাকতে বলব, সংবাদ কর্মীদেরকে, দেশের মানুষকে… দেশের মানুষ দেখছে যে, সত্যিকার অর্থে স্বৈরাচারের সাথে কাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
“কাজেই এ ব্যাপারে আমাদের আর স্পষ্ট করে বলার দরকার নাই। বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে সোচ্চার ছিল, থাকবে।”
‘মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা ১০ গুণ’
এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ হোসেন বলেন, “বিএনপির নেতা-কর্মীরা সারাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে তারেক রহমানের আহ্বানে ভোটারদের কাছে, জনগণের কাছে ৩১ দফার কর্মসূচি নিয়ে যাচ্ছে, সেই কাজে তারা ব্যস্ত আছে এবং কর্মচাঞ্চল্য চলছে। নির্বাচন সামনে রেখে ১৮ মাস আগে থেকে আমাদের এই কাজ শুরু হয়েছে। আপনারা যেটাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বলেন, অর্থাৎ মনোনয়ন… আলহামদুলিল্লাহ! বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা যা সিট আছে তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি।
“কাজেই কে প্রার্থী হবেন কে হবেন না সেজন্য… আমাদের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, জেলার নেতৃবৃন্দ, আমাদের দলের পক্ষ থেকে জরিপ এবং সর্বোপরি জনগণের ভালোবাসায় যে সমস্ত মানুষগুলো নিজ নিজ এলাকা জনপ্রিয়, তাদেরকেই বিএনপি মনোনয়ন দেবে। আপনি দেখতে পাবেন, খুব সহসাই মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
“কিন্তু ইদানিংকালে সোশাল মিডিয়া ও কিছু পত্র-পত্রিকায় যে সমস্ত স্পেকুলেটেড নিউজ হয়েছে, তার ব্যাপারে আমাদের দলের পক্ষ থেকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাহেব বলেছেন, দল এখনো কাউকে মনোনয়ন দেয়নি। যখন সময় আসবে, তখন জানানো হবে।”
বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উপলক্ষে এদিন ডিপ্লোমা ফার্সাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডি-ফ্যাব) এর নেতা-কর্মীদের নিয়ে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য।
পরে সেখান থেকে ডি-ফ্যাব এর আহ্বায়ক আসাদুল্লাহ মিয়া ও সদস্য সচিব নাজমুল হুদা, উপদেষ্টা আতিকুর রহমান রুমনের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেন অধ্যাপক জাহিদ। শোভাযাত্রাটি জিয়ার সমাধি থেকে বিজয় সরণি সড়ক পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।