alt

জামায়াতের ‘তিন প্রতিজ্ঞা’, ক্ষমতায় গেলে কী করবেন জানালেন শফিক

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে কাউকে দাবি আদায়ের জন্য কর্মস্থল ছেড়ে রাস্তায় এক মিনিটের জন্যও দাঁড়াতে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ইনসাফের ভিত্তিতে যাঁর যেটা পাওনা, সেটা তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে।’

শনিবার কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি) আয়োজিত বার্ষিক অধিবেশন ২০২৫–এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

নিজেদের তিনটি মৌলিক প্রতিজ্ঞার কথা তুলে ধরে জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রথমে আমরা এই ভঙ্গুর শিক্ষাব্যবস্থা রাখব না। যে শিক্ষা মানুষের মধ্যে অনৈতিকতার সৃষ্টি করে, মানুষকে দুর্নীতিবাজ বানায়, মানুষকে একটা ইতর প্রাণী বানায়, আমরা ওই শিক্ষা দেব না। যে শিক্ষাটা মানুষকে সম্মান করতে শেখায়, সেই শিক্ষাটাই আমরা আমাদের সন্তানদের হাতে তুলে দেব।’

তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক শিক্ষার সঙ্গে নৈতিক শিক্ষার মহামিলন ঘটানো হবে। ছেলে বা মেয়ে শিক্ষার পাট চুকিয়ে বের হওয়ার পরে তার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাবে। কেউ উদ্যোক্তা হবে, কেউ সার্ভিস সেক্টরে কাজ করবে। তবে কেউ বেকার থাকবে না।

দ্বিতীয় প্রতিজ্ঞার কথা জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ক্ষমতায় গেলে জামায়াত ঘুষ ও দুর্নীতি নির্মূল করবে। পাশাপাশি প্রতিটি সেক্টরের কাজের সঙ্গে বেতনের সমন্বয় করা হবে। পুলিশকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাকে যদি ফকিরের ভিক্ষা বেতন দেওয়া হয়, সে ঝুঁকি নিতে যাবে কেন? তাকে তো সম্মানিত করতে হবে। এটা করা হয় না বলে এ সমাজে আজকে কোনো শান্তি নাই।’

ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এফডিইবি) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী আব্দুছ ছাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম, সাইফুল আলম মিলন, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের প্রমুখ।

ছবি

আ.লীগ হিন্দুদের বন্ধু সেঁজে তাদের বাড়িঘরে লুটপাট চালিয়েছে: মঈন খান

ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৭৩টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

ছবি

ঐক্যবদ্ধ না থাকলে দেশে ‘গুপ্ত স্বৈরাচার’ আসতে পারে: তারেক রহমান

ছবি

সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন: বাংলাদেশে কাজ করা এখন অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, নির্বাচনের প্রস্তুতিতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছি

ছবি

জাতিসংঘ দপ্তরের সামনে আওয়ামী লীগের দুজনের ওপর হামলা, বিএনপির একজন গ্রেপ্তার

ছবি

অভ্যুত্থান কোনো একক দল করে নাই : সাকি

ছবি

ডাকসু-জাকসু ভোটের অনিয়ম জাতীয় নির্বাচনের জন্য হুমকি: রিজভী

নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মামলা’ আখতারের

পিআরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ব্যাহত হবে: সালাহউদ্দিন

জামায়াতে ইসলামী এখন ‘পতিত ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে’ কাজ করছে: রিজভী

ছবি

সরকার প্রধান নিজেই বৈষম্য সৃষ্টি করে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন : ফরিদপুরে চরমোনাই পীর

ছবি

রোজার আগে ফেব্রুয়ারিতেই ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন: সিইসি

ছবি

আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপে অর্থায়নের অভিযোগে মোজাম্মেলসহ দুই জনের রিমান্ড

ছবি

আনারস প্রতীকে নিবন্ধন পেল বাংলাদেশ লেবার পার্টি

ছবি

কুষ্টিয়ায় সাতজনকে হত্যা: ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল

ছবি

রিজভীর অভিযোগ: জামায়াত আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন চাইছে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে টেলিফোন সংলাপের প্রসঙ্গ

ছবি

নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করলেন এনসিপি নেতা

ছবি

নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করলেন এনসিপি নেতা

ছবি

দেশে ফিরবেন তারেক রহমান, শেষ লগ্নের নেতৃত্ব দেবেন: বিএনপি

ছবি

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা করলেন আখতার হোসেন

ছবি

রাজধানীর নিকেতন থেকে সাবেক এমপি কবিরুল হক গ্রেপ্তার

ছবি

ডিম ছোড়া প্রসঙ্গে আমীর খসরু: এগুলোতে কিছু আসে যায় না

ছবি

জরিপ: মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরে কতটা বদলালো জনমত

ছবি

রুহুল কবির রিজভী: দুর্নীতি দমন কমিশন ‘অর্থব প্রতিষ্ঠান’, কার্যক্রমে ব্যর্থতা স্পষ্ট

ছবি

অক্টোবর-নভেম্বরেই শেখ হাসিনা ও পরিবারের ‘প্লট দুর্নীতি’ মামলার রায় আশা করছে দুদক

ছবি

রাজধানীতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একাধিক এলাকায় ঝটিকা মিছিল, তেজগাঁও থেকে আটক ৫০-এর বেশি

ছবি

সিপিবির নতুন নেতৃত্বে সাজ্জাদ চন্দন ও কাফি রতন

ছবি

উত্তর সিটির সাবেক কাউন্সিলর নার্গিস গ্রেপ্তার

ছবি

আখতারদের ভিভিআইপি সুবিধা না পাওয়া প্রসঙ্গে সরকারের ব্যাখ্যা

ছবি

ইসির কাছে ৩৩% নারী প্রার্থীর বাধ্যবাধকতা দাবি

ছবি

ভোটাভুটিতে সিপিবি’র ৪৩ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি

ছবি

আখতারকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের শাস্তি চায় এনসিপি

ছবি

কলকাতার পত্রিকায় বিএনপি’র ফখরুলের সাক্ষাৎকার, জামায়াত-এনসিপি’র প্রতিবাদ

ছবি

কলকাতার সাক্ষাৎকার এআই দিয়ে বানানো: ফখরুল

ছবি

মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানালো জামায়াত

বিএনপি ‘ভারতমুখী’ হলে এনসিপি নতুন সিদ্ধান্ত নেবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

tab

জামায়াতের ‘তিন প্রতিজ্ঞা’, ক্ষমতায় গেলে কী করবেন জানালেন শফিক

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে কাউকে দাবি আদায়ের জন্য কর্মস্থল ছেড়ে রাস্তায় এক মিনিটের জন্যও দাঁড়াতে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ইনসাফের ভিত্তিতে যাঁর যেটা পাওনা, সেটা তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে।’

শনিবার কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি) ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি) আয়োজিত বার্ষিক অধিবেশন ২০২৫–এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

নিজেদের তিনটি মৌলিক প্রতিজ্ঞার কথা তুলে ধরে জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রথমে আমরা এই ভঙ্গুর শিক্ষাব্যবস্থা রাখব না। যে শিক্ষা মানুষের মধ্যে অনৈতিকতার সৃষ্টি করে, মানুষকে দুর্নীতিবাজ বানায়, মানুষকে একটা ইতর প্রাণী বানায়, আমরা ওই শিক্ষা দেব না। যে শিক্ষাটা মানুষকে সম্মান করতে শেখায়, সেই শিক্ষাটাই আমরা আমাদের সন্তানদের হাতে তুলে দেব।’

তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক শিক্ষার সঙ্গে নৈতিক শিক্ষার মহামিলন ঘটানো হবে। ছেলে বা মেয়ে শিক্ষার পাট চুকিয়ে বের হওয়ার পরে তার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাবে। কেউ উদ্যোক্তা হবে, কেউ সার্ভিস সেক্টরে কাজ করবে। তবে কেউ বেকার থাকবে না।

দ্বিতীয় প্রতিজ্ঞার কথা জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ক্ষমতায় গেলে জামায়াত ঘুষ ও দুর্নীতি নির্মূল করবে। পাশাপাশি প্রতিটি সেক্টরের কাজের সঙ্গে বেতনের সমন্বয় করা হবে। পুলিশকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাকে যদি ফকিরের ভিক্ষা বেতন দেওয়া হয়, সে ঝুঁকি নিতে যাবে কেন? তাকে তো সম্মানিত করতে হবে। এটা করা হয় না বলে এ সমাজে আজকে কোনো শান্তি নাই।’

ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এফডিইবি) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী আব্দুছ ছাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম, সাইফুল আলম মিলন, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের প্রমুখ।

back to top