জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেছেন, দলের নিবন্ধন ও লাঙ্গল প্রতীক চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে থাকবে, যেভাবে বর্তমানে বহাল রয়েছে। তিনি শনিবার নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
জাতীয় পার্টি বর্তমানে তিন খণ্ডে বিভক্ত এবং তিনটি অংশই দলের প্রতীক লাঙ্গল নিজেদের বলে দাবি করছে। জিএম কাদের ও শামীম হায়দার পাটোয়ারী নেতৃত্বাধীন অংশের নেতা রেজাউল নিজের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। জিএম কাদের নেতৃত্বাধীন অংশ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সহধর্মিনী রওশন এরশাদ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলাদা হওয়ার পর নীরব ছিলেন, তবে এখন তার অংশ দাবি করছে যে, তারা লাঙ্গলের একমাত্র দাবিদার।
জি এম কাদেরের ওপর আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার সুযোগে ৬ আগস্ট ‘ঐক্য সম্মেলন’ করে আলাদা হয়েছিলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ দলে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা। রওশনের অংশ থেকে বেরিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলাও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এবং নিজেদের ‘মূল জাপা’ দাবি করে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছেন।
জিএম কাদেরপন্থি রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া রোববার বলেছেন, “ওই কাউন্সিল কোনোভাবেই বৈধ নয়। এটা চেয়ারম্যান কর্তৃক অনুমোদিত নয়, প্রেসিডিয়াম থেকেও অনুমোদিত হয়নি। তাই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি। ইসি আমাদের দরখাস্ত গ্রহণ করেছে এবং আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে আলোচনা করবে।”
তিনি বলেন, জাপার নিবন্ধন নম্বর ১২ এবং প্রতীক ‘লাঙ্গল’। দলটির দশম সম্মেলন এখনও অনুষ্ঠিত হয়নি। “আমরা বিশ্বাস করি, নিবন্ধন ও প্রতীক আগের মতোই জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির কাছে আছে এবং বহাল থাকবে। গত সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জিএম কাদেরের নেতৃত্বে লাঙ্গল প্রতীকে প্রার্থীরা অংশ নিয়েছেন এবং নির্বাচিত হয়েছেন। তাই আইনগতভাবেই বিষয়টি স্পষ্ট।”
রেজাউল আরও বলেন, যারা নিবন্ধন ও প্রতীকের দাবি করছেন, তাদের কার্যক্রম কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। “আমরা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। আশা করছি, দু-এক দিনের মধ্যেই ইসি আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের অবস্থান নিশ্চিত করবে।”
জাতীয় পার্টি ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গী হিসেবে কাজ করছে। দলের ইতিহাসে অন্তত ছয়বার ভাঙনের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙা অংশগুলিও রাজনীতিতে সক্রিয়। আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টি (জেপি) ছাড়া বাকি অংশগুলো বিএনপির মিত্র জোটে রয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাতীয় পার্টি বিপাকে পড়ে। গত বছরের অক্টোবর মাসে বিজয়নগরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আক্রান্ত হয়; একদল লোক ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামি, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ কয়েকটি দল জাতীয় পার্টি কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে। এছাড়া ঢাকার ও বিভিন্ন জেলার কার্যালয়ে আরেক দফা আগুন দেওয়া হয়েছে।
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেছেন, দলের নিবন্ধন ও লাঙ্গল প্রতীক চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে থাকবে, যেভাবে বর্তমানে বহাল রয়েছে। তিনি শনিবার নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
জাতীয় পার্টি বর্তমানে তিন খণ্ডে বিভক্ত এবং তিনটি অংশই দলের প্রতীক লাঙ্গল নিজেদের বলে দাবি করছে। জিএম কাদের ও শামীম হায়দার পাটোয়ারী নেতৃত্বাধীন অংশের নেতা রেজাউল নিজের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। জিএম কাদের নেতৃত্বাধীন অংশ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সহধর্মিনী রওশন এরশাদ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলাদা হওয়ার পর নীরব ছিলেন, তবে এখন তার অংশ দাবি করছে যে, তারা লাঙ্গলের একমাত্র দাবিদার।
জি এম কাদেরের ওপর আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার সুযোগে ৬ আগস্ট ‘ঐক্য সম্মেলন’ করে আলাদা হয়েছিলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ দলে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা। রওশনের অংশ থেকে বেরিয়ে কাজী ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলাও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এবং নিজেদের ‘মূল জাপা’ দাবি করে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছেন।
জিএম কাদেরপন্থি রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া রোববার বলেছেন, “ওই কাউন্সিল কোনোভাবেই বৈধ নয়। এটা চেয়ারম্যান কর্তৃক অনুমোদিত নয়, প্রেসিডিয়াম থেকেও অনুমোদিত হয়নি। তাই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছি। ইসি আমাদের দরখাস্ত গ্রহণ করেছে এবং আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে আলোচনা করবে।”
তিনি বলেন, জাপার নিবন্ধন নম্বর ১২ এবং প্রতীক ‘লাঙ্গল’। দলটির দশম সম্মেলন এখনও অনুষ্ঠিত হয়নি। “আমরা বিশ্বাস করি, নিবন্ধন ও প্রতীক আগের মতোই জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির কাছে আছে এবং বহাল থাকবে। গত সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জিএম কাদেরের নেতৃত্বে লাঙ্গল প্রতীকে প্রার্থীরা অংশ নিয়েছেন এবং নির্বাচিত হয়েছেন। তাই আইনগতভাবেই বিষয়টি স্পষ্ট।”
রেজাউল আরও বলেন, যারা নিবন্ধন ও প্রতীকের দাবি করছেন, তাদের কার্যক্রম কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। “আমরা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। আশা করছি, দু-এক দিনের মধ্যেই ইসি আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের অবস্থান নিশ্চিত করবে।”
জাতীয় পার্টি ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচন থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গী হিসেবে কাজ করছে। দলের ইতিহাসে অন্তত ছয়বার ভাঙনের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙা অংশগুলিও রাজনীতিতে সক্রিয়। আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টি (জেপি) ছাড়া বাকি অংশগুলো বিএনপির মিত্র জোটে রয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জাতীয় পার্টি বিপাকে পড়ে। গত বছরের অক্টোবর মাসে বিজয়নগরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আক্রান্ত হয়; একদল লোক ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামি, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ কয়েকটি দল জাতীয় পার্টি কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে। এছাড়া ঢাকার ও বিভিন্ন জেলার কার্যালয়ে আরেক দফা আগুন দেওয়া হয়েছে।