দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামী চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাইফ পাওয়ারটেক থেকে ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ এবং আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে।
রোববার দুদকের জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ কমিশনের উপসহকারী পরিচালক রুবেল হোসেন মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
মামলায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী ছাড়াও তার স্ত্রী এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমীলা জামানকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ইউসিবির সাবেক পরিচালক সৈয়দ কামরুজ্জামান, ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং-এর স্বত্ত্বাধিকারী মো. আব্দুল আজীজ, ক্লাসিক ট্রেডিং-এর স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মডেল ট্রেডিং-এর স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ মিছাবাহুল, ক্রিসেন্ট ট্রেডার্স-এর স্বত্ত্বাধিকারী সৈয়দ নুরুল ইসলাম এবং রেডিয়াস ট্রেডিং-এর স্বত্ত্বাধিকারী মো. ফরিদ উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, “আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এবং ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিনের কাছ থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করে। পরে এই অর্থ বিদেশে পাচার ও মানিলন্ডারিং করা হয়েছে।”
দুদকের নথি অনুযায়ী, ২০২০ সালের আগস্টে ইউসিবির মহাখালী শাখায় চলতি হিসাব খুলে দুটি কোম্পানি ঋণের আবেদন করে। পরে বোর্ড সভায় ১৭৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার ঋণ অনুমোদন করা হয়। অনুমোদনের পর সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের হিসাব জড়ো হয় মোট ৬৮ কোটি টাকা।
ঋণ গ্রহণের পর সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডকে পাঁচটি বেনামী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে (ক্লাসিক ট্রেডিং, ক্রিসেন্ট ট্রেডার্স, মডেল ট্রেডিং, রেডিয়াস ট্রেডিং ও ইমিন্যান্ট ট্রেডার্স) ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে বাধ্য করা হয়। একইভাবে ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসিকে ২১ কোটি ২৫ লাখ টাকা দিতে বাধ্য করা হয়। পণ্য সরবরাহ ছাড়াই এই অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, “ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন এবং ইউসিবিএল ব্যাংকের সাবেক পরিচালক হিসেবে সাইফুজ্জামান তার প্রভাব খাটান। তার স্ত্রী রুকমীলা জামানকে ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে বসিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায়ের পথ তৈরি করেন। বাস্তবে ব্যাংকের কার্যক্রম তিনি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিতেন।
এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে আরামিট গ্রুপের দুই কর্মকর্তা—সিওও সৈয়দ কামরুজ্জামান ও কোম্পানি সেক্রেটারি মো. আব্দুল আজিজ—সহ আরও কয়েকজন সহযোগী ছিলেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ক্লাসিক ট্রেডিং-এর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মডেল ট্রেডিং-এর মো. মিছাবাহুল আলম, রেডিয়াস ট্রেডিং-এর মো. ফরিদ উদ্দিন এবং মার্কেটিং সহকারী মো. ইয়াছিনুর রহমান।”
দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, ইউসিবিএলের বিভিন্ন শাখার গ্রাহকদের কাছ থেকে মোট ২১৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ‘ঘুষ’ নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে সাইফ পাওয়ারটেক ও ই-ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে আদায় করা হয়েছে ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামী চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাইফ পাওয়ারটেক থেকে ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ এবং আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে।
রোববার দুদকের জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ কমিশনের উপসহকারী পরিচালক রুবেল হোসেন মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
মামলায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী ছাড়াও তার স্ত্রী এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমীলা জামানকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ইউসিবির সাবেক পরিচালক সৈয়দ কামরুজ্জামান, ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং-এর স্বত্ত্বাধিকারী মো. আব্দুল আজীজ, ক্লাসিক ট্রেডিং-এর স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মডেল ট্রেডিং-এর স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ মিছাবাহুল, ক্রিসেন্ট ট্রেডার্স-এর স্বত্ত্বাধিকারী সৈয়দ নুরুল ইসলাম এবং রেডিয়াস ট্রেডিং-এর স্বত্ত্বাধিকারী মো. ফরিদ উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, “আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড এবং ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিনের কাছ থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করে। পরে এই অর্থ বিদেশে পাচার ও মানিলন্ডারিং করা হয়েছে।”
দুদকের নথি অনুযায়ী, ২০২০ সালের আগস্টে ইউসিবির মহাখালী শাখায় চলতি হিসাব খুলে দুটি কোম্পানি ঋণের আবেদন করে। পরে বোর্ড সভায় ১৭৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার ঋণ অনুমোদন করা হয়। অনুমোদনের পর সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের হিসাব জড়ো হয় মোট ৬৮ কোটি টাকা।
ঋণ গ্রহণের পর সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডকে পাঁচটি বেনামী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে (ক্লাসিক ট্রেডিং, ক্রিসেন্ট ট্রেডার্স, মডেল ট্রেডিং, রেডিয়াস ট্রেডিং ও ইমিন্যান্ট ট্রেডার্স) ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে বাধ্য করা হয়। একইভাবে ই-ইঞ্জিনিয়ারিং পিএলসিকে ২১ কোটি ২৫ লাখ টাকা দিতে বাধ্য করা হয়। পণ্য সরবরাহ ছাড়াই এই অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, “ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন এবং ইউসিবিএল ব্যাংকের সাবেক পরিচালক হিসেবে সাইফুজ্জামান তার প্রভাব খাটান। তার স্ত্রী রুকমীলা জামানকে ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে বসিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায়ের পথ তৈরি করেন। বাস্তবে ব্যাংকের কার্যক্রম তিনি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিতেন।
এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে আরামিট গ্রুপের দুই কর্মকর্তা—সিওও সৈয়দ কামরুজ্জামান ও কোম্পানি সেক্রেটারি মো. আব্দুল আজিজ—সহ আরও কয়েকজন সহযোগী ছিলেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ক্লাসিক ট্রেডিং-এর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মডেল ট্রেডিং-এর মো. মিছাবাহুল আলম, রেডিয়াস ট্রেডিং-এর মো. ফরিদ উদ্দিন এবং মার্কেটিং সহকারী মো. ইয়াছিনুর রহমান।”
দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, ইউসিবিএলের বিভিন্ন শাখার গ্রাহকদের কাছ থেকে মোট ২১৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ‘ঘুষ’ নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে সাইফ পাওয়ারটেক ও ই-ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে আদায় করা হয়েছে ৪১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।