ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের আমলাতন্ত্রকে একটি নির্দিষ্ট দলের ‘পকেটে নেয়ার চেষ্টা হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার,(১০ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে জেহাদের ৩৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করলেও সেই দলের নাম মুখে নেন নাই।
ফখরুল বলেন, আমলাতন্ত্রকে কোনো একটি নির্দিষ্ট দলের পকেটে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটাকে আমরা (বিএনপি) কোনো মতেই বরদাশত করবো না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, নির্বাচনের সময়ে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ আমলাতন্ত্র থাকতে হবে, সরকার থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ থাকতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, অর্থাৎ কোনো দলের কোনো প্রচারণাকে জাতীয় প্রতিষ্ঠান যেগুলো বিবেচনা করে বিশেষ করে বর্তমান যে সরকার, সেই সরকারকে আবারও বলতে চাই- একদম নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবেন। অন্যথায়, আমরা সেটা মেনে নেব না, এই দেশের মানুষ সেটা মেনে নেবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, গত জুন মাসে আমাদের নেতা তারেক রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সাহেব নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নির্বাচনের যে সময় নির্ধারণ করেছেন, সেই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন হবে। অন্যথায় নির্বাচন হবে না।
১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্রদল নেতা নাজিম উদ্দিন জেহাদ। তাতে আন্দোলন আরও তীব্রতর হওয়ার একপর্যায়ে ৫ ডিসেম্বরে ক্ষমতা ছাড়েন এরশাদ। এরপর থেকে দিনটিকে জেহাদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার সকালে রাজউক অ্যাভিনিউয়ের জেহাদ স্কয়ার স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপি নেতারা।
‘বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচারে
লাভ হবে না’
দেশ গড়ায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভূমিকা তুলে ধরে দলের বর্তমান মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান প্রতিটি ঘরে ঘরে ঘুরে বেড়িয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন, সেইভাবে আজকে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব আমাদের কাছে এই মুহূর্তে নেই। তিনি সুদূর ৮ হাজার মাইল দূর থেকে আমাদেরকে উজ্জীবিত করছেন প্রতিটি মুহূর্তে, প্রতি মানুষের ঘরে ঘরে বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন, ‘জাগো বাংলাদেশের মানুষ জাগো, নিজের অধিকারকে আদায় করে নাও’। সেই অধিকার আদায়ের পথে বাধাগ্রস্ত করছে অনেকেই। বিভিন্ন রকমের গুজব চলছে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, সংস্কার আমরা এনেছি, আমরাই করবো এবং সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া; এটা চলতেই থাকবে। সুতরাং তার সঙ্গে বিএনপিকে জড়িয়ে অযথা মিথ্যা প্রচার করে লাভ হবে না।
‘ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন?’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন- আজকে সংবাদপত্রে দেখলাম কিছু কিছু ব্যক্তি বা দল তারা ধমক দিচ্ছেন, হুমকি দিচ্ছেন যে অমুক মার্কা না দিলে আমরা নির্বাচনে যাব না বা অমুকের মার্কা থাকতে পারবে না। ভাই, আমরা তো তোমাদের মার্কাতে বাধা দেইনি। কোন মার্কা তোমাদেরকে দেবেন, সেটা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা কথা বলি নাই যে, তোমাদেরকে এই মার্কা দেয়া যাবে না। তাহলে অযথা বিএনপির ধানের শীষকে নিয়ে টানাটানি কেন? টানাটানি এজন্যে যে, ধানের শীষ অপ্রতিরোধ্য, ধানের শীষকে ঠেকিয়ে রাখা যায় না। গ্রামে-গঞ্জে সবখানে একটাই স্লোগান ওঠেছে কী? বাংলাদেশে ধানের শীষ অপ্রতিরোধ্য। ওই জন্যে ওটা রুখতে হবে, ওইটা আটকিয়ে দিতে হবে। কারণ ধানের শীষ টিকে গেলে ওই যে বাংলাদেশের শত্রুরা আছে, সেই শত্রুরা তাদের সমস্ত চক্রান্ত থেকে পরাজিত হয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা, মানে আমাদের সেই মনোস্টার শেখ হাসিনা তিনি এমনিতেই পলাইয়ে দিল্লি যায় নাই, যেতে বাধ্য হয়েছে। কারণ আমরা সেই গ্রাউন্ড তৈরি করেছি, আমরা সেই ভিত্তি তৈরি করেছি, দীর্ঘ ১৫ বছরের সংগ্রাম নিয়ে বুকের রক্ত দিয়ে লড়াই করে সেই গ্রাউন্ডটা আমরা তৈরি করেছি।
কেউ যদি আপনাদেরকে প্রশ্ন করে, কোয়েশ্চেন করে- এই কথাটুকু স্পষ্ট করে বলতে পারবেন, জোরে বলবেন, গণতন্ত্র আমরা এনেছি, সংস্কার আমরা এনেছি। এই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবো আমরাই এবং এজন্য প্রয়োজন হলে আবারও বুকের রক্ত দিয়ে আমার গণতন্ত্র রক্ষা করব।
নব্বইয়ের ডাকসুর ভিপি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুর রহমান রিপন, হাবিবুর রহমান হাবিব, খন্দকার লুৎফর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, কামরুজ্জামান রতন, আসাদুর রহমান খান আসাদ, শিরিন সুলতানা, মীর সরাফত আলী সপু, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, শহীদ জেহাদের বড় বোন চামেলী মাহমুদ, স্বজন শরীফ উদ্দিন আহমেদ।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের আমলাতন্ত্রকে একটি নির্দিষ্ট দলের ‘পকেটে নেয়ার চেষ্টা হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার,(১০ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে জেহাদের ৩৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করলেও সেই দলের নাম মুখে নেন নাই।
ফখরুল বলেন, আমলাতন্ত্রকে কোনো একটি নির্দিষ্ট দলের পকেটে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটাকে আমরা (বিএনপি) কোনো মতেই বরদাশত করবো না। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, নির্বাচনের সময়ে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ আমলাতন্ত্র থাকতে হবে, সরকার থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষ থাকতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, অর্থাৎ কোনো দলের কোনো প্রচারণাকে জাতীয় প্রতিষ্ঠান যেগুলো বিবেচনা করে বিশেষ করে বর্তমান যে সরকার, সেই সরকারকে আবারও বলতে চাই- একদম নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবেন। অন্যথায়, আমরা সেটা মেনে নেব না, এই দেশের মানুষ সেটা মেনে নেবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, গত জুন মাসে আমাদের নেতা তারেক রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সাহেব নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নির্বাচনের যে সময় নির্ধারণ করেছেন, সেই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন হবে। অন্যথায় নির্বাচন হবে না।
১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন ছাত্রদল নেতা নাজিম উদ্দিন জেহাদ। তাতে আন্দোলন আরও তীব্রতর হওয়ার একপর্যায়ে ৫ ডিসেম্বরে ক্ষমতা ছাড়েন এরশাদ। এরপর থেকে দিনটিকে জেহাদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার সকালে রাজউক অ্যাভিনিউয়ের জেহাদ স্কয়ার স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আমান উল্লাহ আমানসহ বিএনপি নেতারা।
‘বিএনপিকে জড়িয়ে অপপ্রচারে
লাভ হবে না’
দেশ গড়ায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভূমিকা তুলে ধরে দলের বর্তমান মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান প্রতিটি ঘরে ঘরে ঘুরে বেড়িয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন, সেইভাবে আজকে আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব আমাদের কাছে এই মুহূর্তে নেই। তিনি সুদূর ৮ হাজার মাইল দূর থেকে আমাদেরকে উজ্জীবিত করছেন প্রতিটি মুহূর্তে, প্রতি মানুষের ঘরে ঘরে বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন, ‘জাগো বাংলাদেশের মানুষ জাগো, নিজের অধিকারকে আদায় করে নাও’। সেই অধিকার আদায়ের পথে বাধাগ্রস্ত করছে অনেকেই। বিভিন্ন রকমের গুজব চলছে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, সংস্কার আমরা এনেছি, আমরাই করবো এবং সংস্কার একটা চলমান প্রক্রিয়া; এটা চলতেই থাকবে। সুতরাং তার সঙ্গে বিএনপিকে জড়িয়ে অযথা মিথ্যা প্রচার করে লাভ হবে না।
‘ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন?’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন- আজকে সংবাদপত্রে দেখলাম কিছু কিছু ব্যক্তি বা দল তারা ধমক দিচ্ছেন, হুমকি দিচ্ছেন যে অমুক মার্কা না দিলে আমরা নির্বাচনে যাব না বা অমুকের মার্কা থাকতে পারবে না। ভাই, আমরা তো তোমাদের মার্কাতে বাধা দেইনি। কোন মার্কা তোমাদেরকে দেবেন, সেটা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা কথা বলি নাই যে, তোমাদেরকে এই মার্কা দেয়া যাবে না। তাহলে অযথা বিএনপির ধানের শীষকে নিয়ে টানাটানি কেন? টানাটানি এজন্যে যে, ধানের শীষ অপ্রতিরোধ্য, ধানের শীষকে ঠেকিয়ে রাখা যায় না। গ্রামে-গঞ্জে সবখানে একটাই স্লোগান ওঠেছে কী? বাংলাদেশে ধানের শীষ অপ্রতিরোধ্য। ওই জন্যে ওটা রুখতে হবে, ওইটা আটকিয়ে দিতে হবে। কারণ ধানের শীষ টিকে গেলে ওই যে বাংলাদেশের শত্রুরা আছে, সেই শত্রুরা তাদের সমস্ত চক্রান্ত থেকে পরাজিত হয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা, মানে আমাদের সেই মনোস্টার শেখ হাসিনা তিনি এমনিতেই পলাইয়ে দিল্লি যায় নাই, যেতে বাধ্য হয়েছে। কারণ আমরা সেই গ্রাউন্ড তৈরি করেছি, আমরা সেই ভিত্তি তৈরি করেছি, দীর্ঘ ১৫ বছরের সংগ্রাম নিয়ে বুকের রক্ত দিয়ে লড়াই করে সেই গ্রাউন্ডটা আমরা তৈরি করেছি।
কেউ যদি আপনাদেরকে প্রশ্ন করে, কোয়েশ্চেন করে- এই কথাটুকু স্পষ্ট করে বলতে পারবেন, জোরে বলবেন, গণতন্ত্র আমরা এনেছি, সংস্কার আমরা এনেছি। এই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবো আমরাই এবং এজন্য প্রয়োজন হলে আবারও বুকের রক্ত দিয়ে আমার গণতন্ত্র রক্ষা করব।
নব্বইয়ের ডাকসুর ভিপি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুর রহমান রিপন, হাবিবুর রহমান হাবিব, খন্দকার লুৎফর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, কামরুজ্জামান রতন, আসাদুর রহমান খান আসাদ, শিরিন সুলতানা, মীর সরাফত আলী সপু, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, শহীদ জেহাদের বড় বোন চামেলী মাহমুদ, স্বজন শরীফ উদ্দিন আহমেদ।