বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু
নির্বাচনের আগে সরকারের ‘বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
নির্বাচনের আগে আর কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, সেজন্য এই সরকারকে শিগগিরই ‘কেয়ারটেকার সরকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে’। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও আমীর খসরু মন্তব্য করেন।
বুধবার,(২২ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আগের দিন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের প্রতি ইঙ্গিত করে আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা চাই, একটা শান্তিপূর্ণ ট্রানজিশন হোক। তাহলে যারা সরকারে আছেন.. ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। ওনার তো সম্মানের সঙ্গে যেতে হবে- আমরা সেটা তো চাই। কিন্তু কিছু লোকের কার্যকলাপের মাধ্যমে সেটা যদি বিঘ্নেত হয়, সেজন্য আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলেছি, আপনি পুরোপুরি কেয়ারটেকার মুডে চলে যান।’
নির্বাচনের আগে প্রশাসনে যে কোনো ধরনের বদলি বা পদায়ন সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানেই হবে বলে বিএনপিকে আশ্বস্ত করেছেন সরকার প্রধান। বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রীয় ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের তিনি এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
যাদের নিয়ে ‘বিতর্ক’ আছে, সেই লোকগুলাকে চলে যেতে হবে মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, ‘তাহলে সবার কাছে মেসেজ যাবে, ক্লিয়ার মেসেজ যাবে যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার সঠিক নিরপেক্ষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।’
আমীর খসরু বলেন, ‘এখানে সরকারের ভেতরে, সরকারের বাইরে যাদের নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করার সুযোগ আছে, তাদের রেখে নিরপেক্ষতা রক্ষা করা যাবে না। এই প্রশ্নটা আসছে বিভিন্ন কারণে। আমরা লক্ষ্য করেছি, অনেক পদায়ন, অনেক বদলি, অনেক বিষয়ে সরকারের যে অবস্থান, কিছু কিছু লোক এগুলোকে প্রভাবিত করছে।’কেয়ারটেকার সরকার কীভাবে চলবে সেটা সংবিধানে পরিষ্কারভাবে বলা আছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘সুতরাং এই সরকারকে এই মুহূর্ত থেকে সংবিধানে যে কেয়ারটেকার সরকারের ভূমিকা দেয়া আছে, সেই বৈশিষ্ট্য তাদের এখন থেকে করতে হবে তাদের সমস্ত কর্মকাণ্ডে।’
‘রাস্তার আন্দোলনের দিন শেষ’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘রাস্তায় যাওয়ার তো দিন শেষ হয়ে গেছে; শেখ হাসিনাকে বিদায় করা হয়েছে। এখন যাবেন জনগণের কাছে। আপনার দলের যদি কোনো কিছু আপনি মনে করেন করবেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আপনার যত দাবি-দাওয়া আছে, সব নিয়ে আগামী নির্বাচনে আপনার ম্যানিফেস্টোতে নিয়ে জনগণের কাছে যান। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে পাস করেন। আপনি রাস্তায় নেমে জোর করতে গেলে তো আপনি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হলেন না। আপনি তো গণতন্ত্রের প্রতিপক্ষ হিসেবে কাজ করছেন।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিকে যখন, তখন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা ধরনের কার্যক্রম আমরা মাঠে দেখতে পাচ্ছি। আমরা কী দেখছি? জনগণের ম্যান্ডেটের বাইরে কিছু তাদের দিতে হবে। জনগণের কাছে গিয়ে ম্যান্ডেট নিতে রাজি নেই। আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রত্যেকটি দলের অধিকার আছে তার ম্যান্ডেট নেয়ার। যে সমস্ত দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার করা হচ্ছে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে চেষ্টা হচ্ছে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে রাস্তায় গিয়ে এগুলো তো ঠিক না।’
ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান, প্রয়াত মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে রিটা রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ হোসেন আলমগীরসহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
নির্বাচনের আগে সরকারের ‘বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
নির্বাচনের আগে আর কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, সেজন্য এই সরকারকে শিগগিরই ‘কেয়ারটেকার সরকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে’। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও আমীর খসরু মন্তব্য করেন।
বুধবার,(২২ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আগের দিন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের প্রতি ইঙ্গিত করে আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা চাই, একটা শান্তিপূর্ণ ট্রানজিশন হোক। তাহলে যারা সরকারে আছেন.. ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। ওনার তো সম্মানের সঙ্গে যেতে হবে- আমরা সেটা তো চাই। কিন্তু কিছু লোকের কার্যকলাপের মাধ্যমে সেটা যদি বিঘ্নেত হয়, সেজন্য আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলেছি, আপনি পুরোপুরি কেয়ারটেকার মুডে চলে যান।’
নির্বাচনের আগে প্রশাসনে যে কোনো ধরনের বদলি বা পদায়ন সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানেই হবে বলে বিএনপিকে আশ্বস্ত করেছেন সরকার প্রধান। বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রীয় ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের তিনি এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেন।
যাদের নিয়ে ‘বিতর্ক’ আছে, সেই লোকগুলাকে চলে যেতে হবে মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, ‘তাহলে সবার কাছে মেসেজ যাবে, ক্লিয়ার মেসেজ যাবে যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার সঠিক নিরপেক্ষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।’
আমীর খসরু বলেন, ‘এখানে সরকারের ভেতরে, সরকারের বাইরে যাদের নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করার সুযোগ আছে, তাদের রেখে নিরপেক্ষতা রক্ষা করা যাবে না। এই প্রশ্নটা আসছে বিভিন্ন কারণে। আমরা লক্ষ্য করেছি, অনেক পদায়ন, অনেক বদলি, অনেক বিষয়ে সরকারের যে অবস্থান, কিছু কিছু লোক এগুলোকে প্রভাবিত করছে।’কেয়ারটেকার সরকার কীভাবে চলবে সেটা সংবিধানে পরিষ্কারভাবে বলা আছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘সুতরাং এই সরকারকে এই মুহূর্ত থেকে সংবিধানে যে কেয়ারটেকার সরকারের ভূমিকা দেয়া আছে, সেই বৈশিষ্ট্য তাদের এখন থেকে করতে হবে তাদের সমস্ত কর্মকাণ্ডে।’
‘রাস্তার আন্দোলনের দিন শেষ’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘রাস্তায় যাওয়ার তো দিন শেষ হয়ে গেছে; শেখ হাসিনাকে বিদায় করা হয়েছে। এখন যাবেন জনগণের কাছে। আপনার দলের যদি কোনো কিছু আপনি মনে করেন করবেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আপনার যত দাবি-দাওয়া আছে, সব নিয়ে আগামী নির্বাচনে আপনার ম্যানিফেস্টোতে নিয়ে জনগণের কাছে যান। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে পাস করেন। আপনি রাস্তায় নেমে জোর করতে গেলে তো আপনি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হলেন না। আপনি তো গণতন্ত্রের প্রতিপক্ষ হিসেবে কাজ করছেন।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিকে যখন, তখন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা ধরনের কার্যক্রম আমরা মাঠে দেখতে পাচ্ছি। আমরা কী দেখছি? জনগণের ম্যান্ডেটের বাইরে কিছু তাদের দিতে হবে। জনগণের কাছে গিয়ে ম্যান্ডেট নিতে রাজি নেই। আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রত্যেকটি দলের অধিকার আছে তার ম্যান্ডেট নেয়ার। যে সমস্ত দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার করা হচ্ছে এবং নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে চেষ্টা হচ্ছে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে রাস্তায় গিয়ে এগুলো তো ঠিক না।’
ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান, প্রয়াত মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে রিটা রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ হোসেন আলমগীরসহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।