ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
চব্বিশের অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে তিনজন প্রতিনিধি মন্ত্রী পদমর্যাদায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজন নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করে বৈষম্যবিরোধীদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দায়িত্ব নিয়েছেন। অন্য দুই ছাত্র প্রতিনিধি এখনও উপদেষ্টা পরিষদে আছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে তাদের দুজনকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পদত্যাগের পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। তবে তারা আরও সময় নিতে চেয়েছেন। এ দুই উপদেষ্টা হলেন- তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রের বরাত দিয়ে একাধিক গণমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টাসহ বর্তমানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ২৩ জন। তাদের মধ্যে দুজন ছাত্র প্রতিনিধি।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সময় উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচিত সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাহিদ ইসলাম। পরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি পদত্যাগ করে এনসিপির আহ্বায়ক হন। এনসিপি গঠন করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া তরুণরা।
মাহফুজ আলম, যিনি মাহফুজ আব্দুল্লাহ নামেও পরিচিত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিঁয়াজো কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। মাহফুজ আলম শুরুতে সচিব পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী ছিলেন। নিয়োগ পান গত বছরের ২৮ আগস্ট। পরে ১০ নভেম্বর তিনি মন্ত্রী পদমর্যদায় উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। সে সময় তাকে কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করার পর মাহফুজকে তথ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব দেয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সময় আসিফ মাহমুদকে শ্রম মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ এফ হাসান আরিফকে (প্রয়াত) সরিয়ে আসিফ মাহমুদকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় গত বছরের নভেম্বরে। বর্তমানে আসিফ মাহমুদ এলজিআরডি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন।
গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, মাহফুজ আলম আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে এখন পর্যন্ত আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তিনি সরকারে থাকতে চান। আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে পদত্যাগ করতে পারেন। অবশ্য কোনো বিষয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
তবে আসিফ মাহমুদ গত ১৪ আগস্ট সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই তিনি পদত্যাগ করবেন। মাহফুজ আলম গত ২৮ সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘দুই মাস ধরে আমি অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি যে আমি কখন নেমে যাই। মানে আমি কখন নামবো, আমি জানি না।’
খবরে বলা হয়, ছাত্র প্রতিনিধিদের কেউ না কেউ উপদেষ্টা পরিষদে শেষ পর্যন্ত থাকুক, এটা ছাত্র উপদেষ্টা চান। তারা মনে করছেন, উপদেষ্টা পরিষদে শিক্ষার্থী প্রধিনিধি না থাকলে, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হতে পারে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
চব্বিশের অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে তিনজন প্রতিনিধি মন্ত্রী পদমর্যাদায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজন নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করে বৈষম্যবিরোধীদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দায়িত্ব নিয়েছেন। অন্য দুই ছাত্র প্রতিনিধি এখনও উপদেষ্টা পরিষদে আছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে তাদের দুজনকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পদত্যাগের পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। তবে তারা আরও সময় নিতে চেয়েছেন। এ দুই উপদেষ্টা হলেন- তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রের বরাত দিয়ে একাধিক গণমাধ্যম এমন খবর প্রকাশ করেছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টাসহ বর্তমানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ২৩ জন। তাদের মধ্যে দুজন ছাত্র প্রতিনিধি।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সময় উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচিত সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাহিদ ইসলাম। পরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি পদত্যাগ করে এনসিপির আহ্বায়ক হন। এনসিপি গঠন করেছেন জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া তরুণরা।
মাহফুজ আলম, যিনি মাহফুজ আব্দুল্লাহ নামেও পরিচিত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিঁয়াজো কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। মাহফুজ আলম শুরুতে সচিব পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী ছিলেন। নিয়োগ পান গত বছরের ২৮ আগস্ট। পরে ১০ নভেম্বর তিনি মন্ত্রী পদমর্যদায় উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। সে সময় তাকে কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করার পর মাহফুজকে তথ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব দেয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সময় আসিফ মাহমুদকে শ্রম মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ এফ হাসান আরিফকে (প্রয়াত) সরিয়ে আসিফ মাহমুদকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় গত বছরের নভেম্বরে। বর্তমানে আসিফ মাহমুদ এলজিআরডি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন।
গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, মাহফুজ আলম আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে এখন পর্যন্ত আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তিনি সরকারে থাকতে চান। আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে পদত্যাগ করতে পারেন। অবশ্য কোনো বিষয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
তবে আসিফ মাহমুদ গত ১৪ আগস্ট সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই তিনি পদত্যাগ করবেন। মাহফুজ আলম গত ২৮ সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘দুই মাস ধরে আমি অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি যে আমি কখন নেমে যাই। মানে আমি কখন নামবো, আমি জানি না।’
খবরে বলা হয়, ছাত্র প্রতিনিধিদের কেউ না কেউ উপদেষ্টা পরিষদে শেষ পর্যন্ত থাকুক, এটা ছাত্র উপদেষ্টা চান। তারা মনে করছেন, উপদেষ্টা পরিষদে শিক্ষার্থী প্রধিনিধি না থাকলে, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হতে পারে।